দাদাও যখন ইস্তিকাল করলেন, তিনি চাচা আবূ তালিবের প্রতিপালকের আওতায় এলেন। যখন তিনি বেশ বড় হলেন (বারো বছর বয়স) তখন একবার চাচা আবূ তালিব শ্যাম দেশে ব্যবসায় যাবেন বলে তৈরি হলেন। রাসূল (সা) গিয়ে চাচার জামার আস্তিন ধরে দাঁড়ালেন। আবূ তালিব তাঁর দিকে ফিরে তাকালেন। ছল ছল চোখে স্নেহার্দ্র দৃষ্টিতে ভাতিজার দিকে চেয়ে বললেনঃ একে আমার সাথে নিয়ে যেতে হবে। ও আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না, আমিও তাকে ছাড়া থাকতে পারব না।
রাসূল (সা)-কে নিয়ে যখন তিনি ‘তায়মা’ পৌঁছলেন এক ইহুদী সাধক তাঁকে দেখে আবূ তালিবকে ডেকে বললঃ এ বালক আপনার কি হয় ? বললেনঃ ও আমার ভাইপো। সাধক বললেনঃ আপনি কি তাকে ভালোবাসতেন ? আবূ তালিব বললেনঃ নিশ্চয়।
তখন সাধক বললেনঃ আল্লাহর দোহাই, একে নিয়ে আপনি শ্যাম দেশে গেলে ওখানকার ইহুদীরা মেরে ফেলবে। কারণ ওরা এঁর দুশমন। যতশীঘ্র সম্ভব বালকটি নিয়ে দেশে যান। একথা শুনে আবূ তালিব সেখানোই তার ব্যবসায় সেরে দেশে ফিরে আসেন। (ঘটনাটি বর্ধিত আকারে বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। যা পরে বর্ণনা করা হবে।)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৪) শিশুকালেই তাঁর মর্যাদার প্রভাব | (০১৬) মোহরে নবুওয়াত |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |