عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ له قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الشَّيْطَانُ جَاسِمٌ عَلَى قَلْبِ اِبْنِ آدَمَ . فَإِذَا ذَكَرَ اللَّهَ خَنَسَ وَإِذَا غَفَلَ وَسْوَسَ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেনঃ শয়তান বনী আদমের ক্বলবের উপর ঘাটি করে বসে থাকে। যখন ক্বলব আল্লাহকে স্মরণ করে তখন শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর ক্বলব জেকের না করলে শয়তান তাকে অছঅছা দিতে থাকে।
(বুখারী, মেশকাত ২১৭৪)
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ هِ قَالَ: مَا مِنْ آدَمِي إِلَّا لِقَلْبِهِ بَيْتَانِ في أَحَدِهِمَا الْمَلَكُ وَفِي الآخَرِ الشَّيْطَانُ . فَإِذَا ذَكَرَ اللَّهَ خَنَسَ وَإِذَا
لَمْ يَذْكُرِ اللَّهَ وَضَعَ الشَّيْطَانُ مِنْقَارَهُ فِي قَلْبِهِ فَوَسْوَسَ لَهُ .
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক থেকে বর্ণিত আছে, রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন : প্রত্যেক মানুষের ক্বলব বা মনের মধ্যে দুটি কুঠুরী আছে। তার একটিতে ফেরেশতা ও অন্যটিতে শয়তান অবস্থান করে। যখন ক্বলব আল্লাহর স্মরণ করে তখন শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আর ক্বলব আল্লাহকে স্মরণ না করলে শয়তান তার ঠোটকে ক্বলবের মধ্যে ঢুকিয়ে তাকে অছঅছা বা কুমন্ত্রনা দিতে থাকে। ইবনে আবি শায়বা এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
(তাফছীরে মাজহারী ১ম খন্ড ১৫১ পৃঃ)
নামাজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছুরা, কেরাত, দোয়া, দুরুদ একের পর এক মুখে পড়া সত্বেও মনের ভিতর বাজে চিন্তা ভাবনা আসার একমাত্র কারণ ক্বলব বা মন দিয়ে নামাজের ছুরা, কেরাত, দুরুদ, আত্তাহিয়্যাতু না পড়া নামাজের সময় “অলাহান” নামীয় শয়তান মানুষের মনে অছঅছা দিতে থাকে। বিশেষ করে তার অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি বা হারানো বস্তুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাকে নামাজের মধ্যে আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য থেকে দুরে সরিয়ে রাখে ।
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেনঃ
“যদি মানুষ ক্বলব বা মন দিয়ে খাটিভাবে চল্লিশ দিন আল্লাহকে স্মরণ করে তবে আল্লাহ তাআ'লা তার মধ্যে হেকমতের ঝর্ণাধারা জারি করে দেন যা তার মুখ দিয়েও প্রকাশ পেতে থাকে।
(আততারগীব ১ম জেলদ ৫৬ পৃঃ)
এ হাদীছ অনুযায়ী নামাজী যখন মুখের সাথে সাথে ক্বলব দিয়ে নামাজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছুরা, কেরাত, দুরুদ, আত্তাহিয়্যাতু প্রভৃতি পড়তে থাকে তখন শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ফলে ক্বলব শয়তানের অছঅছা মুক্ত হয়ে যায়। ক্বলবের এ অবস্থায় সাথে সাথে আল্লাহ তাআ'লার সাহায্য নেমে আসে । রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন -
إِنَّ الْقُلُوْبَ بَيْنَ إِصْبَعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِ اللَّهِ يُقَلِّبُهَا كَيْفَ يَشَاءُ.
নিশ্চয় ক্বলব বা অন্তর সমূহ আল্লাহ তাআ'লার আঙ্গুলগুলির দু'আঙ্গুলের মাঝে আছে। তিনি যেভাবে ইচ্ছা ক্বলব সমূহকে ঘুরান।
(তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুছলিম, মেশকাত হাদীছ নং ৯৫, ৮৩)
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আরও বলেন -
مَثَلُ الْقَلْبِ كَرِيْشَةٍ بِأَرْضِ فُلاةٍ يُقَلِّبُهَا الرِّيَاحُ ظَهْرًا لِّبَطْنِ .
আল্লাহর হাতে মানুষের মন ঘাস শুন্য মাঠে একটি পালকের মত যাকে প্রবল বাতাস এদিক সেদিক ঘুরিয়ে থাকে।
(আহমাদ, মেশকাত হাদীছ নং ৯৬)
হযরত আনাছ ইবনে মালেক (রাঃ) রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন : আল্লাহ তাআ'লা বলেছেন :
لَا يَسَعْنِي أَرْضِيْ وَلَا سَمَائِي وَلَكِنْ يَسَعْنِي قَلْبِ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ
জমীন আছমানে আমার স্থান সংকুলান হয় না কিন্তু মুমিন বান্দার ক্বলবে আমার অবস্থান।
(মুছনাদুল ফেরদাউস, এহইয়াউল উলুমুদ্দীন, মকতুবাতে ইমামে রব্বানী ১ম ২৮৭ মকতুব)
مَا أَصَابَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللهِ وَمَا أَصَابَ مِنْ سَيِّئَاةٍ فَمِنْ
অর্থাৎ যা কিছু ভাল তার সবই আল্লাহ তাআ'লা থেকে হয় এবং যা কিছু খারাপ মানব তা নিজেই করে
ক্বলব যখন আল্লাহকে স্মরণ করে তখন আল্লাহ তাআ'লা ও তাকে স্মরণ করতে থাকেন এবং তার প্রতি ছলাত অর্থাৎ রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। ক্বলব আল্লাহর স্মরণ না করলে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। এবং আল্লাহ তাআ'লা তার শাস্তি দানের জন্যে তার সাথে একটি শয়তান লাগিয়ে দেন।
আল্লাহতাআ'লা এরশাদ করেন-
وَمَنْ يَعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمَنِ نُقَيِّضُ لَهُ شَيْطَنًا فَهُوَلَهُ قَرِيْنٌ وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ السَّبِيْلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُّهْتَدُونَ -
(৩৬) যে রহমানের জেকের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আমি তার জন্যে একটি শয়তান লাগিয়ে দেই। সেই হয় তার সাথী । (৩৭) শয়তানরা তাদের সৎপথে বাধা দান করে আর তারা মনে করে নিশ্চয় তারা হেদায়েতের পথে রয়েছে। (ছুরা জুখরুফ)
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন -
لَا صَلوةَ إِلا بِحُضُورِ الْقَلْبِ
হুজুরে ক্বলব অর্থাৎ মনের একাগ্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না।
নামাজী যখন মুখের সঙ্গে ক্বলব দিয়ে নামাজের ছুরা, কেরাত, দুরুদ, আত্তাহিয়্যাতু, তছবীহ তাহলীল প্রভৃতি পড়তে থাকে তখন আল্লাহর রহমতের ফয়েজ ক্বলবে পতিত হওয়ার ফলে শয়তান টিকতে না পেরে ক্বলব থেকে পালিয়ে যেয়ে শরীরের বিভিন্ন অংগ প্রত্যংগের ভিতরে পালিয়ে থেকে নামাজীকে অছঅছা দিতে থাকে। রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন –
إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِى مِنَ الْإِنْسَانِ بَحْرَى الدَّمِ
শয়তান মানুষের মধ্যে তার রক্তের ন্যায় চলাচল করে।
(বুখারী, মুছলিম, মেশকাত হাদীছ নং ৬২)
শয়তান ক্বলব থেকে পালিয়ে মানুষের সমস্ত শরীরের ভিতরে চলাচল করে অছঅছা বা কুমন্ত্রনা দিতে থাকে। ফলে নামাজী হাত পা চুলকানো, দাড়িতে হাত বুলানো, এদিক সেদিক দেখা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে থাকে।
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন –
لاَ يَنْظُرُ اللهُ إِلَى صَلَوةٍ لاَ يُحْضِرُ الرَّجُلُ فِيْهَا قَلْبَهُ مَعَ بَدَنِهِ
আল্লাহ তাআ'লা ঐ নামাজের দিকে নজর দেন না যে নামাজে নামাজী তার নিজের ক্বলবসহ সমস্ত শরীর হাজির না করে।
(আইনুল এলেম পৃষ্ঠা নং ২১ কুরআন মঞ্জিল ২৭পৃঃ এমদাদিয়া)
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আরও বলেন –
لا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْ عَبْدٍ عَمَلاً حَتَّى يُشْهِدَ قَلْبَهُ مَعَ بَدَنِهِ .
আল্লাহ তাআ'লা বান্দার কোন আমলকে কবুল করেন না যতক্ষন না বান্দা তার নিজের ক্বলবসহ সমস্ত শরীর দিয়ে ঐ আমলের সাক্ষ্য না দেয়।
(আততারগীব ১ম জেলদ ৩৪৮ পৃঃ)
মানুষের সমস্ত শরীরে শয়তান বিচরণ করে অছঅছা দেয়ার ফলে সে তার শরীরকে নামাজ বা কোন ইবাদাতের মধ্যে হাজির করতে পারেনা। ফলে উপরের হাদীছ অনুযায়ী তার নামাজ বা কোন ইবাদাত আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হয় না !
কোরআন মাজীদে আল্লাহ তাআ'লা এরশাদ করেন –
اَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ
النَّاسِ وَكَثِيرٌ حَقٌّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ -
(১৮) তুমি কি দেখো না, আছমান জমীনের মধ্যে যা কিছু আছে তারা এবং চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজী, পাহাড়, গাছপালা, জন্তু জানোয়ার এবং অধিকাংশ মানুষ স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে আল্লাহ তাআ'লার জন্য ছেজদা করে ? আর অনেক মানুষ আল্লাহর শাস্তির যোগ্য হয়ে যায় ?
(ছুরা হজ্জ)
وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهَا وَظِلَلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ
(১৫) আছমান জমীনের মধ্যে যা কিছু আছে প্রত্যেকে এবং তাদের ছায়াসমূহ স্বেচ্ছায় ও অনিচ্ছায় সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর জন্য ছেজদা করে।
(ছুরা রাআদ)
أَلَمْ تَرَ إِنَّ اللَّهَ يُسَبِّحُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالطَّيْرُ صَفَّاتٍ كُل قَدْ عَلِمَ صَلَوتَهُ وَتَسْبِيْحَهُ -
(৪১) তুমি কি দেখনা, আছমান জমীনে যা কিছু আছে প্রত্যেকে এবং পাখিরা সারিবদ্ধভাবে আল্লাহর জন্য তাছবীহ করে? তারা প্রত্যেকে নিজেদের নামাজ ও তাছবীহ সম্পর্কে অবগত।
(ছুরা নূর)
أَفَمَنْ شَرَحَ اللَّهُ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ فَهُوَ عَلَى نُورٍ مِّنْ رَّبِّهِ . فَوَيْلٌ لقَاسِيَةِ قُلُوْبُهُمْ مِّنْ ذِكْرِ اللهِ أُوْلَئِكَ فِي ضَلَالٍ مُّبِيْنِ . اللَّهُ نَزَّلَ احْسَنَ الْحَدِيْثِ كِتَابًا مُتَشَابِهًا مَّثَانِيَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُوْدُ الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِينُ جُلُودُهُمْ وَقُلُوْبُهُمْ إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ . ذَالِكَ هُدَى اللهِ يَهْدِى بِهِ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ -
(২২) আল্লাহ তাআ'লা যার ছদর বা ক্বলবের উপরের অংশ (অন্তর) - কে ইছলামের জন্য খুলে দিয়েছেন সে আল্লাহ তাআ'লা থেকে আগত নুরের মধ্যে রয়েছে। সে কি তার সমান যার ক্বলব বা অন্তর আল্লাহর স্মরণের ব্যাপারে কঠোর ? তাদের জন্য দুর্ভোগ, যাদের ক্বলব আল্লাহর স্মরণের ব্যাপারে কঠোর। তারা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছে। (২৩) আল্লাহ উত্তম বানী তথা কিতাব নাযিল করেছেন যা সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বার বার পড়া হয়। যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এতে (এ কিতাব পড়ায়) তাদের চামড়ার উপরের লোমগুলো কাটা দিয়ে ওঠে। তারপর তাদের চামড়া ও অন্তর সমূহ আল্লাহর স্মরণে নিয়োজিত হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ। তিনি যাকে ইচ্ছা এর মাধ্যমে হেদায়েত দান করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তার কোন পথ প্রদর্শক নাই ।
(জুমার)
عَنِ الْعَبَّاسِ رَضِى اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اقْشَعَرَّ جِلْدُ الْعَبْدِ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ تَحَانَتْ عَنْهُ ذُنُوبُهُ
كَمَا يَتَحَانَتْ عَنِ الشَّجَرِ الْيَابِسَةِ وَرَقَهَا .
হযরত আব্বাছ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন : যখন কোন বান্দার শরীরের চামড়া আল্লাহর ভয়ে কম্পিত হতে থাকে আল্লাহ তাআ'লা তার গোনাহগুলিকে ঝরিয়ে দেন যেমন শুকনো গাছ থেকে তার পাতাগুলি ঝরে পড়ে। তিবরানী এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। (তাফছীরে মাজহারী ৮ম খন্ড ২০৮ পৃঃ)
উপরে উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ সমূহ অনুসারে যখন নামাজী তার নামাজের মধ্যে ক্বলবসহ সমস্ত শরীর হাজির করে নামাজের কেয়াম, কেরাত, রুকু, ছেজদা প্রভৃতির সাক্ষ্য দিতে থাকে তখন শয়তান তার শরীরের মধ্যে অছঅছা দিতে পারে না। তখন আল্লাহ তাআ'লা নামাজীর, ক্বলবের মাধ্যমে আপন রহমতের বারিধারা বর্ষণ করতে থাকেন। ফলে নামাজীর এক নামাজ হতে অন্য নামাজ পর্যন্ত কৃত গোনাহগুলির আমল নামা উক্ত রহমতের নুরে মুছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআ'লা নিজ গুণাবলীর নূর তার ক্বলবের মধ্যে দিয়ে সমস্ত শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেন। ফলে তার মাধ্যমে অসৎ স্বভাব, অসৎ চরিত্র ও মন্দ কাজ কর্ম দূর হয়ে যায়। নামাজী তখন শয়তানের কুমন্ত্রনা মুক্ত হয়ে একাগ্রতার সাথে একনিষ্টভাবে আল্লাহ তাআ'লার সঙ্গে কথোপকথনে লিপ্ত হয়ে চরম সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভ করে।
আল্লাহ তাআ'লা বলেন -
وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
তুমি ছেজদা করো ও আল্লাহর চরম নৈকট্য লাভ করো ।
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন –
مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَّبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ -
ছেজদার সময় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্ত্তী হয়।
আবু দাউদ এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ছাহাবাগণকে এ নামাজের পদ্ধতি শিখাতেন। রাছুলে পাক নামাজের মধ্যে আল্লাহর চরম নৈকট্য ও কথোপকথনের ঘটনা বলে বলেছেন, এ ঘটনা সত্য, এটা শেখ ও অন্যকে শেখাও। ( ৩৩ পৃষ্টায় হাদীছটি দেখুন)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৮) নামাজ পড়া ও নামাজ কায়েমের মধ্যে পার্থক্য | (০৩০) ক্বলবে ছুরা কেরাত না পড়ার কারণ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |