২১। আউলিয়ায়ে কেরামের পদবীসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ পদবী হলো গাউসুল আ'যম। বড়পীর সাহেব এই পদবীর অধিকারী।
২২। মাযহাব মানা ওয়াজিব। লা-মাযহাবীরা গোমরাহ্ ।
২৩। উম্মতে মোহাম্মদী ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত। ৭২ ফের্কাই জাহান্নামী। মূল দলটি হবে জান্নাতী। উক্ত নাজাত প্রাপ্ত দলের নাম “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত” (মিরকাত)। বর্তমানের নজদীপন্থী ওহাবী, মউদ্দী, আহলে হাদীস ও তাবলীগীরা ৭২ গোমরাহ ফের্কার অন্তর্ভূক্ত। কাদিয়ানীরা বিনা বিতর্কে সর্বসম্মতভাবে কাফের।
২৪। শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদর কুরআন সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত। ঐ রাত্রিসমূহের ইবাদত বন্দেগী কুরআন সুন্নাহ, ইজমা কেয়াছের দ্বারা এবং বুযুর্গানে দ্বীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত ।
২৫। মাযারসমূহের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা এবং যিয়ারত করা উভয়ই সুন্নাত। নবীজীর রওযা মোবারক যিয়ারতের নিয়তে সফর করা হাদীসের দ্বারা সুন্নাত ও ওয়াজিব প্রমাণিত
২৬। দলীয় মতবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে মসজিদে মসজিদে সফর করা ও রাত্রি যাপন করা নাজায়েয। তিন মসজিদ ব্যতিত ইবাদতের নিয়তে অন্য কোন মসজিদে সফর করা জায়েয নয়। (হাদীস)
২৭। মিলাদ কিয়াম করা মোস্তাহাব। উক্ত মোস্তাহাব অস্বীকার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। । [পরিশিষ্ট-২ দেখুন]
২৮। ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি, –১২টি নয়। তারাবীহ্ নামায ২০ রাকআত প্রত্যেক নর-নারীর জন্য সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ্-৮ রাকআত নয় । আযানের পূর্বে দরূদ ও সালাম পাঠ করা মোস্তাহাব। জানাযা নামাযের পর লাইন ভঙ্গ করে খাস দোয়া করা রাসুল ও সাহাবীগণের সুন্নাত। আযানের দোয়ায় হাত উঠানো সুন্নাত। কুলখানী, ফাতেহা, চেহলাম, ওরছ ইত্যাদি নিঃসন্দেহে জায়েয ও উত্তম। [দেখুন আহকামুল মাযার, ফতোয়ায়ে ছালাছী ও ফতোয়া ছালাছা]