১ |
মাজুর ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্তে নতুন অজু করে সে অজু দিয়ে ঐ ওয়াক্তের ফরজ, ছুন্নাত ও নফল নামাজ পড়তে পারবে। এমনকি কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ বা জেকের আজকারও করতে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার অজু ভেঙ্গে যাবে। সে আগের অজুতে অন্য ওয়াক্তের কোন নামাজ পড়বে না। পড়লে নামাজ আদায় হবে না। |
২ |
কোন ওয়াক্তের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত পুরা সময় ওজরের অবস্থা প্রকাশ পেলে মাজুর হিসেবে গন্য হবে। যদি সম্পুর্ণ ওয়াক্ত ওজর প্রকাশ না পায় তবে মাজুর হিসেবে গণ্য হবে না। কোন ব্যক্তির জোহর ওয়াক্তের কিছু সময় চলে যাওয়ার পর ওজর প্রকাশ পেলে সে মাজুর হিসেবে অজু করে ঐ ওয়াক্তের নামাজ আদায় করবে। এরপর সম্পুর্ণ আছর ওয়াক্তের মধ্যে তার ওজর প্রকাশ না পেলে সে মাজুর হিসেবে গন্য হবে না। ফলে তার আগের জোহরের নামাজ যা সে মাজুর হিসেবে পড়েছিল, শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী তা আদায় হবে না। এ কারণে পুনরায় জোহরের নামাজ কাজা আদায় করে নেবে। অন্য ওয়াক্তের বেলায়ও একই হুকুম। |
৩ |
ওজর না থাকা অবস্থায় অজু করার পর পুনরায় ওজর প্রকাশ পেলে ঐ অজুতে নামাজ হবে না। নামাজের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে। |