আল্লাহ তাআ’লা কোরআন মাজীদে এরশাদ করেছেন-
وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَي سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَمَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَحِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيْداً طَيِّبَاً فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ وَلَكِنْ يُرِيْدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আর যদি তোমরা রুগী হও অথবা ছফরে থাক, অথবা তোমাদের কেউ পেশাব পায়খানা করে আস অথবা স্ত্রীর সাথে সহবাস করো, এরপর পবিত্র হওয়ার জন্য পানি না পাও তাহলে তোমরা পাক মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও অর্থাৎ তোমাদের মুখ মন্ডল ও দু’হাত মাটি দিয়ে মুছে ফেল। আল্লাহ তাআ’লা (পবিত্রতার ব্যপারে) তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না বরং (সব সময়) পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত পুরাপুরি দিতে চান যাতে তোমরা তাঁর শোকর গোজারী করতে পার।
— ছুরা মায়েদা
নামাজ অথবা অন্য যে কোন ইবাদাতের জন্য তায়াম্মুম করলে তার নিয়েত করুন। ক্বলব বা অন্তরে নিয়েত করুন। (ফরজ)
আমি নামাজের জন্যে/কোরআন পড়ার জন্যে/ফরজ গোছলের বদলে/ অজুর বদলে তায়াম্মুম করছি।
কপালের চুল উঠার স্থান হতে থুতনির নিচে ও এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সম্পুর্ন মুখ মন্ডল চক্ষুদ্বয়ের পাতা, ভুরু, নাকের ডগা ভালভাবে একবার মাছেহ করুন। (ফরজ)
দু’হাতের কনুই পর্যন্ত মাছেহ করা ফরজ। (ফরজ ৩)
ক) বাম হাতের কনিষ্ঠা অনামিকা ও মধ্যমা আঙ্গুলের আগা হতে গোড়া পর্যন্ত ডান হাতের পিঠের আঙ্গুলগুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্ত একবার মাছেহ করুন।
খ) বাম হাতের বৃ দ্ধা ও তর্জনী আঙ্গুলের ফাক দিয়ে ডান হাতের উপরি ভাগ কনুই হতে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত মাছেহ করুন। তারপর
গ) ডান হাতের কনিষ্ঠা, অনামিকা ও মধ্যমা আঙ্গুলগুলি দিয়ে বাম হাতের পিঠের আঙ্গুলগুলির মাথা হতে কনুই-এর নিচ পর্যন্ত একবার মাছেহ করুন।
ঘ) ডান হাতের বৃদ্ধা ও শাহাদাত আঙ্গুলের ফাক দিয়ে বাম হাতের উপরে কনুই থেকে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত একবার মাছেহ করুন।
ফরজ নামাজ ব্যতীত অন্য কোন কারণে যেমনঃ আযান দেয়া, কোরআন পড়া, কবর জিয়ারত করা, দাফন করা, মছজিদে প্রবেশ করা ইত্যাদীর জন্য তায়াম্মু ম করলে উক্ত তায়াম্মুম দ্বারা ফরজ নামাজ আদায় হবে না। ফরজ নামাজের জন্য নামাজের নিয়েতে আলাদাভাবে তায়াম্মুম করতে হবে।
রোগীকে যদি অন্য কেউ তায়াম্মুম করিয়ে দেয় তবে রোগী তায়াম্মুমের নিয়েত করবে। অন্য কেহ নিয়েত করলে তায়াম্মুম শুদ্ধ হবে না।
যে সব কারণে অজু ভঙ্গ হয় সে সব কারণে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়।
পানি পেলে অথবা ছফর হতে বাড়ী আসলে অথবা রোগী সুস্থ হলে তায়াম্মুম ভেঙ্গে যাবে।
পথে চলার সময় তায়াম্মুমের জন্য হাত রাখা যায় এমন একটা পাতলা কাঠ অথবা পুরু কাগজে মাটি লাগিয়ে সাথে রাখলে সর্বাবস্থায় তায়াম্মুম করে পাক পবিত্র থাকা যায়।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪১) অজু | (০৪৩) মা’জুর ব্যক্তির পবিত্রতা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |