মাসআলা ১
কেয়াম অর্থাৎ দাড়িয়ে নামাজ পড়া ফরজ। কিন্তু পীড়িত বা রোগগ্রস্থ হলে নীচের যে কোন কারণে দাড়িয়ে নামাজ পড়ার বদলে বসে নামাজ পড়া জায়েজ আছে ।
মাসআলা ২
১১৭ | সামান্য কষ্টের ভয়ে বসে নামাজ পড়লে ফরজ রোকন বা কেয়াম আদায় না হওয়ার কারণে নামাজ হবেনা। (আলমগীরী) |
মাসআলা ৩
দাড়াতে পারেন কিন্তু রুকু ছেজদা করতে পারেন না, এ অবস্থায় বসে ইশারায় নামাজ পড়বেন।
মাসআলা ৪
বসে ইশারায় নামাজ পড়ার সময় রুকুর ইশারার চেয়ে ছেজদার ইশারা বেশী করবেন।
মাসআলা ৫
দূর পাল্লার বাসে বা ট্রেনে সিটে বসে নামাজ পড়ার সময় রুকু ছেজদা করতে গেলে ধাক্কা লাগার ভয় থাকলে ইশারায় নামাজ পড়তে পারেন।
মাসআলা ৬
ছেজদা দিলে যদি বায়ু নির্গত হয় তবে বসে ইশারায় নামাজ পড়বেন।
মাসআলা ৭
জামাতে দাড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম কিন্তু একা একা পড়তে সক্ষম হলে জামাত বাদ দিয়ে একা একা দাড়িয়ে নামাজ পড়বেন।
মাসআলা ৮
দাড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বাধতে পারেন বা কিছু কেরাত পড়তে পারেন এ অবস্থায় দাড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বেধে যতদূর সম্ভব দাড়িয়ে পড়বেন। অসুবিধা হলেই বসে যাবেন।
মাসআলা ৯
অক্ষম মনে করে বসে কিছু নামাজ আদায় করার পর সুস্থ হলে বাকী নামাজ দাড়িয়ে পড়বেন।
মাসআলা ১০
১১৮ | অক্ষমতার কারণে ইশারায় রুকু ছেজদা দিয়ে কিছু নামাজ পড়ার পর সক্ষম হলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে পুনরায় পুরো নামাজ দাড়িয়ে পড়বেন। ছেড়ে দিয়ে পুনরায় দাড়িয়ে নামাজ না পড়লে নামাজ হবে না। |
মাসআলা ১১
অতিরিক্ত অসুস্থ হলে চার জানু এক জায়গায় করে বা যেভাবে আরাম পান সেভাবে বসবেন।
মাসআলা ১২
১১৯ | কোন জিনিষের উপর টেক বা ভর দিয়ে বসতে পারলে শুয়ে নামাজ পড়া জায়েজ নেই। শুয়ে পড়লে আদায় হবে না। |
মাসআলা ১৩
বসে নামাজ আদায় করতে অক্ষম হলে শুয়ে ইশারায় নামাজ পড়বেন। শুয়ে তিনভাবে নামাজ পড়া যায়ঃ
মাসআলা ১৪
কোন ব্যক্তি নামাজ পড়তে অক্ষম হওয়ার পরে নামাজ আদায়ে সক্ষম না হয়েই মারা গেলে সে নামাজের ফিদিয়া দেয়া লাগবে না।
মাসআলা ১৫
১২০ | রোগী জুমার দিনে মছজিদে জুমার নামাজ হয়ে যাওয়ার পর জোহর পড়বেন। জুমা ফরজে আইন। এ জন্য জুমার আগে নামাজ পড়লে সে নামাজ আদায় হবে না। |
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৯৫) তারাবীর নামাজ | (০৯৭) নফল নামাজ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |