হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা বলেন - আমরা রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর সঙ্গে কথাবার্তা বলতাম। এ অবস্থায় নামাজের ওয়াক্ত হলে রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর চেহারা মোবারক পরিবর্তন হয়ে যেতো এবং এমন অবস্থা হতো যেন তিনি আমাদেরকে চেনেন না এবং আমরাও তাঁকে চিনি না ।
হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহু আনহা আরো বলেনঃ রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম একরাতে আমার কাছে এসে আমার সঙ্গে শয়ন করলেন। কিছুক্ষন পর বললেন : আমাকে ছেড়ে দাও, আমি আমার রবের এবাদাত করবো। এরপর তিনি নামাজে দাড়ালেন। নামাজে তিনি এত কাঁদতে লাগলেন যে তাঁর চোখের পানি বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেল। এরপর তিনি রুকুতে গেলেন। রুকুতেও তিনি কাঁদতে থাকলেন। এরপর ছেজদায় গেলেন। ছেজদায়ও আগের মতো কাঁদতে থাকলেন। ছেজদা থেকে উঠেও কাঁদতে থাকলেন। এ অবস্থায় হযরত বেলাল এসে ফজরের আজান দিল ।
মুতাররেফ বিন আব্দুল্লাহ বিন শিক্ষীর তার বাপ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ আমি একবার রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর নিকটে গেলাম তখন তিনি নামাজ পড়ছিলেন। আর তাঁর বুকের মধ্যে ডেগের মধ্যের শব্দের ন্যায় শব্দ হচ্ছিল।
অপর বর্ণনায় আছেঃ
আমি নবী করীমকে নামাজ পড়তে দেখলাম। তখন কান্নার কারণে তাঁর বুকের মধ্যে জাতা পেশার মত শব্দ হচ্ছিল।
(আহমাদ, নাছায়ী, আবু দাউদ মেশকাত - ৯৩৫)
নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেনঃ নামাজে আমার তন্দ্রা এলো, আমি অসাড় হয়ে পড়লাম। এ সময় দেখি, আমি আল্লাহ পাকের সামনে হাজির এবং তিনি অতি উত্তম অবস্থায় আছেন । তিনি আমাকে ডাকলেনঃ হে মুহাম্মাদ। আমি উত্তর দিলামঃ হে আল্লাহ ! আমি হাজির । তিনি বললেনঃ মালায়ে আলা কি নিয়ে বিতর্ক করছে ? আমি বললামঃ হে আল্লাহ ! আমি অবগত নই । তিনি এরূপ তিনবার জিজ্ঞেস করলেন। এরপর আমি দেখি, তিনি আমার দু’কাধের মাঝখানে হাত রেখেছেন। আমি আমার বুকের মধ্যে তাঁর মোবারক আঙ্গুলগুলির ঠান্ডা অনুভব করতে লাগলাম। তখন আমার সামনে আছমান জমীনসহ সমস্ত জগত স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হলো এবং আমি সকল বিষয় জানতে পারলাম। ............. এরপর নবী পাক বললেন : এ ঘটনা সত্য। তোমরা এটা শিখে রাখো এবং অন্যকে শিখাও।
(আহমাদ, তিরমিযি, বুখারী, মেশকাত, হাদীছ নং ৬৯২ ও ৬৭১)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৩) নামাজের সপ্তম অবস্থা | (০২৫) ছাহাবাগণের নামাজ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |