ইচ্ছা করে ওয়াজিব তরক করলে ছোহ ছেজদা দিলেও নামাজ হবে না, পুনরায় পড়তে হবে। ভূলে ওয়াজিব তরক হলে ছোহ ছিজদা দিতে হবে। ইচ্ছা করে ছোহ ছিজদা না দিলে নামাজ হবে না।
১ | নামাজ শুরু করতে “তাকবীরে তাহরীমা” বলা ফরজ। “আল্লাহু আকবার” বলা ওয়াজিব। |
২ | জোহর, আছর, মাগরিব, এশার ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাতে, ফজরের ফরজ নামাজে ছুরা ফাতিহা পড়া। |
৩ | তিন অথবা চার রাকাত ওয়ালা ফরজ নামাজের প্রথম অথবা দ্বিতীয় রাকাতে ছুরা ফাতিহা পড়তে ভূলে গেলে তৃতীয় অথবা চতুর্থ রাকাতে ছুরা ফাতিহা পড়া। |
৪ | ফরজ নামাজের প্রথম দু’রাকাতে ছুরা বা কেরাত পড়া। |
৫ | ফজর, মাগরিব, এশার প্রথম দু’রাকাতে জোরে কেরাত পড়া। |
৬ | বেতের, ছুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাতে ছুরা ফাতিহা পড়া। |
৭ | ছুরা ফাতিহার পরে ছোট ছুরা বা কেরাত পড়া। |
৮ | নামাজে কেরাত পড়া অবস্থায় ছুরা ফাতিহা পড়া হয়নি মনে হলে, কেরাত পড়া বাদ দিয়ে আগে ছুরা ফাতিহা পড়া। রুকুর মধ্যে মনে হলে আগে রুকু হতে উঠে ফাতিহা ও ছুরা পড়ে পুনঃ রুকুতে যাওয়া। |
৯ | একাকী নামাজী অথবা ইমাম জোহর, আছরের ফরজ নামাজে কেরাত আস্তে পড়া। |
১০ | জোহর, আছর, মাগরিব ও এশার প্রথম দু’রাকাত বাদে অন্য সকল রাকাতে এবং ওয়াজিব, ছুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাতে আস্তে কেরাত পড়া। |
১১ | ছুন্নাত অথবা নফল পড়া ব্যক্তির পাশে একাকী মাগরিব ও এশার ফরজ নামাজ শুরু করলে জোরে কেরাত পড়ার বদলে আস্তে কেরাত পড়া। |
১২ | একাকী ফরজ নামাজ আদায় কারীর পাশে ঘুমন্ত ও অসুস্থ লোক থাকলে ঘুমন্ত ব্যক্তির ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে অথবা অসুস্থ ব্যক্তির কষ্ট না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে আস্তে অথবা চুপে চুপে কেরাত পড়া। |
১৩ | কেরাত পড়ার সময় তারতীব বা ছুরা কেরাতের ধারাবাহিকতার দিকে লক্ষ্য রাখা। |
১৪ | মোক্তাদীগণ শুনতে পায় এমন স্বাভাবিক উচ্চস্বরে ছুরা ফাতিহা ও কেরাত পড়া। |
১৫ | জোহর, আছরে ইমামের ছুরা ফাতিহা ও ছুরা কেরাত আস্তে পড়া। |
১৬ | মাছবুকের বাকী নামাজের ছুরা কেরাত ও তাকবীর আস্তে পড়া। |
১৭ | কেরাত পড়া শেষে এক তাছবিহ পরিমান চুপ থেকে রুকুতে যাওয়া। |
১৮ | রুকু করার সময় মাথা নিচু রাখা। |
১৯ | রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে এক তাছবীহ পরিমান অপেক্ষা করা। |
২০ | তা’দিলে আরকান অর্থাৎ নামাজের মধ্যে দুই ফরজ আমলের মাঝখানে এক তাছবীহ পরিমান অপেক্ষা করা। |
২১ | দু'ছেজদার মধ্যে এক তাছবীহ পরিমান সোজা হয়ে বসা। |
২২ | ছেজদার সময় নাক ও কপাল বিছানায় লাগিয়ে রাখা। |
২৩ | ইমাম ও মোক্তাদী সকলের আত্তাহিয়্যাতু পড়া। |
২৪ | নামাজের প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর ভূলে আল্লাহুম্মা ছাল্লিয়ালা মোহাম্মাদ বা তার চেয়ে বেশী পড়লে। |
২৫ | ছোহ ছেজদা দেয়ার পর (এক তাছবীহ পরিমান বসার পর) ভূলে দাড়িয়ে গেলে। |
২৬ | এক রাকাতে তিন ছেজদা না করা। |
২৭ | ইমামের কেরাত পড়াকালে মোক্তাদীর চুপ করে শোনা। |
২৮ | মোক্তাদীদের ইমামের অনুসরণ করা। |
২৯ | নামাজের মধ্যে যে কোন ধরনের ছেজদা যেমন- তেলাওয়াতের ছেজদা, ছোহ ছেজদা বা স্বাভাবিক ছেজদা আসলে ছেজদা করা। |
৩০ | দু’ফরজ আদায়ের মধ্যে নিয়মের বেশী অন্য কোন আমল না করা। |
৩১ | দু’রাকাত বা চার রাকাতের আগে বৈঠকে না বসা। |
৩২ | মাকরুহ তাহরিমার সঙ্গে নামাজ না পড়া। |
৩৩ | ইমামের জেহরী কেরাত স্পষ্ট করে পড়া। |
৩৪ | প্রথম ক্সবঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর পরই উঠে দাড়িয়ে যাওয়া। |
৩৫ | ছালাম ফিরানো। |
৩৬ | বিতর নামাজ পড়া। |
৩৭ | বিতরের তৃতীয় রাকাতে রুকুর আগে দোয়া কুনুত পড়া। |
৩৮ | দোয়া কুনুত পড়ার আগে তাকবীর বলা। |
৩৯ | প্রত্যেক মুছল্লির জুমআর খোতবা শোনা। |
৪০ | খোতবার সময় কথা-বার্তা না বলা। |
৪১ | দু’ঈদের নামাজ পড়া। |
৪১ | ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। |
৪৩ | ঈদের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর তাকবীর বলা। |
৪৪ | জানাজার নামাজে পরের তিন তাকবীর বলা। |
৪৫ | দিনের বেলা যে কোন নফল নামাজ আস্তে পড়া। |
৪৬ | ইমাম ওয়াজিব তরক করলে ছোহ ছেজদা না দিলে মোক্তাদীর নামাজ দোহরায়ে পড়া। |
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(১০০) নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ | (১০২) নামাজের মাকরুহ সমুহ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |