এক আয়াতে এসেছে-
فَإِذَا قَضَيْتُمْ مَّنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَذِكْرِكُمْ آبَاءَ كُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا -
(অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সমাপ্ত করিবে তখন আল্লাহকে এমনভাবে স্মরণ করিবে যেমন তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষগণকে স্মরণ করিতে, অথবা তদপেক্ষা অভিনিবেশ সহকারে)
সুরা বাকারা, আয়াত ২০০
এখানে সরব জিকিরের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে অত্যধিক জিকিরের কথা।
আলেমগণের ঐকমত্য এই যে, গোপন জিকিরই উত্তম এবং অতি উচ্চস্বরে জিকির বেদাত। তবে কোনো কোনো উচ্চস্বরে জিকির অত্যাবশ্যক। যেমন- আজান, ইক্বামত, তব্বীর, তাশরীক ইত্যাদি। এ ছাড়া নামাজে ইমামের অজুভঙ্গ হলে তাঁকে উচ্চস্বরে তব্বীর বলতে হয়। মোক্তাদির অজু ভঙ্গ হলে তাকে উচ্চস্বরে 'সুবহানাল্লাহ্' বলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। হজ্বের সময় উচ্চস্বরে বলতে হয় লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক......ইত্যাদি।
নিম্নস্বরের জিকির অথবা গোপন জিকিরই প্রকৃত জিকির। অতি উচ্চস্বরে জিকির করা বেদাত। একথাটিও প্রণিধাননীয় যে, সরবতা ও নীরবতার মধ্যে যেহেতু দৃশ্যত দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, সেহেতু নীরবতাই অধিকতর গ্রহণযোগ্য হওয়াই সমীচীন। তাই গোপন জিকিরই (জিক্সে খফি) উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেয়ীগণের ঐকমত্য ছিলো নীরব জিকিরের পক্ষে।
হাসান বসরী র. বলেছেন, উচ্চস্বরের দোয়া ও নিম্নস্বরের দোয়ার মধ্যে সত্তর হাজার গুণ পার্থক্য রয়েছে। প্রথম যুগের মুসলমানগণ দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া করতেন। তাঁদের ওই দোয়ার সামান্য আওয়াজও শোনা যেতো না। শুধু শোনা যেতো ওষ্ঠ সঞ্চালনের শব্দ। কেননা আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেছেন-
ادْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً
(তোমরা বিনীতভাবে এবং গোপনে তোমাদের প্রভুপালককে ডাক)
সুরা আ'রাফ, আয়াত ৫৫
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০০৬) তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রভুপালককে ডাক | (০০৮) যখন সে তাহার প্রভুপালককে আহবান করিয়াছিল নিভৃতে |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |