হযরত ইব্ন আব্বাস ও মুজাহিদ থেকে বর্ণিত আছে যে, আবূ তালিবেরা সকালে একত্রে বসে বা আলদা আলদা যখন আহার করত তাদের পেট ভরত না। (কারণ আবূ তালিবের পরিবারের লোকসংখ্যা ছিল বেশি, আর তিনি কখনও সচ্ছল ছিলেন না।) কিন্তু রাসূল (সা) যখন তাদের সাথে বসে আহার করতেন তখন সকলেরই পেট ভরে যেত। সেজন্য সকাল কিংবা সন্ধ্যায় খাওয়ার সময় হলে আবূ তালিব বলতেন- অপেক্ষা করো, আমার বাছা আসুক। তারপর রাসূল (সা) আসলে সকালে একসাথে আহার করতেন। তখন সকালের পেট তো ভরতই, খাদ্য বেঁচেও যেত। আর তিনি খাদ্যে অংশগ্রহণ না করলে সকালে (খাদ্যের স্বল্পতা হেতু) ক্ষুধার্ত থাকত। দুধ থাকলে আবূ তালিব প্রথমে রাসূল (সা)-কে পান করাতেন, এরপর সকালে এ পাত্র থেকে পান করতেন। এতে সকলেই পূর্ণভাবে তৃপ্ত হয়ে যেতেন। তাঁকে আবূ তালিব বলতেন, ‘তুমি বড়ই বরকতওয়ালা।’ (খায়ায়েসুল কোবরা)
হযরত উম্মে আরমান রেওয়ায়েত করেন- আমি কখনও রাসূল (সা)-কে ক্ষুধা-তৃষ্ণার কথা বলতে শুনিনি। তিনি ভোরে যমযমের পানি পান করতেন। আমারা তাকে সকালের খাবার দিলে তিনি বলতেন, আমার পেট ভরা। (মাদারেজুন্নবুওয়াত ও খাসায়েসুল কোবরা)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২০) তাঁর উসিলায় বৃষ্টি হলো | (০২২) মূর্তিপূজা ও পাপকাজের প্রতি আশৈশব ঘৃণা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |