১. আযাদ হওয়া অর্থাৎ কৃতদাস না হওয়া। কেননা ক্রীতদাস কোন সম্পদের মালিক হয় না। অর্থাৎ গোলাম হলে তার উপর যাকাত ফরয হবেনা, কেননা সে কোন মাল সম্পদের মালিক হয় না।
২. মুসলিম হওয়া অমুসলিমের উপর যাকাত ফরয হয় না,
৩. বালিগ ও জ্ঞানবান হওয়া। নাবালিগ ও পাগলের উপর যাকাত ফরয নয়। অপ্রাপ্ত বয়স্ক যখনই প্রাপ্তবয়স্ক হবে তখন থেকে সম্পদের বছর গণনা আরম্ভ হবে। এবং বছরপূর্ণ হলে সম্পদের যাকাত দিতে হবে।
৪. মাল-নিসাব পরিমাণ হওয়া, নিসাব পরিমাণ মাল না হলে যাকাত ওয়াজিব হয় না।
৫. পূর্ণ মালিকানা থাকা। অর্থাৎ মালের উপর মালিকানা স্বত্ব ও দখল থাকতে হবে। মালিকানা স্বত্ব আছে কিন্তু দখল নেই অথবা দখল আছে কিন্তু মালিকানা স্বত্ব নেই এরূপ মালের যাকাত ফরয হবে না।
৬. মাল সম্পদ ঋণমুক্ত হতে হবে অর্থাৎ প্রত্যেক ঐ ঋণ যার তাগাদাকারী কোন মানুষ রয়েছে। এ জাতীয় ঋণ হতে মুক্ত হতে হবে। যদি মুক্ত না হয় তাহলে যাকাত ফরয হবে না।
৭. মাল-সম্পদ মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া। যেমন বসবাসের গৃহ, পরিধানের পোষাক পরিচ্ছদ, গৃহস্থালীর আসবাব পত্র, যাতায়াতের যানবাহন, প্রয়োজনীয় অস্ত্র, প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য এ সবের উপর যাকাত ফরয হয় না। অনুরুপ পারিবারিক সাজসজ্জার আসবাবপত্র (যা সোনা রূপার নয়) এবং হিরা মূল্যবান পাথর বা ব্যবসার জন্য নয় তার উপরও যাকাত ওয়াজিব হবে না। তবে এসব যদি ব্যবসার জন্যে হয় তাতে যাকাত ফরয হবে। শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি ও গ্রন্থাদি যা ব্যবসার জন্য নয় তার উপর যাকাত ওয়াজিব নয়।
৮. নেসাবের মাল ক্রমবর্ধনশীল হতে হবে। তা প্রত্যক্ষভাবে হোক যেমন- ব্যবসার মাল বা পরোক্ষভাবে হোক যেমন- সোনা রূপা বা তার দ্বারা প্রস্তুতকৃত অলংকার ইত্যাদি।
৯. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর ঐ সম্পদ একচন্দ্র বছর তার মালিকানায় থাকতে হবে। যদি বছরের প্রথম ও শেষে মাল নিসাব পরিমাণ থাকে কিন্তু বছরের মাঝখানে নিসাব হতে কিছু কমে যায় তাতেও যাকাত ফরয হবে। যদি কোন ব্যক্তি ব্যবসায়ী মাস পরিবর্তন করে নেয় তা হলেও যাকাত দিতে হবে। সাহেবে নিসাব ব্যক্তি বছরের মধ্যখানে আরো কোন সম্পদের মালিক হলে ঐ সমস্ত সম্পদেরও যাকাত দিতে হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।