কোন ঘটনা বা লেনদেন সম্পর্কে কাউকে কোন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি মৌখিক বক্তব্যের মাধ্যমে জানালে টেলিফোন করলে এবং টেলিফোনে তার আওয়াজ সুস্পষ্টভাবে বুঝা গেলে বা চিঠি লিখলে এবং পত্র লেখকের লেখার ভঙ্গি ও হস্তাক্ষর সম্পর্কে প্রাপকের পূর্ণ পরিচিতি থাকলে তার প্রেরিত ও বর্ণিত বক্তব্যে বিশ্বাস স্থাপন করাতে কোন আপত্তি থাকে না। ফলে যাকে সংবাদ জানানো হয়, তার এ সংবাদ পূর্ণ বিশ্বাস জন্মে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা তার জন্য বিধিসম্মত বলে বিবেচিত হয়। দুনিয়ার অধিকাংশ লেন-দেন এভাবেই হয়ে থাকে।
কিন্তু কারো বিশ্বাস্য সংবাদকে সর্বজন গ্রহণীয় করতে হলে এবং এই সংবাদ অনুসারে আমল করানোর ইচ্ছা পোষণ করলে এতে সাক্ষ্য প্রদানের যাবতীয় শর্ত বিদ্যমান থাকতে হবে। নতুবা তা ইসলামী শরীয়াতে গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজেই চাঁদ দেখার বিষয়ে এবং অন্যান্য শরয়ী বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করার জন্য প্রশাসক বা নেতৃস্থানীয় আলিম ব্যক্তি বর্গের সম্মুখে উপস্থিত হওয়া অপরিহার্য। তা না হলে প্রেরিত সংবাদ যতই বিশ্বাসযোগ্য হোক, তা ফয়সালার মানদণ্ডে বিবেচিত হবে না।
চাঁদ দেখা কর্তৃপক্ষ যদি সাক্ষ্য প্রদানে এই বিধান অনুসরণ করেন তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদানের পর তা গ্রহণ করে সরকার কর্তৃক প্রচার করার জন্য শর্ত হল, এ বিষয়টি নিম্নোক্ত তিনটি প্রক্রিয়ার কোন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে:
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫৪) চাঁদ দেখার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য না হলে | (০৫৬) চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |