যদি কারিনের নিকট এ পরিমাণ টাকা পয়সা না থাকে যে, দম খরীদ করার পর উদ্বৃত্ত টাকা দ্বারা সে বাড়ী পৌছতে পারে এবং তার নিকট কোন পশুও না থাকে তবে দমের পরিবর্তে তাকে দশ দিন রোযা রাখতে হবে। এর মধ্যে তিনটি ১০ই যিলহজ্জের পূর্বে রাখবে। বাকিগুলো বিরতি দিয়ে রাখাও জায়িয। কিন্তু বিরতিহীনভাবে রাখা উত্তম। এই তিন রোযা ৭.৮ ও ৯ই যিলহজ্জ তারিখে রাখা উত্তম। কিন্তু যদি রোযা রাখলে দূর্বল হয়ে পড়ার এবং উকূফে আরাফায় ত্রুটি হওয়ার আশংকা থাকে। তবে ৯ই যিলহজ্জের পূর্বে রোযা রাখা উত্তম। বরং এ ধরণের লোকদের জন্য আরাফার দিন রোযা রাখা মারূহ। অবশিষ্ট সাতটি রোযা আইয়ামে তাশরীক অতিবাহিত হওয়ার পর মক্কা মুকাররমায় অথবা অন্য যে কোন জায়গায় রাখতে পারবে। তবে বাড়ী এসে রাখাই উত্তম। এ সাতটি রোযাও ভিন্ন ভিন্নভাবে রাখা জায়িয। তবে একটানা রাখা উত্তম। কিন্তু আইয়ামে তাশরীকের সময় এ রোযা রাখা জায়িয নেই। দমে কিরানের পরিবর্তে যে দশ দিন রোযা রাখার বিধান রয়েছে এর প্রথম তিনটি সহীহ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে:
যদি কেউ রোযা তিনটি প্রথম দশ দিনের মধ্যে রাখতে না পারে এবং ৯ই যিলহজ্জ অতিবাহিত হয়ে যায় তকে সে আর রোযা রাখতে পারবে না। এ অবস্থায় সে ক্ষৌরকার্য সম্পন্ন করে হালাল হয়ে যাবে এবং পরে দু'টি দম আদায় করবে। একটি হজ্জে কিরানের জন্য আর অপরটি যবহের পূর্বে হালাল হওয়ার কারণে। কেউ যদি দম আদায় করতে অপারগ হওয়ার পর রোযা রাখতে আরম্ভ করে আইয়ামে নহরের পূর্বে অথবা আইয়ামে নহরের মধ্যে ক্ষৌরকার্য সম্পন্ন করার আগে দম আদায় করতে সক্ষম হয়, তেব তার রোযা রাখার হুকুম বাতিল হয়ে যাবে। রোযা রাখা যথেষ্ট হবে না। বরং পশু কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।
পক্ষান্তরে কেউ যদি আইয়ামের নহরের পরে অথবা আইয়ামে নহরের মধ্যে মাথা মুণ্ডানো পর দম আদায় করতে সক্ষম হয় তবে তার অবশিষ্ট সাতটি রোযা রাখতে হবে। পুনঃরায় দম দেওয়া তার উপর ওয়াজিব হবে না। অনুরূপভাবে কেউ যদি প্রথম তিনটি রোযা রাখে এবং আইয়ামে নহর অতিবাহিত হওয়ার পর হালাল না হয় অতঃপর দম আদায় করতে সক্ষম হয়। এমতাবস্থায় ও তার উপর দম ওয়াজিব হবে না। রোযা রাখাই যথেষ্ট হবে। পরবর্তী সাতটি রোযা সহীহ্ হওয়ার জন্য শর্ত হল, রাত্রেই রোযার নিয়্যত করতে হবে এবং এই দম রোযার প্রথম তিনটি ১০ই যিলহজ্জের আগে সম্পন্ন করতে হবে।
মক্কা, মীকাত এবং হিল্ল এর অধিবাসীদের জন্য হজ্জে কিরান নিষিদ্ধ। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি স্থায়ীভাবে মক্কায় বসবাস করে তার জন্যও হজ্জে কিরান জায়িয নয়। অবশ্য যদি এ সব লোক হজ্জের মাস সমূহের পূর্বে মীকাতের বাইরে কোথাও গমন করে এবং ফিরার সময় হজ্জে কিরান আদায়ের নিয়্যত করে তবে জায়িয হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২০০) হজ্জে কিরানের মাসাইল | (২০২) এক নযরে হজ্জে কিরান |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |