১. উমরার পূরা তাওয়াফ অথবা অধিকাংশ তাওয়াফ আদায় করার আগেই হজ্জের ইহরাম বাঁধা। কেউ যদি উমরার অধিকাংশ তাওয়াফ সম্পন্ন করার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধে তবে সে কারিন হতে পারবে না।
২. উমরা ফাসিদ করার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাঁধা। সুতরাং যদি কেউ উমরা ফাসিদ হওয়ার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধে তবে হজ্জে কিরান করা সহীহ্ হবেনা। বরং ইফরাদ হবে।
৩. উমরার পুরা তাওয়াফ অথবা অধিকাংশ তাওয়াফ উকূফে আরাফার পূর্বে সম্পন্ন করা। কেউ যদি উমরার তাওয়াফ করার পূর্বেই উকূফে আরাফা করে তবে তার উমরা বাদ পড়ে যাবে। আইয়ামে তাশরীফের পর এর কাযা করতে হবে এবং এর জন্য একটি দম আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এ অবস্থায় এবং তাকে দমে কিরান আদায় করতে হবে না।
৪. হজ্জ এবং উমরাকে ফাসিদ না করা যদি কেউ উকূফ এবং উমরার অধিকাংশ তাওয়াফ সম্পন্ন করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করে তার তার কিরান হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং দমে কিরান তার থেকে রহিত হয়ে যাবে। উক্ত ব্যক্তি যদি কুরবানীর পশু সাথে এনে থাকে তবে সে একে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে।
৫. উমরার পুরা তাওয়াফ অথবা এর অধিকাংশ তাওয়াফ হজ্জের মাসসমূহে আদায় করা। কেউ যদি অধিকাংশ তাওয়াফ হজ্জের মাস সমূহের পূর্বে আদায় করে তবে সে কারিন হিসাবে গন্য হবে না।
৬. আফাকী হওয়া অর্থাৎ হজ্জের মাস সমূহে মক্কায় অবস্থানকারী মুকীম না হওয়া। সুতরাং মক্কাবাসী লোকদের জন্য হজ্জে কিরান নেই। অবশ্য তাদের কেউ যদি হজ্জের মাস সমূহের মীকাতের বাইরে যায় এবং হজ্জের মাস সমূহে মক্কায় পূর্বে আগমন করে তবে উক্ত ব্যক্তি হজ্জে কিরান আদায় করতে পারবে।
৭. হজ্জ ফাওত না হওয়া। কারো যদি হজ্জ ছুটে যায় তবে সে কারিন থাকবে না এবং তার উপর দমে কিরানও ওয়াজিব হবে না (শামী, ২য় খণ্ড)।