১. উমরার পূর্ণ তাওয়াফ অথবা অধিকাংশ তাওয়াফ হজ্জের মাস সমুহে সম্পন্ন করা। হজ্জের মাস সমূহের পূর্বে উমরার ইহরাম বাঁধাতে কোন ক্ষতি নেই।
২. হজ্জের ইহ্রামের আগে উমরার ইহরাম বাঁধা।
৩. হজ্জের ইহরামের পূর্বে উমরার পূর্ণ তাওয়াফ বা অধিকাংশ তাওয়াফ সম্পন্ন করা।
৪. উমরা ফাসিদ না করা।
৫. হজ্জ ফাসিদ না করা।
৬. উমরা শেষ করে হালাল হওয়ার পর আফাকী ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে না আসা।
৭. উমরার পূর্ণ তাওয়াফ অথবা অধিকাংশ তাওয়াফ এবং হজ্জ একই সফরে সম্পন্ন করা। কেউ যদি তাওয়াফ পূর্ণ করার আগে বাড়ীতে চলে আসে তারপর পুনরায় মক্কা গমন করে হজ্জ সমাপন করে তবে প্রথম সফরে অধিকাংশ তাওয়াফ সম্পন্ন করে থাকলে সে মুতামাত্তি হবে না। আর যদি অধিকাংশ তাওয়াফ পরের সফরে আদায় করে থাকে তবে মুতামাত্তি হিসাবে গন্য হবে।
৮. হজ্জ এবং উমরা একই বছর সম্পন্ন করা। কেউ যদি হজ্জের মাস সমূহে এক বছর উমরার তাওয়াফ আদায় করে এবং অন্য বছর হজ্জ সম্পন্ন করে তবে উক্ত ব্যক্তি মুতামাত্তি হিসাবে গন্য হবেনা। যদিও বাড়ীতে ফিরে না আসে অথবা দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত পূর্বের ইহরামে অবস্থায় থাকে, তবুও তা হজ্জে তামাকু সহীহ হবে না।
৯. হজ্জের মাস সমূহে উমরা আদায় করে মক্কা মুকাররামাকে স্থায়ী আবাসস্থল না বানানো। সুতরাং কেউ যদি উমরা আদায় করার পর মক্কা শরীফে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সংকল্প নেয় তবে সে মুতামাত্তি হিসাবে গন্য হবে না। যদি একমাস দুই মাস বসবাসের সংকল্প করে এবং পরে হজ্জ করে তবে তার তামাত্তু সহীহ্ হবে।
১০. মক্কা শরীফে হালাল অবস্থায় অবস্থান কালে হজ্জের মাস সমূহের আগমন না করা। অথবা ইহরাম অবস্থান থেকে অধিকাংশ তাওয়াফ হজ্জের মাস আসার পূর্বে না হওয়ায়।
১১. তামাত্তুর জন্য আফাকী অর্থাৎ মীকাতের বাইরে বসবাস কারী হওয়া শর্ত। মক্কা মুকাররমায় এবং মীকাতের অভ্যন্তরে বসবাসকারী লোকদের জন্য তামাকু নেই (শামী, ২য় খণ্ড)।