১. মুসলমান হওয়া। ইসলাম হল প্রত্যেক আমল বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত।
২. ইহরাম। বিনা ইহরামে হজ্জ আদায় করা হলে তা সহীহ হবে না।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে হজ্জ করা। অর্থাৎ হজ্জের নির্ধারিত মাসে হজ্জের কাজসমূহ আদায় করা।
৪. হজ্জের প্রত্যেকটি কাজ এর নির্দিষ্ট স্থানে সম্পন্ন করা। অর্থাৎ উকূফ-আরাফাতের ময়দানে, তাওয়াফ মসজিদে হারামে, কুরবানী-হরমের সীমানার মধ্যে এবং কংকর-মিনায় নিক্ষেপ করা। সুতরাং কেউ যদি হজ্জের কোন রুকন বা ওয়াজিব অথবা সুন্নাত এর নির্দিষ্ট স্থানে আদায় না করে অন্যত্র আদায় করে তবে তা সহীহ হবে না।
৫. ভাল মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা থাকা।
৬. জ্ঞানবান হওয়া।
৭. হজ্জের যাবতীয় কাজ চাই তা শর্ত অথবা রুকন অথবা ওয়াজিব যাই হোক না কেন নিজেই তা আদায় করা। অবশ্য ওযরবশত কোন কোন কাজ অন্যকে দিয়ে করানো যায়।
৮. ইহরাম বাঁধার পর আরাফাতের ময়দানে অবস্থান পর্ব সমাপ্ত করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস না করা। যদি কেউ আরাফার ময়দানে অবস্থান করার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করে ফেলে তবে তার হজ্জ সহীহ হবে না বরং পরবর্তীতে কাযা করা ওয়াজিব হবে।
৯. যে বছর ইহরাম বাঁধবে ঐ বছরই হজ্জ সমাপন করা (শামী, ২য় খণ্ড ও মুআল্লিমুল হুজ্জাজ)।