কেউ যদি রোযা অবস্থায় হঠাৎ এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যে রোযা রাখলে জীবন নাশের আশংকা দেখা দিতে পারে বা রোগ বেড়ে যেতে পারে এ অবস্থায় রোযা ছেড়ে দেওয়া ক্ষুধা বা পিপাসায় প্রাণ যায় এরূপ অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করা জায়িয (হিদায়া, ১ম খণ্ড ও মারাকিল ফালাহ্)।
রোযা অবস্থায় গর্ভবর্তী মহিলার যদি নিজের বা সন্তানের প্রাণ-নাশের আশংকা হয় তবে রোযা ভঙ্গ করা জায়িয (শরহুল বিদায়া)।
কষ্টসাধ্য কোন কাজের কারণে কাতর হয়ে যদি ক্ষুৎপিপাসায় প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দেয় তবে রোযা ছেড়ে দেওয়া দুরস্ত আছে। অবশ্য রোযাদার অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া স্বেচ্ছায় এরূপ কঠিন কাজে লিপ্ত হওয়া গুনাহের কাজ।
উপরোক্ত অবস্থায় ওযরের কারণে রোযা ছেড়ে দিলে পরবর্তী সময়ে তার কাযা করতে হবে (শামী, ২য় খণ্ড)।
রোযা অবস্থায় যদি এমন ক্ষুধা বা পিপাসা লাগে যে প্রাণ নাশের আশংকা দেখা দেয় অথবা জ্ঞান লোপ পাওয়ার উপক্রম হয়ে যায় তবে রোযা ভঙ্গ করা জায়িয (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
ওযরের কারণে নফল রোযা ভঙ্গ করা জায়িয। অবশ্য পরে তা কাযা করে নিতে হবে। যিয়াফতও এক ধরণের ওযর। অতএব মেযবান যদি আহার না করলে অসন্তুষ্ট হয় তাহলে রোযা ভঙ্গ করা জায়িয। পরে কাযা করে নিতে হবে। অবশ্য মেযবান যদি শুধু উপস্থিতির উপর সন্তুষ্ট থাকে এবং আহার করার ব্যাপারে পীড়াপীড়ি না করে তবে রোযা ভঙ্গ করবে না।
শামসুল আইম্মা হুলওয়ানী (র.) বলেন, পরে কাযা করতে পারবে বলে ইয়াকীন থাকলে নফল রোযা ভঙ্গ করা জায়িয হবে। যদি কাযা করতে পারবে বলে ইয়াকীন না থাকে তাহলে মেযবানের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও রোযা ভঙ্গ করা জায়িয হবে না। দ্বিপ্রহরের আগে এরূপ অবস্থা ঘটলে উক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে। কিন্তু দ্বিপ্রহরের পরে ঘটলে রোযা ভঙ্গ করা জায়িয হবে না তবে পিতামাতা অথবা স্বামীর নির্দেশে দ্বিপ্রহরের পরও নফল রোযা ভঙ্গ করা জায়িয্যকাযা ও ওয়াজিব রোযার ক্ষেত্রে উপরোক্ত কারণ সমূহ ওযর হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।