বিভিন্ন কারণে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় রোযা অবস্থায় সে সব কাজগুলো অবশ্যই পরিত্যজ্য, অন্যথায় রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রোযা ভঙ্গের পর কোন কোন অবস্থায় শুধু কাযা ওয়াজিব হয়। আবার কোন কোন অবস্থায় কাযা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
রোযাদার ব্যক্তিকে জোরপূর্বক কোন কিছু আহার করানো হলে, কুলি করা বা নাকে পানি দেওয়ার সময় রোযার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও অসতর্কতাবশত পেটে পানি প্রবেশ করলে, রোযাদারের প্রতি কোন কিছু নিক্ষেপ করার পর তা তার গলায় প্রবেশ করলে, ডুব দিয়ে গোসল করার সময় হঠাৎ নাক বা মুখ দিয়ে পানি গলার মধ্যে প্রবেশ করলে, রোযার দিনে ঘুমের অবস্থায় কোন কিছু আহার করলে, অথবা রোযার অবস্থায় পাথর, লোহা বা শিশার টুক্তা বা এ জাতীয় কোন বস্তু গলাধঃকরণ করলে যা সাধারণত খাদ্য হিসাবে খাওয়া হয় না বা ঔষধরূপেও সেবন করা হয় না এ সব ক্ষেত্রে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ রোযার কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেন না (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
লোবান, আগর বাতি জ্বালিয়ে ইচ্ছাকৃত এর ধোঁয়া গ্রহণ করলে, হুক্কা, সিগরেট ইত্যাদি পান করলে, কাচা লাউ যা রান্না করা হয়নি তা ভক্ষণ করলে, তাজা বা শুকনা আখরোট, শুকনো বাদাম, খোসাসহ ডিম, ছিলকা সহ আনার ও কাচা পেস্তা ভক্ষণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এতে কাযা ওয়াজিব হবে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। শুকনো পেস্তাবাদাম চিবিয়ে ভক্ষণ করলে কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। অবশ্য না চিবিয়ে গিলে ফেললে কাফফারা ওয়াজিব হবে না। খোসা ফাটা থাকলেও অধিকাংশ ফকীহদের মতে এ হুকুমই প্রযোজ্য হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
চাউল, বাজরা, মশুরী, মাসকলাই ইত্যাদি ভক্ষণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে ও কাযা ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। দাঁতের ফাঁকে যদি কোন খাদ্য দ্রব্য আটকিয়ে থাকে আর তা সামান্য পরিমাণ হলে রোযা ফাসিদ হবে না। পরিমাণে বেশী হলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। চনা বুট বা এর চেয়ে বড় কোন কিছু হলে একে বেশী বলে গণ্য করা হবে। এর চেয়ে ছোট বা কম হলে তা কম বলে ধর্তব্য হবে। এরূপ কোন বস্তু মুখ থেকে বের করে হাতে নিয়ে পুনঃরায় তা গলাধঃকরণ করলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা তিল গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা এতো একেবারেই ক্ষুদ্র বস্তু। তবে এ জাতীয় বস্তু মুখের বাইরের থেকে নিয়ে গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কাফফারা ওয়াজিব হবে কিনা এ সম্বন্ধে ফকীহগণের মতভেদ থাকলে সহীহ্ মত হল, না চিবিয়ে গলাধঃকরণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। আর চিবিয়ে গলাধঃকরণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য চিবানোর পর গলায় স্বাদ অনুভূত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যদি গমের দানা চিবায় তবে রোযা ফাসিদ হবে না। কেননা এতো মুখেই বিলীন হয়ে যায়। অন্যকে খাওয়ানোর জন্য কেউ যদি খানা চিবায় এবং তা যদি মুখের ভেতর চলে যায় তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
সাহরীর লোকমা মুখে রয়ে গেলে এবং ফজর উদিত হওয়ার পর তা গলাধঃকরণ করলে তার রোযা ভঙ্গ হবে ও কাযা ওয়াজিব হবে। আর যদি মুখ থেকে বের করে পুনঃ খায় তাহলে কাযা কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। অন্যের থু থু গলাধঃকরণ করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এতে কাযা ওয়াজিব হবে। কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেনা। কিন্তু প্রিয় ব্যক্তির থু থু গলাধঃকরণ করলে কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। নিজের মুখের থুথুতে বেশিই হোক তা গলাধঃকরণ করলে রোযার কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু নিজের থুথু হাতে নিয়ে পুনঃরায় তা গলাধঃকরণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হৰে না। যদি কথা বলার সময় অথবা অন্য কোন সময় মুখের থুথুতে রোযাদার ব্যক্তির ওষ্ঠদ্বয় ভিজে যায় অতঃপর সে যদি তা গিলে ফেলে তাহলে তার রোযা ফাসিদ হবে না। যদি লালা মুখ থেকে থুতনি পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে যায় এবং এর যোগসূত্র মুখের মধ্যে থাকে এমতাবস্থায় উক্ত লালা মুখে টেনে নিয়ে তা গিলে ফেললে রোযা ফাসিদ হবে না। কিন্তু মুখের সাথে যুগসূত্র ছিন্ন হয়ে গেলে এবং তা গলাধঃকরণ করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
রোগের কারণে যদি কারো মুখ থেকে লালা নির্গত হয়ে মুখে পুনঃ প্রবেশ করে এবং হুলকুমে ঢুকে তবে রোযা ভঙ্গ হবে না। রক্ত পান করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে হুলকুমে ঢুকলে যদি থুথুর পরিমাণ বেশী হয় তাহলে ক্ষতি নেই। আর রক্তের পরিমাণ বেশী হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। সমান সমান হলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রেশমের রঙ্গের কাজ করার সময় যদি রেশম মুখের ভেতর ঢুকে এবং মুখের থুথু রঙ্গিন হয়ে যায় তবে এ থুথু গলাধঃকরণ করলে এবং এ সময় রোযার কথা স্মরণ থাকলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে বৃষ্টি বা বরফের পানি গলার ভেতর ঢুকলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
রোযা অবস্থায় চোখের দুই এক ফোটা পানি মুখে ঢুকলে রোযা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু চোখের পানির পরিমাণ বেশী হলে এবং সম্পূর্ণ মুখে এর লবণাক্ততার স্বাদ অনুভূত হলে আর সে পানি গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বমি হওয়ার পর তা পুনরায় গিলে ফেললে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভরে বমি করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। নাকে নস্য গ্রহন করলে, কানে তৈল ঢাললে অথবা পায়খানার রাস্তায় ডুস নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এতে কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হবে না (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
কোন মহিলা যদি তার যোনি পথে কোন তরল পদার্থ ফোটা ফোটা করে প্রবেশ করায় তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। পেট বা মাথার যখমে ঔষধ ব্যবহার করার পর তা যদি পেটে বা মাথার ভেতরে ঢুকে যায় তাতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ভেতরে না ঢুকলে রোযা ভঙ্গ হবেনা। অবশ্য তরল ঔষধ ব্যবহার করার পর তা ভেতরে ঢুকছে কি ঢুকেনি নিশ্চিতভাবে না জানা গেলে ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মতে এ অবস্থায় ও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা তরল ঔষধ স্বাভাভেই ভেতরে ঢুকে যায়।
যদি কারো পেটে তীর বা বর্শাইত্যাদি বিদ্ধ হয়ে পেটের ভেতরে থেকে যায় তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে তীর বা বর্শার কিছু অংশ বাইরে থেকে গেলে রোযা ভঙ্গ হবে না। সুতা দিয়ে বাধা গোস্তের টুক্রা গিলে তৎক্ষণাৎ তা বের করে ফেললে রোযা ভঙ্গ হবেনা। কিন্তু সাথে সাথে বের না করে রেখে দিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। পানি বা তৈল দ্বারা ভিজানো আঙ্গুল মলদ্বারে অথবা মহিলার যোনিদ্বারে ঢুকানো হলে, পানি বা তেল ভিতরে প্রবেশ করার কারণে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রোযার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় এরূপ করা হলে সেক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
মলত্যাগের সময় রোযাদার ব্যক্তির বসা অবস্থায় মলদ্বার বেরিয়ে আসলে পানি ব্যবহারের পর ঐ পানি না মুছে দাঁড়ালে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কারণ তাতে গুহ্যদ্বার দিয়ে পেটের ভিতর পানি প্রবেশের আশংকা থাকে।
ফকীহগণ একথাও বলেছেন যে, রোযাদার ব্যক্তি ইস্তিনজা করার সময় শ্বাস গ্রহণ করবে না। কেননা এতে পেটের ভিতর পানি ঢুকার আশংকা আছে। রোযাদার ব্যক্তি যদি ইস্তিনজার সময় এত বেশী পানি ব্যবহার করে যে, যাতে পানি মলদ্বারের ভেতরে ঢুকে যায় তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রোযা অবস্থায় কাউকে জোরপূর্বক সঙ্গম করানো হলে তার উপর কাযা ওয়াজিব হবে। কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেনা। অনুরূপ কোন মহিলা যদি কোন পুরুষকে জোরপূর্বক সঙ্গম করতে বাধ্য করে তাহলে উক্ত পুরুষের উপরও কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। স্ত্রীকে চুম্বন করার পর বীর্য নির্গত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। স্ত্রী স্বামীকে চুম্বন করলে যদি আদ্রতা দেখতে পায় তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অনুরূপ আদ্রতা না দেখে শুধু তৃপ্তি অনূভূত হলেও ইমাম আবূ ইউসুফ (র.)-এর মতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অবশ্য ইমাম মুহাম্মদ (র.) ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
নিজ স্ত্রীকে স্পর্শ করা, একত্রে মিলিতভাবে শয়ন করা, মুসাফাহা করা এবং মু'আনাকা করা এগুলো সব চুমু দেওয়ার মতই অর্থাৎ স্ত্রীকে চুমু দিলে যে হুকুম হয় এসকল ক্ষেত্রেও ঐ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কাপড়ের উপর দিয়ে স্ত্রীকে স্পর্শ করার পর বীর্য নির্গত হলে এ ক্ষেত্রে স্বামী যদি স্ত্রীর শরীরের উষ্ণতা অনুভব করে তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। অন্যথায় ভঙ্গ হবে না। রোযা অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি হস্তমৈথুন করে এবং এতে বীর্য নির্গত হয় তবে তার উপর কাযা ওয়াজিব হবে। অনুরূপ স্ত্রীর দ্বারা হস্ত মৈথুন করিয়ে বীর্যপাত করানো হলে তাতেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
সাহরী খাওয়ার পর পান মুখে ঘুমিয়ে পড়লে এবং সুবহে সাদিকের পর জাগ্রহ হলে এ রোযা সহীহ হবেনা। কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না (তাতার খানিয়া, ১ম খণ্ড)।
ঘুমন্ত মহিলার সাথে সহবাস করলে মহিলার রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। তার উপর কাযা ওয়াজিব হবে এবং পুরুষের উপর কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। ক্ষণে ভাল ক্ষণে পাগল এ জাতীয় কোন মহিলা যদি সুস্থ অবস্থায় রোযার নিয়্যত করে এবং পরে যদি তার সাথে কেউ যিনা করে তবে তার উপরও কাযা ওয়াজিব হবে এবং পুরুষের উপর কাযা ও কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
যদি কোন ব্যক্তি রোযা অবস্থায় ভুলে পানাহার বা স্ত্রী সহবাস করার পর রোযা ভেঙ্গে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পুনরায় পানাহার করে তবে তার রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে। এতে কাযা ওয়াজিব হবে কিন্তু কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না।
বমি হওয়ার পর রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে পানাহার করলে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাতে কাযা ওয়াজিব হবে। কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। আর এতে রোযা ভঙ্গ হয় না এ কথা জানা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত রোযা ছেড়ে পানাহার করলে তাতে কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। স্বপ্নদোষ হওয়ার পর রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে পানাহার করলে কাযা ওয়াজিব হবে। কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হবে না। অবশ্য স্বপ্ন দোষের হুকুম জানা সত্ত্বেও এরূপ করলে কাফফারা ও ওয়াজিব হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
রামাযান মাসে কোন কারণবশত যদি রোযা ভঙ্গ হয়ে যায় তাহলেও দিনের বেলায় রোযাদারের ন্যায় পানাহার বন্ধ রাখা ওয়াজিব (হিদায়া, ১ম খণ্ড)।
রামাযান মাসে নিয়্যত করে রোযা রাখার পর ওজর ব্যতীত স্বেচ্ছায় তা ভঙ্গ করলে ঐ রোযার কাযাও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হয়। মলদ্বার বা যোনিদ্বার দিয়ে যৌনচারিতায় লিপ্ত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। বীর্যপাত হোক বা না হোক কাযা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। মহিলা যদি স্বেচ্ছায় পুরুষের সাথে এ কাজে লিপ্ত হয় তবে তাদের উভয়ের ক্ষেত্রেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। জোরপূর্বক আরম্ভ করার পরে মহিলা যদি স্বেচ্ছায় এ কাজে রাযী হয়ে যায় তবে সে ক্ষেত্রেও কাযা ও কাফ্ফারা উভয় ওয়াজিব হবে। কোন মহিলা যদি কোন বালক বা পাগলকে সুযোগ দেয় এবং তারা যদি তার সাথে যিনা করে তবে উক্ত মহিলার উপর কাযা ও কাফ্ফারা উভয় ওয়াজিব হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য বা ঔষধ গ্রহণ করলে কাযা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।
রোযাদার ব্যক্তি যদি খাদ্য বা পানীয় জাতীয় কোন কিছু পানাহার করে তাহলে কাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে।
যে সব গাছের পাতা সাধারণত ভক্ষণ করা হয় তা ভক্ষণ করলে কাযা ও কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে। শাক-সব্জির হুকুমও অনুরূপ। (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
শুধু লবণ খেলেও কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। রোযা অবস্থায় শিংগা লাগনোর পর রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে আহার করলে কাযা ও কাফ্ফ্ফারা উভয় ওয়াজিব হবে।
চোখে সুরমা ব্যবহার করা অথবা শরীরে বা গোঁফে তৈল মাখার পর রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। মিস্তয়াক করার পর রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।
পরনিন্দা করার কারণে রোযা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে।
কোন ঘুমন্ত মহিলার সাথে সহবাস করা হলে পুরুষের উপর কাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে (শামী)।
রামাযান মাসে রোযার নিয়্যত করে রোযা আরম্ভ করে ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে। রামাযান ছাড়া অন্য কোন রোযা ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না। অনুরূপ রামাযানের রোযার নিয়্যত করার পূর্বে রোযা ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে না (হিদায়া, ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৪) মাকরূহ রোযা | (০২৬) যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |