يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا - وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا -
(হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো)
সুরা আহযাব, আয়াত ৪১, ৪২
এখানেও 'আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো' অর্থ তোমরা প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করো আল্লাহর জিকিরের সঙ্গে।
হজরত ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন, আল্লাহতায়ালা প্রতিটি পুণ্যকর্মের সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। কিন্তু জিকিরের জন্য কোনো সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেননি। অক্ষমতার ক্ষেত্রে অবশ্য বিধানটি শিথিল হলেও হতে পারে। কিন্তু জিকিরের কোনো সীমানা আসলে নেই। নেই কোনো অজুহাতও। বিষয়টি শিথিল কেবল পাগলদের ক্ষেত্রে। অন্য সকলের ক্ষেত্রে বিধানটি অত্যাবশ্যক। অর্থাৎ কোনো অবস্থাতেই জিকির পরিত্যাগ করা যাবে না। যেমন এক আয়াতে বলা হয়েছে 'যারা জিকির করে দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে......'। এখানেও তেমনি বলা হয়েছে- তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো অধিক পরিমাণে। অর্থাৎ জিকির করো নিশিথে-দিবসে-জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সুস্থ-অসুস্থ প্রকাশ্য-গোপন সকল অবস্থায়।
মুজাহিদ বলেছেন, অধিক পরিমাণে জিকির করার মর্মার্থ হচ্ছে- আল্লাহর কথা কখনোই বিস্মৃত হওয়া যাবে না। আমি বলি, এরকম অবস্থা লাভ হতে পারবে কেবল তখন, যখন লাভ হবে ফানায়ে কলব। এমতাবস্থায় অন্তর্জগতে সতত জাগ্রত থাকে আল্লাহ্ জিকির।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৭) অধিক স্মরণকারী নারী-পুরুষের জন্য আল্লাহর ক্ষমা | (০১৯) যাহারা আল্লাহর স্মরণে পরাম্মুখ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |