القاديانية حركة نشأت سنة ١٩٠٠ بتخطيط في الإستعمار الإنجيلزي في القارة الهندية بهدف إبعاد المسلمين عن دينهم
وعن فريقة الجهاد بشكل خاص
বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনায় এ উপমহাদেশের মুসলিম জাতিকে তাঁদের ধর্মীয় চেতনা ও অনুভূতি থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং বিশেষ কৌশলে তাঁদেরকে জিহাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে বিমূখ করার লক্ষ্যে উনবিংশ শতাব্দীতে কাদিয়ানী আন্দোলনের সূচনা হয়।
এ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হলো মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৫ খৃঃ-১৯৮০)। মৌঃ নূর উদ্দীন ছিলেন কাদিয়ানীদের প্রথম খলীফা। মুহাম্মদ আলী লাহোরী কাদিয়ানীদের আমীর ছিলেন। তিনি ইংরেজী ভাষায় বিকৃতভাবে কুরআন শরীফের ব্যাখ্যা প্রদান করেন। মুহাম্মদ সাদিক ছিলেন কাদিয়ানীদের মুফতী এবং মাহমুদ আহমদ ইবন গোলাম ছিলেন কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলীফা।
কাদিয়ানী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায় কাদিয়ান নামক গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মৃত্যুর পর এখানেই তাকে দাফন করা হয়।
তার কবরের উপর 'فوز اغلام أحمد موعود কথাটি খচিত আছে। এখানে মাওউদ' শব্দের তাৎপর্য হল তাদের ধারনা মির্জা গোলাম আহমদই প্রতিশ্রুত মাহদী যার অপেক্ষা করা হচ্ছে। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবীগুলোর কত কতকাংশ উল্লেখ করা হলো।
মির্জা গোলাম আহমদ কাদীয়ানী জীবনের অধিকাংশ সময় ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা, লেখালেখি, সমালোচনা করার পর নিজের নবী, ইমাম মাহদী, মসীহ মাওউদ, মুজাদ্দিদ ইত্যাদি হওয়ার দাবী উত্থাপন করে নিরিহ জনগণের বায়'আত গ্রহণ করেন। এ সকল দাবী তিনি এক সময় করেন নি বরং সুযোগের চাহিদানুযায়ী সময় মত একের পর এক দাবী করতে থাকে। তিনি জাল নবুওয়াত ও অন্যান্য প্রতারণা দাবী উত্থাপন করতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ফলে তার বিভিন্ন ভাষ্যে আল্লাহর তা'আলা, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), সাহাবায়ে কিরাম, উলামায়ে উম্মাত, সাধারণ মুসলমান এবং হারামাইন শরীফাইন ইত্যাদির শানে আপত্তিকর মন্তব্য ও চরম বেয়াদবী প্রকাশ করেন, যা শরী'আতের দৃষ্টিতে কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয় তিনি তার জাল নবুওয়াতের ভিত্তি রচনা করতে গিয়ে শাশ্বত বিধান আল-কুরআন ও আল-হাদীসের তাহরীফ করেছেন এবং ভুল বিভ্রান্তিকর ও বিকৃত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। এ সকল অন্যায় কাজ করার পর তিনি মুসলমানদের দুশমন ইংরেজ শাসকের নিকট আশ্রয় নিতেন। তিনি নিজ জামায়াত বৃটিশের লাগানো চারা বলে উল্লেখ করেছেন। তার নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত প্রতিটি ইসলামী অনুশাসন ছিল মুসলমানদের থেকে ভিন্ন ধরনের। এ সত্ত্বেও কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে আসল মুসলিম বলে দাবী করছে এবং বিশ্বের কোটি কোটি মুসলামনদেরকে কাফির বলে মন্তব্য করছে। মির্জা গোলাম আহমদের অনুসারীরা 'আঞ্জুমানে আহমদীয়া' নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করে এর মাধ্যমে প্রায় এক শতাব্দী যাবত তাদের বাতিল মতবাদ প্রচার করে আসছে। (কাদিয়ানী সম্পর্কে বিশ্ব মুসলিম সর্ব সম্মত ফাতওয়া, ৩ পৃষ্ঠা ও সংগ্রহ ও গ্রন্থনায়: মোহাম্মদ আবুল কাসেম ভূঞা)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৩৭) মুতাযিলা সম্প্রদায়ের মূলনীতি সমুহ | (০৩৯) কাদিয়ানীদের ধ্যান ধারনা ও বাতিল আকীদা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |