১. আল-আদল (١لعدل): আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা। তাঁর সৃষ্টির জন্য যা সবচেয়ে উত্তম তা-ই তাঁর সকল কাজের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি কোন অন্যায়ের ইচ্ছাও করেন না আর আদেশও দেন না। যদি তিনি এ পর্যায়ে করতেন আর এর উপর শান্তি দিতেন তবে এটা হবে যুলুম। আল্লাহ্ তা'আলা ন্যায়বিচারক কারো প্রতি যুল করেন না।
২. আত্-তাওহীদ (التوحيد): মুতাযিলাদের মতে আল্লাহ্ তা'আলার একত্ব বলতে বুঝায় যে, আল্লাহ্ তা'আলার সত্তার বাইরে কোন সিফাত বা গুণ নেই। কুরআর চিরন্তন বা অসৃষ্ট নয় এবং আল্লাহ্ মানুষের চাক্ষুষ দর্শনের বহির্ভূত।
৩. ইনকাযুল ওয়াঈদ (إنقاذ الوعيد): আল্লাহ্ তা'আলা পূণ্যবানদেরকে পুরস্কৃত এবং পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করার বিধান রেখেছেন। এ ওয়াদা ভংগ করেন না। সুতরাং আল্লাহ্ তা'আলা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করতে পারবেন।
৪. আল-মানযিলাতু বাইনাল মানযিলাতাইন (المنزلة بين المنزلتين): যে মুসলিম কবীরা গুনাহ করে সে মু'মিন নয় আর কাফিরও নয়। সে ঈমান ও কুফরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে। মু'মিন শব্দটি সম্মানসূচক বিধায় যে ব্যক্তি কবীরা গুনাহ করে তাকে মু'মিন বলা যায় না। তার মধ্যে ঈমান থাকার কারণে তাকে কাফির ও বলা যায় না। এ দৃষ্টিকোণ থেকে মুতাযিলা সম্প্রদায় المنزلة بين المنزلتين এর আকীদা পোষণ করে।
৫. আল-আমর বিল-মারূফ ওয়ান নাহি-আনিল মুনকার الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر : এ ব্যাপারে মতাযিলী সম্প্রদায়ের আকীদা হল কেবলমাত্র নিজেদের মু'মিন হয়ে সে অনুযায়ী আমল করলেই যথেষ্ট নয়। বরং এ ক্ষেত্রে অন্যকেও আদেশ-নিষেধ করা প্রত্যেকে মু'মিনের দায়ীত্ব। এ উদ্দেশ্যই আমদের দুনিয়ার প্রেরণ করা হয়েছে। (الموسوعة الميسرة في الأديان والمذاهب المعاصرة الندوة العالمية للشباب الإسلامي الرياض - ৩০৯ পৃষ্ঠা)
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মুতাযিলীদের আকীদা বিশ্বাসে ইফরাত ও তাফরীত তথা কঠোরতা ও নমনীয়তার সংমিশ্রন রয়েছে। সুতরাং এদের মতবাদ অগ্রহযোগ্য বলে পরিগণিত হয়েছে।