فرقة من الشيعة تجيز الطعن في الصحابة سموا بذلك لأن
أو ليهم رفضوا زيد بن على حين نهاهم عن الطعن في الشيخين .
রাফিযী শী'আদের একটি দল বা ফির্কা যারা সাহাবাগণের শানে দোষ-ত্রুটি আরোপ করাকে বৈধ মনে করে।
যখন যায়িদ ইব্ন আলী তাদেরকে (ইমামিয়া সম্প্রদায়কে) শায়খাইনের প্রথম দু' খলীফা আবূ বকর ও উমর (রা.) এর বিরুদ্ধে গালমন্দ বলতে নিষেধ করেছিলেন তখন তারা তাঁকে পরিত্যাগ করে এবং তাঁকে ইমামদের মধ্যে গন্য করা থেকে বিরত থাকে। এজন্য তাদেরকে রাফিযী বা পরিত্যাগকারী বলে নামকরণ করা হয়।
যারা আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর ইমামত বা খিলাফত অস্বীকার করে তাদেরকে ইমাম আল-আশ'আরী (র.) রাফিযী আখ্যা দিয়েছেন। তিনি শী'আদের প্রধান তিনটি দলের অন্যতম দল হিসেবে গুলাত (১১৬৬) ও যায়দীদের পাশাপাশি রাফিষীর নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে রাফিযী সম্প্রদায় ইমামিয়াদের অপর একটি নাম।
'তারীখে তাবারী' গ্রন্থে দ্বিতীয় খণ্ডের ১৬৯৯ পৃষ্ঠায় আবূ মিক্সাকের বর্ণনায় এ ভাবে উল্লেখ আছে যে, কুফায় শী'আদেরকে রাফিযীর বহুবচন বলা হত। কারণ যখন আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর উপর যায়িদ ইব্ন আলী (রা.) অভিসম্পাত উচ্চারণ করতে অস্বীকৃতি করলেন, তখন তারা (ইমামিয়ারা) যায়িদ ইব্ন আলীকে বর্জন করল। মূলত 'রাফদুশ শাইখাইন' (رفض الشيخين) অর্থাৎ আবূ বকর (রা.) ও উমর (রা.)-এর ইমামত ও খিলাফাতের অস্বীকৃতিই তাদের দলগত বৈশিষ্ট্য। আল্ মালাভী স্বীয় কিতাব 'আত তানবীহ ওয়ার রাদ্দে' অনুরূপভাবে ইমামিয়াদের রাফিযীদেরকেও শী'আ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
আবদুল কাহির আল্-বাগদাদীও রাফিযীদের সাথে যায়দিয়া, ইমামিয়া, কায়সানিয়া ও গুলাত একই পর্যায়ভূক্ত গণ্য করেছেন।
শেষোক্ত গ্রন্থাকারের মতে আবদুল্লাহ্ ইব্ন সাবা-এর অনুসারী সাবায়ীরা ছিলেন প্রথম রাফিযী।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা প্রতিয়মান হয় যে, রাফিযী শী'আদের প্রতি প্রযোজ্য এটি সাধারণ নাম এবং তা কখনই পৃথকভাবে শী'আদের কোন একটি দলের প্রতি প্রয়োগ করা হয় নি। (সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, ২য় খণ্ড, ৩৮০-৮১ পৃঃ)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৩৪) ইমামিয়া ইসনা আশারিয়া শি'আদের আকীদা | (০৩৬) মু'তাযিলা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |