১. যারা মুসলমান হওয়ার দাবীদার হয়ে অন্য মুসলামনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং এহেন পরিস্থিতিতে, যুদ্ধরত হতে যারা বের হয়ে না আসে তারা কাফির।
২. খারিজীরা তাদের ধারনায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাদের মতে খলীফাকে অবশ্যই সমগ্র মুসলিমগণ কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে। কোন বিশেষ শেণী গোত্র কিংবা সম্প্রদায়ের মধ্যে খিলাফত সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে যে কোন মুসলমান এ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবে।
৩. তারা হযরত আবু বকর (রা.) ও হযরত উমর (রা.) কে ইসলামের বৈধ খলীফা বলে মনে করে এবং অন্যান্য খলীফাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
৪. কবীরা গুনাহ খারিজীদের নিকট কুফরীর শামিল। কোন মুসলমান নামায, রোযা ও অন্যান্য ফরয কাজসমূহ পালন না করলে কিংবা কবীরা গুনাহে লিপ্ত হলে সে কাফির হয়ে যায়।
৫. তাদের মতে যে মুসলমান কবীরা গুনাহ করে এবং তাওবা না করে মারা যায় সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
৬. খারিজীদের মতে যারা তাদের আকীদার সংগে একমত নয়, তারা ধর্মদ্রোহী তথ্য কাফির। এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অপরিহার্য।
৭. যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ না করে সে কাফির।
৮. খারিজী সম্প্রদায় আরও বিভিন্ন বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়া জামা'আতের বিপরীত।
আকীদা পোষণ করে যেমন তারা 'মোহসিন' (বিবাহিত) যিনাকারীকে- রজম করার শাস্তি অস্বীকার করে। চুরির অপরাধে বাহুর গোড়া পর্যন্ত হাত কাটার শাস্তি নির্ধারন করে। মহিলাদের মাসিক হায়িয অবস্থায়ও তার জিনায় নামায পড়া ওয়াজিব বলে মনে করে ইত্যাদি। ক্বাযী আবু বকর ইব্দ আরবী (র.) খারিজীকে আকীদা প্রসংগে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন যে, এ পর্যায়ে তাঁরা দু'দলে বিভক্ত।
প্রথম দলঃ এ দলের মতে হযরত উসমান (রা.) হযরত আলী (রা.) এবং জামাল ও সিফীনের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ আর তাহকীম বা সালিশ প্রশ্নে যাঁরা সম্মতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা সকলেই কাফির।
দ্বিতীয় দলঃ এ দলের মতে কোন মুসলিম যদি কবীরা গুনাহ করে তবে সে কাফির তথা চিরদিনের জন্য জাহান্নামী।
খারিজীদের সম্পর্কে কী হুকুম দেওয়া হবে সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কিতাবে দু' প্রকারের মত পাওয়া যায়। প্রথমতঃ খারিজীরা মুরতাদ। দ্বিতীয়তঃ খারিজীরা বিদ্রোহী। (الملل والنحل ১ম খণ্ড, ১১৮ পৃষ্ঠা, নাইনুল আওতার, ৭ম খণ্ড, ৩৪১-৪২ পৃঃ)