১। তাকবীরে তাহরীমা ২। কেয়াম করা । ৩। কেরাত পড়া। ৪। রুকু করা। ৫। ছেজদা করা। ৬। কায়দায়ে আখিরাহ বা শেষ বৈঠক। ৭। খুরুজ বি ছুনয়িহী
১। শরীর পাক বা পবিত্র করা। ২। কাপড় পাক করা। ৩। নামাজ পড়ার জায়গা পাক পবিত্র করা। ৪। ছতর ঢাকা। অর্থাৎ পুরুষের নাভি থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত এবং মেয়েদের দু’হাতের কব্জি, দু'পায়ের গিরা ও মুখমন্ডল ব্যতীত বাকী সমপূর্ণ শরীর নামাজের সময় ঢেকে রাখা। ৫। কেবলা অর্থাৎ কাবা শরীফের দিকে মুখ রাখা। ৬। নিয়েত করা
পেশাব করার পরে পুরুষ ও স্ত্রী অঙ্গে জমে থাকা পেশাবের বাকী অংশ বের করে ফেলা ।
১। মুখ মন্ডল ধৌত করা ২। দু'হাত কনুই সহ ধৌত করা ৩। মাথা মাছেহ করা ৪। দু'পায়ের গিরাসহ ধৌত করা ৫। ঘনদাড়ীওয়ালা ব্যক্তির জন্য দাড়ী ধুয়ে ফেলাও আর একটি ফরজ।
১। পেশাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেশাব, পায়খানা, বীর্য, পাথর, বায়ু, পুঁজ ও ক্রিমি বের হলে ২। শরীরের যে কোন জায়গা থেকে পুজ রক্ত ও রস গড়িয়ে গেলে। ৩। টেক দিয়ে ঘুমাইলে, পরে টেক সরালে যদি পড়ে যায়। ৪ । জ্ঞান হারা হলে। ৫। পাগল হলে। ৬। নেশার জিনিষ পান করে মাতাল হলে। ৭। নামাজের মধ্যে উচ্চশব্দে হাসলে। ৮। কামভাবে স্বামী স্ত্রী একে অপরের লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে । ৯। মুখ ভরে বমি করলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে ।
১। গড়গড়া করে কুলি করা ২। নাকের শক্ত হাড় পর্যন্ত পানি পৌঁছান ৩। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমপূর্ন শরীর পানি দিয়ে একবার ধুয়ে ফেলা ।
১। মেয়েলোকের চুল খোলা থাকলেও চুলের গোড়ায় পানি প্রবেশ করানো। ২। বেণী বাধা থাকলে উহার মধ্যে পানি প্রবেশ করানো। ৩ । চুলে গাঢ় কিছু লাগানো থাকলে তা তুলে পানি প্রবেশ করানো ৪ । নাকফুল বা আংটি ঢিলা না থাকলে তার মধ্যে পানি প্রবেশ করানো। ৫। স্ত্রী অঙ্গের বাহির অংশে পানি পৌছানো ।
১। ক্বলব বা অন্তরে নিয়েত করা। ২। সম্পুর্ন মুখ মন্ডল একবার মাছেহ করা। ৩। দু'হাতের কনুই পর্যন্ত মাছেহ করা ।
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছল্লাম বলেছেন- কারো নিজের ঘরে নামাজ পড়া এক নামাজের সমান। পাঞ্জেগানা মছজিদে এক নামাজ পড়া পচিশ নামাজের সমান। জুমা মছজিদে এক নামাজ পড়া পাঁচ'শ নামাজের সমান। বায়তুল মুকাদ্দাছে এক নামাজ পড়া ৫০ হাজার নামাজের সমান। (নবী পাকের) এ মছজিদে এক নামাজ পড়া ৫০ হাজার নামাজের সমান। আর মছজিদে হারামের এক নামাজ পড়া একলাখ নামাজের সমান।
(মেশকাত-৬৯৬)
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছল্লাম বলেছেন- কারো নিজের ঘরে নামাজ পড়া আমার এ মছজিদে নামাজ পড়া হতে উত্তম। একমাত্র ফরজ নামাজ ব্যতীত।
(মেশকাত ১২২৬)
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছল্লাম বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মছজিদে নামাজ আদায় করে সে যেন তার এক অংশ তার নিজের ঘরের জন্য রেখে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এ নামাজের কারণে তার ঘরে খায়ের বরকত দান করেন।
(মেশকাত ১২২৩, ১০৯৪, ১১১৪ )
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৯৮) রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর নফল নামাজ | (১০০) নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |