রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন- প্রয়োজন ব্যতীত যে ব্যক্তি জুমার নামাজ তরক করেছে সে মুনাফিক বলে লেখা হয়েছে। এমন কিতাবে যার লেখা মুছে ফেলা যায় না আর পরিবর্তন করাও হয় না।
(মেশকাত – ১২৯৭)
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন- তিন প্রকারের লোক জুমার নামাজে হাজির হয়।
প্রথম প্রকারের লোক যারা অনর্থক কথা বার্তা ও কাজের সঙ্গে হাজির হয়। জুমার দ্বারা তাদের অনর্থক লাভ হয় অর্থাৎ তাদের কোন উপকার হয় না ।
দ্বিতীয় প্রকার লোক যারা আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার জন্যে হাজির হয়। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তা দান করবেন আর ইচ্ছা করলে না করবেন।
তৃতীয় প্রকার লোক যারা চুপচাপ ও নিরবতার সাথে জুমার নামাজে হাজির হয় আর আগে যাওয়ার জন্যে কোন মুছলীমের ঘাড়ে ধাক্কা দেয়না বা কাউকে কোন প্রকার কষ্ট দেয় না। এ লোকদের জুমার নামাজ তার এ জুমা হতে পিছনের জুমা পর্যন্ত (৭ দিন) আরও অতিরিক্ত ৩ দিনের গোনাহও মাফ করা হবে। এ মাফ করা এ কারণে হবে যে, আল্লাহ তাআ'লা বলেন- যে কেউ কোন ভালকাজ করবে তার জন্যে দশগুন রয়েছে।
(আবু দাউদ, মেশকাত- ১৩১৩)
রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন – যে লোক জুমার দিনে ইমামের খোতবা দেয়ার সময় কথা বলে সে ঐ গাধার মত যে পিঠে বোঝা বয়ে শুধু কষ্ট ভোগ করে আর যে তাকে বলে “চুপ কর” তার জন্যেও জুমা নেই।
(আহমাদ, মেশকাত- ১৩১৪)
সকল ইমামের মতে জুমার নামাজ ফরজে আইন। এ কারণে সুস্থ, বালেগ, স্বাধীন, পুরুষ, এবং মুকিম ব্যক্তি এ নামাজ তরক করলে মহা গোনাহগার হবেন ।
স্ত্রীলোক, গোলাম, মুছাফির এবং রোগীর উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নহে। অতিরিক্ত বৃষ্টিজনিত কারণ অথবা অত্যাচারী বাদশাহর ভয়ে লুকায়িত ব্যক্তির জন্যও জুমা ওয়াজিব নয়। জুমার প্রথম আজানের সময় বেচা-কেনা বন্ধ করে জুমার জন্য রওনা হওয়া ওয়াজিব।
আল্লাহুম্মা | হে আল্লাহ ! | |
ফ্ তাহলী | আমার জন্যে খুলে দাও | |
আব্ ওয়াবা | দরজা সমূহ | |
রহমাতিক্ | তোমার রহমতের। |
(হাদীছ অনুযায়ী বাড়ী হতে বের হওয়ার পর থেকে নামাজ পর্যন্তসময়টুকুও নামাজের মধ্যে গণ্য হবে।)
প্রতিবার অজু করার পরে অজু সুষ্ঠুরূপে আদায় করার শুকরিয়া হিসেবে দু'রাকাত নামাজ পড়াকে তাহিয়্যাতুল অজু বলে। ইহা শুধুমাত্র জুমার দিনে মছজিদে ঢুকে আদায় করা বেদআত ।
মছজিদে ঢোকার শুকরিয়া হিসেবে দু'রাকাত নামাজ পড়াকে দুখুলুল মছজিদ নামাজ বলা হয়। প্রতিবার মছজিদে ঢুকে ইহা আদায় করা উচিত। শুধুমাত্র জুমার দিনে নির্দিষ্ট করা বেদআত।
যদি অন্য সময় অভ্যাস না থাকে তবে মছজিদে ঢুকে চার রাকাত ‘ক্ববলাল জুমা' নামাজ আদায় করুন।
নামাজ পড়ার শেষে ইমাম সাহেব খোতবা দিন ।
মুয়াজ্জিন খোতবার আগে ইমামের সামনে দাড়িয়ে আজান দিন।
খোতবার মধ্যে দু'টি ফরজ।
জোহরের নামাজ চাররাকাত কিন্তু জুমার নামাজ দু'রাকাত এবং দু'খোতবা ।
নামাজ শেষে লম্বা মুনাজাত করবেন না। কারণ শেষ খোতবায় জীবিত মৃত সকলের জন্যে দোওয়া করা হয়। খোতবার সময় দোয়া কবুল হয় বলে হাদীছে উল্লেখ আছে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৯১) মুছাফিরের নামাজ | (০৯৩) দুই ঈদের নামাজ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |