روي عن علي ه قال نهاني رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اقرا وانا راكع وقال يا علي مثل الذي لا يقيم صلبه في صلاته كمثل حبلى حملت فلما دن نفاسها اسقطت فلاهي ذات حمل ولا هي ذات ولد - رواه ابو يعلى والاصبهاني - وزاد - مثل المصلي كمثل التاجر لا يخلص له ريحه حتى يخلص له راس ماله - كذالك المصلي لا تقبل نافلته حتى يودى الفريضة -
হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন - আল্লাহর রাছুল আমাকে রুকু অবস্থায় কেরআত পড়তে নিষেধ করেছেন। আর আল্লাহর রাছুল বলেছেন – হে আলী ! যে তার নামাজে পিঠ সোজা না করে তার দৃষ্টান্ত ঐ বাঁজা মহিলার মত যে গর্ভ ধারণ করল এরপর সন্তান প্রসাবের আগেই গর্ভপাত করল । ফলে সে গর্ভবতীও থাকলো না আর সন্তানবতীও হলো না। আবু ইয়ালা ও ইসপাহানী এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ইসপাহানী এটুকু বেশী বর্ণনা করেছেন – নামাজ পাঠকারীর দৃষ্টান্ত ঐ ব্যবসায়ীর মত যার মূলধন না থাকলে লাভের অংশ পায়না তেমন নামাজ পাঠকারীর ও ফরজ আদায় না হওয়া পর্যন্ত তার নফল নামাজ কবুল হয় না । (আততারগীব ১ম ৩৩৮ পৃঃ)
ছুবহানা | আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি | |
রাব্বি আ | আমার প্রভুর | |
ল্ আ'যী-ম | (যিনি)মহান। |
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামকে রাত লম্বা করলে রুকু ছেজদা লম্বা করতেন ও কেরাত খাটো করলে রুকু ছেজদার তছবীহ ৩ থেকে ১১ সংখ্যা পর্যন্ত পড়তেন বলে উল্লেখ আছে।
ছামি আল্লাহু | আল্লাহ শোনেন (তার কথা) | |
লিমান হামিদাহ | যে তার প্রশংসা করে । |
বলে রুকু থেকে উঠুন। (ছুন্নাত) (ছামিআ হতে ওঠা শুরু করুন এবং হামিদাহ বলার সাথে সাথে মাথাসোজা করে দাড়ান)।
রব্বানা- | হে আমাদের প্রতিপালনকারী | |
লাকা | একমাত্র তোমারই | |
ল্- হা-মদ্ | সকল প্রশংসা। |
রুকু করা নামাজের একটি রোকন। এর শুরু হলো আল্লাহু আকবার বলে দাড়ানো অবস্থা হতে মাথা নীচু করা পর্যন্ত এবং এর শেষ হলো মাথা উঁচু করে সোজা হয়ে দাড়ানো পর্যন্ত। যদি কেউ মাথা সোজা করে না দাড়িয়ে ছেজদায় যায় তাহলে সকল ইমামের মতে তার রুকু আদায় হবে না।
৯৪ | মাথা সোজাভাবে না উঠিয়ে ছেজদায় যাবেন না। গেলে রুকু আদায় হবে না ও নামাজ ফাছেদ হবে। |
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন ঐ ব্যক্তির নামাজ হয়না যে নামাজে একামত করেনা। অর্থাৎ যে ব্যক্তি রুকু ও ছেজদায় রুকু থেকে দাড়িয়ে অথবা দু'ছেজদার মাঝখানে সোজা দাড়ানো অথবা সোজা হয়ে বসাকে গুরুত্ব দেয়না তার নামাজ হয়না । তিরমিজি মাআরেফুল কোরআন ৬ষ্ঠ ৪০পৃঃ। মাথা উঠাবার সময় রুকুর তছবীহ পড়বেন না । রুকু করা ফরজ এবং মাথা নীচু রাখা ওয়াজিব ।
ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালেক ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের মতে তা’দীলে আরকান ফরজ। হানাফী মাজহাবে তাদীলে আরকান ওয়াজিব। কোন কোন হানাফী ইমাম তা’দীলে আরকানকে ফরজ উল্লেখ করে অষ্টম রোকন হিসেবে গণ্য করেছেন।
দু' রোকন অর্থাৎ নামাজের মধ্যে দু ফরজ আমলের মাঝখানে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সমতা রক্ষা করাকে তা'দীলে আরকান বলে। তা’দীলে আরকানের মধ্যে একবার ছুবহানাল্লাহ পড়ার সময় পরিমাণ অপেক্ষা করা ওয়াজিব। ইচ্ছা করে এ ওয়াজিব তরক করলে নামাজ ফাছেদ হয়ে যাবে। ভুলে বারবার তরক করলেও নামাজ ফাছেদ হবে। তা'দীলে আরকানের জায়গাগুলি নীচে উল্লেখ করা হলোঃ
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৭৪) ছুরা নাছ | (০৭৬) ছেজদা (ফরজ ৫) |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |