আরবী | উচ্চারণ | অর্থ |
ছুবহানাকা | তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি | |
আল্লাহুম্মা | হে আল্লাহ | |
অ বিহামদিকা | তোমার প্রশংসার সঙ্গে | |
অ তাবারাকা | বরকতময় | |
ছ্-মুকা | তোমার নাম | |
অ তাআ'লা | এবং অতি উচ্চ | |
জাদ দুকা | তোমার মহিমা | |
অ লা ইলাহা | এবং কোন মাবুদ নাই | |
গাইরুক | তুমি ছাড়া । |
আরবী | উচ্চারণ | অর্থ |
আউযু | আমি পানাহ চাচ্ছি | |
বিল্লাহি | আল্লাহর নিকট | |
মিনাশ শাইত্বানি | শয়তান হতে | |
র্-রাজীম | (যে) বিতাড়িত |
আরবী | উচ্চারণ | অর্থ |
বিছমিল্লাহি | আল্লাহর নামে শুরু করছি | |
র্-রহমানি | যিনি পরম করুনাময় (ও) | |
র্-রহীম | দয়ালু |
আরবী | উচ্চারণ | অর্থ |
আল হামদু | যাবতীয় প্রশংসা | |
লিল্লাহি | আল্লাহ তাআ'লার জন্য | |
রব্বি | যিনি পালন কর্তা | |
ল্-আলামীন | সকল সৃষ্টি জগতের। | |
আর রহমানি | যিনি অত্যন্ত মেহেরবান | |
র্- রহীম | ও দয়ালু। | |
মালিকি | যিনি মালিক | |
ইয়াওমিদ দ্বীন | বিচার দিনের | |
ইয়্যাকা | একমাত্র তোমারই | |
না'বুদু | আমরা এবাদাত করি | |
অ ইয়্যাকা | এবং শুধুমাত্র তোমারই কাছে | |
নাছতায়ীন | সর্ব প্রকার সাহায্য কামনা করি | |
ইহ দিনা | আমাদের দেখাও | |
ছ্ ছিরা ত্বল-মুছতাক্বীম | সঠিক পথ। | |
ছিরাত্ব | তাঁদের পথ | |
ল- লাযীনা | যাঁরা | |
আনআমতা আলাইহিম | তোমার অনুগ্রহ পেয়েছে। | |
গাইরি | তাদের পথে নয় | |
ল্- মাগদূবি আ'লাইহিম | যারা ধর্মের হুকুম আহকাম জেনে বুঝে ব্যক্তিগত স্বার্থের বশবর্তী হয়ে তা অমান্য করে তোমার গজবে পতিত হয়েছে। | |
অলাদ- দ্ব-লীন | এবং তাদের পথে নয় যারা না বুঝে অজ্ঞতার কারণে ভুল পথে চলে পথহারা হয়েছে। |
آمِينَ |
আমীন । | (হে আল্লাহ তুমি) কবুল করো। |
উপরে ছুরা ফাতেহার শব্দগুলি যেমন আলাদা আলাদাভাবে লেখা হয়েছে তেমনি আলাদাভাবেই উচ্চারণ করুন। এক শব্দের সাথে আরেক শব্দ মিলিয়ে পড়বেন না। যেমন- আলহাম দুলিল্লাহ, লিল্লা হিরব্বিল, মালি কিয়াওমিদ্দিন, ইয়্যা কানাবুদু, ইয়্যা কানাছতায়িন, আনআম তাআ'লাইহিম, মাগদু বিআলাইহিম। এভাবে মিলিয়ে পড়লে অর্থের পরিবর্তন হওয়ার কারণে গোনাহগার হবে ও নামাজ হবে না ।
৭৯ | আল হামদূর ‘হা’ এর জায়গায় ওয়াও এর পরের ‘হা’ উচ্চারণ করবেন না। আলামিনের 'আইন' এর জায়গায় ‘আলিফ’ উচ্চারণ করবেন না। ইহদিনা'র হাত ডাবল উচ্চারণ করবেন না। আনআমতা' র ‘তা' স্পষ্ট করে পড়ুন। ভুলে ‘তু’ পড়বেন না। পড়লে এসব জায়গায় অর্থের পরিবর্তন হবে ও নামাজ হবে না । |
৮০ | ইয়্যাকা না'বুদু অ ইয়্যাকা নাছতায়ীন এই দু'শব্দের তাশদীদ বাদ দিয়ে পড়লে, রব্বিল আলামিনের 'বা' এর তাশদীদ উচ্চরণ না করলে অধিকাংশ ইমামের মতে নামাজ ফাছেদ হবে। (আলমগীরি) |
ছুরা ফাতেহা ও কেরাত, বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমান পড়লে কেরাতের ফরজ আদায় হয়ে যাবে ।
কেরাত পড়ার মধ্যে নিচের যে কোন একটি প্রকাশ পেলে নামাজ ফাছেদ হবে
৮১ | একা একা নামাজ পড়লে নামাজের মধ্যে বাইরের কেরাত শুনে কেরাত শিখবেন না। শিখলে নামাজ নষ্ট হবে। |
৮২ | লিখিত কেরাত দেখে পড়বেন না। পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে। |
৮৩ | কেরাতের কোন জায়গায় লম্বা সুরে পড়লে যদি অর্থের পরিবর্তন হয়, অক্ষর উচ্চারণের পরিবর্তনের ফলে যদি অর্থের ও পরিবর্তন হয় অথবা জের, জবর, পেশকে গানের সুরে টেনে পড়লে যেমন রব্বিল এর ‘বা’ র জবর কে মদ বা লম্বা করে পড়লে নামাজ বাতিল হবে। (গায়াতুল আওতার) |
৮৪ | মদ ও লীনের হরফগুলি নিয়মের চেয়ে বেশী লম্বা করে পড়লে অর্থ পরিবর্তন না হলেও নামাজ ফাছেদ হবে। ওয়াও ছাকিনের আগের অক্ষরে পেশ, আলিফ ছাকিনের আগের অক্ষরে জবর ও ইয়া ছাকিনের আগের অক্ষরে জের হলে তাকে মদ বলে। মদের স্থানে টেনে পড়তে হবে। ওয়াও ছাকিন বা ইয়া ছাকিনের আগের অক্ষরে জবর হলে তাকে লীন বলে। লীনের স্থানেও টেনে পড়তে হবে। (মেছবাহুল কোরআন) |
৮৫ | নিজের ইমাম ব্যতীত অন্য নামাজীর অলাদ- দ্বল্লীন পড়া শুনে আমিন পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে। |
৮৬ | কেরাতের মধ্যে কোরআন মাজীদের আয়াত পড়ার পরিবর্তে অন্য কোন দোয়া-কালাম পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে। |
৮৭ | জোহর, আছর, মাগরীব ও এশার ফরজ নামাজের প্রথম দু'রাকাতকে কেরাত পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করা ওয়াজিব। ইচ্ছা করে উক্ত দু'রাকাতে কেরাত না পড়লে নামাজ হবে না । |
৮৮ | পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রত্যেক ছুন্নাত, নফল ও বেতেরের প্রত্যেক রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ। এ কেরাত না পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে। |
৮৯ | ফজর, মাগরীব ও এশার ফরজ নামাজের প্রথম দু'রাকাতে দু'ঈদের নামাজে, তারাবী ও রমজান মাসের বেতের নামাজের প্রত্যেক রাকাতে ইমামের জেহেরী কেরাত অর্থাৎ কেরাত জোরে পড়া ওয়াজিব। ইচ্ছা করে চুপে চুপে পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে। |
৯০ |
মাগরিবের ফরজ নামাজের তৃতীয় রাকাতে, এশার ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে, জোহর, আছর, বেতের এবং দিনের ছুন্নাত ও নফল নামাজের প্রত্যেক রাকাতে কেরাত আস্তে পড়া ওয়াজিব। ইচ্ছা করে তিন শব্দের বেশী জোরে পড়লে নামাজ ফাছেদ হবে, ভুল করে জোরে পড়লে ছোহ ছেজদা দিতে হবে। সকল ইমামের মতে জোরে কেরাত পড়ার কোন উচ্চ সীমা নাই। জোরে কেরাত পড়ার নিম্ন সীমা হলো, এমনভাবে পড়বে যাতে কেরাত পড়ার উচ্চারণ পাশের লোক শুনতে পায়। সকল ইমামের মতে আস্তে পড়ার উচ্চ সীমা হলো কেরাতের উচ্চারণ নিজের কানে শোনা। যদি পাশের লোক শুনতে পায় তবে জোরে পড়ার মধ্যে গণ্য হবে এবং নামাজ ফাছেদ হবে। |
শামী কিতাবে দু'পাশের দু'জন শুনতে পেলে নামাজ শুদ্ধ হবে, এ ফতোয়া প্রথম নামাজ শিক্ষাকারীর জন্যে। বহুদিনের নামাজীদের জন্যে নয় ।
ছুরা ফাতেহা পড়ার পর অন্য একটা ছুরা বা কেরাত পড়ুন। পড়া ওয়াজেব।
নিচের কাজগুলির কোন একটা করলে নামাজ ফাছেদ হবে
৯১ | মছজিদের মধ্যে নামাজ অবস্থায় অজু নষ্ট হয়েছে মনে করে মছজিদের বাইরে গেলে । |
৯২ | মছজিদের বাইরে নামাজ পাঠকারী অজু নষ্ট হয়েছে মনে করে থেকে অথবা একাকী নামাজী নামাজের জায়গা কাতার থেকে সরে গেলে । |
৯৩ | অজু অবস্থায় নামাজ শুরু করে অজু নেই মনে করে কাতার হতে সরে গেলে। মছজিদের বাইরে না গেলেও নামাজ ফাছেদ হবে। |
৯৪ | তরতীবওয়ালা নামাজ অর্থাৎ একাধারে এক ওয়াক্ত হতে পাঁচ ওয়াক্ত কাজা নামাজ বাকী আছে মনে করে দাঁড়ান জায়গা থেকে সরে গেলে । |
قَالَ رَسُولُ اللهِ الله . اَسْوَاءُ النَّاسِ سَرقَةَ الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ .
قَالُوا يَارَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ ؟ قَالَ لَا يُتِمُّ رُكُوْعَهَا وَلَا سُجُوْدَها .
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন - লোকদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর ঐ ব্যক্তি যে তার নামাজের মধ্যে চুরি করে। ছাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাছুল! তারা নামাজের মধ্যে কি চুরি করে? আল্লাহর রাছুল জবাব দিলেন- তারা নামাজের মধ্যে রুকু ও ছিজদা সঠিকভাবে আদায় করে না।
(মেশকাত - ৯২৫ ও ৯২৬)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬১) নিয়ত করা (ফরজ ২) | (০৬৩) ছূরা ইনশিরাহ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |