নাওয়াইতু আন | আমি নিয়েত করছি | |
উছল্লিয়া | নামাজ পড়ার, | |
লিল্লাহি তাআ'লা | আল্লাহর জন্য | |
রাকআতাই | দু'রাকাত | |
ছলাতিল ফাজরি | ফজরের নামাজ | |
ফারদুল্লাহি তাআ'লা | যা আল্লাহ তাআ'লার নিকট থেকে ফরজ। | |
মুতাঅজ জিহান | মুখ ফিরালাম | |
ইলা জিহাতি | দিকে | |
কা'বাতিশ্ শরীফাতি | কাবা শরীফের | |
আল্লাহু আকবার | আল্লাহু আকবার |
রাক আতাই ছলাতুন নাফলি বলুন ।
(নিয়েত সম্পর্কে বিস্তারিত ১২০ পৃষ্টায় দেখুন)
নামাজ শুরু থেকে ছালাম ফিরানো পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নীচের ৫০ টি কাজের যে কোন একটি কাজ করলে নামাজ ফাছেদ বা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৯ | কথা বললে |
৩০ | বাইরের কোন কথা বা শব্দ কান পেতে শুনলে । |
৩১ | মানুষের কাছে যে সব জিনিষ চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে তা চাইলে । |
৩২ | ছালাম করলে। |
৩৩ | ছালামের উত্তর দিলে । |
৩৪ | সরিষা পরিমাণ বাহিরের কোন জিনিষ মুখে দিলে । |
৩৫ | দাঁতের ফাকে বেধে থাকা খাদ্য বুট পরিমাণ চিবাইলে অথবা খেয়ে ফেললে। |
৩৬ | কিছু পান করলে। |
৩৭ | বিনা কারণে গলা খাকরাইলে । |
৩৮ | আহ্ উহ্ শব্দ করলে। |
৩৯ | দুঃখ বা জ্বালা যন্ত্রণার কারণে শব্দ করে কাঁদলে । |
৪০ | হাঁচির উত্তরে ইয়ারহামুকুমুল্লাহ বললে । |
৪১ | কোন প্রশ্নের উত্তরে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললে । |
৪২ | দুঃসংবাদ শুনে ইন্না লিল্লাহ বললে । |
৪৩ | সু সংবাদ শুনে আল হামদুলিল্লাহ বললে । |
৪৪ | আশ্চর্য সংবাদ শুনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা ছুবহানাল্লাহ বললে । |
৪৫ | কোন লোকের প্রশ্নের উত্তরে কোন রকম শব্দ করলে । |
৪৬ | কাপড় অভাবে উলঙ্গ হয়ে নামাজ পড়া শুরু করার পর কাপড় পেলে। |
৪৭ | তরতীব ওয়ালা কাজা নামাজ (অর্থাৎ এক সাথে ১/২ ওয়াক্ত হতে একাধারে ৫ ওয়াক্ত পর্যন্ত কাজা নামাজ) বাকী আছে মনে হলে । |
৪৮ | নিজ ইচ্ছায় অজু ভঙ্গ করলে। যেমন কোন জায়গায় চুলকিয়ে রক্ত বের করলে। |
৪৯ | অন্যের দ্বারা অজু নষ্ট হলে। যেমন কারো আঘাতের কারণে রক্ত বের হলে । |
৫০ | বেহুশ হলে । |
৫১ | পাগল হলে। |
৫২ | গোছল ফরজ হলে। |
৫৩ | এক নামাজ শেষ না হতে অন্য নামাজের তাকবীর বললে । |
৫৪ | রুকু বা ছেজদা পরিমাণ সময় অথবা বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পড়া সময় পরিমাণ উলঙ্গ হলে । |
৫৫ | এক ভরি ওজন বা এক গোল টাকা পরিমাণ জিনিষ এক রোকন আদায় করা পর্যন্ত সময় হাতে বা পায়ে থাকলে । (নামাজের মধ্যে যে কাজগুলি করা ফরজ, যেমন কেয়াম, কেরাত, রুকু,ছেজদা এর এক একটিকে এক রোকন বলা হয়)। |
৫৬ | ঘুমাইলে। |
৫৭ | পাথর বা লাঠি দিয়ে কাউকে আঘাত করলে । |
৫৮ | কুফরী মূলক চিন্তা ভাবনা করলে । |
৫৯ | কোন রোকন ছেড়ে দিলে । |
৬০ | কোন আহকাম ছেড়ে দিলে। যেমন অজু, ছতর ঢাকা, কেবলার দিকে মুখ করা ইত্যাদি। |
৬১ | তন্দ্রা অবস্থায় উচ্চস্বরে হাসলে। |
৬২ | হজ্জের সময় নামাজের মধ্যে লাব্বাইক বললে । |
৬৩ | নবী পাক (ছাঃ) এর নাম শুনে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বললে। |
৬৪ | মুখের মধ্যের কোন বস্তু গলে পেটের ভিতর গেলে। |
৬৫ | মাথায় বা দাড়িতে তেল ব্যবহার করলে। |
৬৬ | হাত বা পা দিয়ে কোন শব্দ লিখলে । |
৬৭ | সুরমা বা আতর ব্যবহার করলে। |
৬৮ | একই রোকনের মধ্যে এক কাজ তিন বার করলে। যেমন কোন জায়গায় তিনবার চুলকালে । |
৬৯ | আমলে কাছির করলে। অর্থাৎ যে কাজ দেখলে লোকে তাকে নামাজী মনে না করে । |
৭০ | পাগড়ী বাধলে বা স্ত্রীলোক মাথায় রুমাল বাধলে । |
৭১ | জামার বোতাম লাগালে । |
৭২ | জামা, চাদর বা মোজা পরলে । |
৭৩ | রুকু বা ছেজদার সময় দুহাতে কাপড় বা জামা টেনে ধরলে বা উচু করলে । |
৭৪ | ফোস ফোস শব্দ করলে । |
৭৫ | কারো হুকুমে কোন কাজ করলে। যেমন কেউ বললো, ‘সামনে এগিয়ে যাও'। তার হুকুম অনুযায়ী এগিয়ে গেলে। |
৭৬ | দু'হাত দিয়ে কোন কাজ করলে । |
৭৭ | বুক ঘুরিয়ে দেখলে। |
৭৮ | একই রোকনের মধ্যে তিনটা মাকরুহ আমল করলে নামাজ ফাছেদ বা নষ্ট হয়ে যাবে যদি লোকে দেখলে তাকে নামাজী মনে না করে । |
উপরের ৫০টি কাজের যে কোন একটি কাজ করলে নামাজ ফাছেদ বা নষ্ট হয়ে যাবে। পুনরায় এ নামাজ দোহরায়ে পড়তে হবে।
নিচের এ আমলগুলি মাকরুহ। এজন্যে
এক বা একাধিক ছুন্নাত তরক করলে নামাজ মাকরুহ হবে । ইচ্ছা করে ছুন্নাত তরক করলে তার ক্ষতি পুরণ হয় না ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬০) নামাজের কেয়াম (ফরজ ১) | (০৬২) কেরাত (ফরজ ৩) |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |