হুজুর আকরম (সঃ) যখন কাযায়ে হাজত করার অর্থাৎ পায়খানা ফরমানোর ইচ্ছা করতেন, তখন মাটিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে যেতো । যখন তিনি পায়খানা বা পেশাব ফরমাতেন যমীন তা নিজের ভিতরে লুকিয়ে নিতো এবং সেস্থানে কেবল একটি সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তো। তাঁর পায়খানা মুবারক কেউ কোনোদিন দেখতে পায়নি। হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুজুর পাক (সঃ) এস্তেঞ্জা সেরে যখন বায়তুলখালা থেকে বের হতেন, তখন আমি সেখানে প্রবেশ করে পায়খানার কোনোরূপ আলামত দেখতে পেতাম না। হুজুর পাক (সঃ) তখন বলতেন, হে আয়েশা ! তুমি জানোনা, আম্বিয়া কেরামের পবিত্র পেট থেকে যা কিছু বের হয় যমীন তা শোষণ করে নেয়। কাজেই তা দেখতে পাওয়া যায় না ।
জনৈক সাহাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, আমি এক সফরে হুজুর পাক (সঃ) এর সঙ্গে ছিলাম । তিনি কাযায়ে হাজতের উদ্দেশ্যে এক জায়গায় তশরীফ নিয়ে গেলেন। তিনি কাজ শেষ করে যখন সেস্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন আমি সেখানে উপস্থিত হলাম। কিন্তু পায়খানা বা পেশাবের কোন আলামতই আমি দেখতে পেলাম না। তবে কয়েকখানা ঢিলা শুধু পড়ে থাকতে দেখলাম । আমি ঢিলাগুলো হাতে উঠিয়ে নিলাম। অনুভব করলাম সেগুলো থেকে পূতপবিত্র এক প্রকারের অপার্থিব সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে।
কাযী আয়ায মালেকী (রঃ) ‘শেফা' নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, আলেম সম্প্রদায় অবশ্য হুজুর পাক (সঃ) এর পায়খানা পেশাবের পর অজুর প্রয়োজন আছে—একথাটির পক্ষপাতি। ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এবং তাঁর কোনো কোনো অনুসারীর মত এরকম ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৩৪) পবিত্র হস্তের সুঘ্রাণ | (০৩৬) পবিত্র প্রস্রাব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |