যুক্তিও বলে যে নবীগণ কুফরী ও পাপ থেকে সদা পবিত্রঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا
-ফাসিক কোন সংবাদ আনলে তা যাচাই করে দেখবে।’’
¶ সূূরা হুজরাত, আয়াত নং-৬।
কিন্তু নবীদের প্রত্যেক কথা বিনা বাক্যে গ্রহণ করা ফরয। যেমন- আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমান-
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ
-‘‘আল্লাহ ও তার রসুল কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে, কোন মুমিন পুরুষ বা নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণের অধিকার নেই।’’
¶ সূরা আহযাব, আয়াত নং-৩৬।
নবী যদি ফাসিকও হয়ে থাকে, তাহলে বিনা বাক্যে তাঁদের নির্দেশ মান্য করাও প্রয়োজন, আবার মান্য না করাও প্রয়োজন। এতে দুটি বিপরীত বস্তু একত্রিকরণ বুঝায়।
أَمْ نَجْعَلُ الْمُتَّقِينَ كَالْفُجَّارِ
¶ সূরা ছোয়াদ, আয়াত নং-২৮।
যদি নবী কোন সময় গুনাহ লিপ্ত হন আর সে সময় যদি তার কোন উম্মত নেকীর কাজ করতে থাকে, তাহলে সেই সময়ের জন্য উম্মতকে নবী থেকে আফযল বলতে হয়। কিন্তু তা অসম্ভব। কেননা কোন অবস্থাতেই উম্মত নবীর বরাবর হতে পারে না।
وَعَن إِبْرَاهِيم بن ميسرَة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ وَقَّرَ صَاحِبَ بِدْعَةٍ فَقَدْ أَعَانَ عَلَى هَدْمِ الْإِسْلَامِ . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الايمان
যে ব্যক্তি বদ আকীদা পোষণকারীর সম্মান করলো, সে ইসলামকে ধ্বংস করতে সাহায্য করলো।’’
¶ খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৬৬ পৃ: হা/১৮৯, বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ১২/৫৭ পৃ: হা/৯০১৮
আর নবীর প্রতি সম্মান করা হচ্ছে ওয়াজিব। যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমান
وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ
¶ সূূরা ফাতহ, আয়াত নং-৯।
যদি কোন নবী এক মুহূর্তের জন্যও ধর্মদ্রোহী হয়ে যায়, তখন তার তাযীমও ওয়াজিব আবার হারামও। এ রকম কি কখনও হতে পারে?
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا
¶ সূূরা নিসা, আয়াত নং-৬৪।
এ আয়াতে সাধারণ গুনাহগারদেরকে হুযূর পাকের সমীপে হাজির হয়ে তাঁর ওসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা আহবান জানানো হয়েছে। যদি তিনি গুনাহে লিপ্ত হন, তার ওসীলা কে হবে? এবং কার বদৌলতে তাকে ক্ষমা করা হবে? যিনি সমস্ত গুনাহগারের মাগফিরাতের ওসীলা হবেন, তিনি স্বয়ং গুনাহ থেকে পাক হওয়াই চাই। যদি তিনিও গুনাহগার হন, তাহলে বিনা কারণে অগ্রাধিকারের প্রশ্ন আসবে।
اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ
-‘‘ওসব আত্মা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা অবগত, যেগুলো রিসালতের উপযোগী।’’
¶ সূরা আনআম, আয়াত নং-১২৪।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫১) উলামায়ে উম্মতের উক্তিসমূহ | (০৫৩/১) নবীগণের নিষ্পাপ হওয়া সম্পর্কে উত্থাপিত আপত্তি সমূহ এবং এসবের জবাব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |