এ প্রসঙ্গে বিরোধিতাকারীগণ নিম্নলিখিত আপত্তিসমূহ উত্থাপন করে থাকে। ইনশাআল্লাহ এর থেকে আর বেশী কিছু তাদের বলার নেই।
জানাযার সাথে উচ্চস্বরে যিকর করাকে ফকীহগণ নিষেধ করেন। যেমন, ফতওয়ায়ে আলমগীরীর প্রথম খণ্ড কিতাবুল জনায়েযে دفن الميت শীর্ষক পরিচ্ছেদে বর্ণিত আছে-
وَعَلَى مُتَّبِعِي الْجِنَازَةِ الصَّمْتُ وَيُكْرَهُ لَهُمْ رَفْعُ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ، كَذَا فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ، فَإِنْ أَرَادَ أَنْ يَذْكُرَ اللَّهَ يَذْكُرُهُ فِي نَفْسِهِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
-‘‘জানাযার সাথে গমনকারীদের নিশ্চুপ থাকা ওয়াজিব এবং উচ্চস্বরে যিকর করা ও কুরআন তেলাওয়াত করা মাকরূহ। এমনটি তাহাভী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থে রয়েছে। যিনি আল্লাহর যিকর করতে চান, যেন মনে মনে করে না। এমনটি ফাতওয়ায়ে কাযি খানে রয়েছে।’’
¶ নিযামুদ্দীন বলখী, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী, ১/১৬২ পৃ:
ফাতওয়ায়ে সিরাজিয়াতে حمل الجنازة শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে-
ويكره النياح والصوت خلف الجنازة وفى منزل الميت رَفْعُ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ، وقولهم كل حى يموت ونحو ذالك خلف الجنازة بدعة
জানাযার পিছনে এবং মইয়তের ঘরে বিলাপ করা, শোরগোল করা এবং উচ্চস্বরে যিকর করা ও কুরআন পাঠ করা মাকরূহ। এবং জানাযার পিছনে ‘প্রত্যেক জীবিত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে’ উচ্চারণ করে গমন করা বিদআত।
দুর্রুল মুখতারের প্রথম খণ্ড কিতাবুল জনায়েয دفن الميت শীর্ষক আলোচনায় উল্লেখিত আছে-
كَمَا كُرِهَ فِيهَا رَفْعُ صَوْتٍ بِذِكْرٍ أَوْ قِرَاءَةٍ
যেমন জানাযায় উচ্চস্বরে যিকর করা বা কুরআন তেলওয়াত মাকরূহ।
¶ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৩৩।
এর প্রেক্ষাপটে শামীতে বর্ণিত আছে-
قُلْت: وَإِذَا كَانَ هَذَا فِي الدُّعَاءِ وَالذِّكْرِ فَمَا ظَنُّك بِالْغِنَاءِ الْحَادِثِ فِي هَذَا الزَّمَانِ.
যখন দুআর বেলায় এতটুকু কঠোরতা জ্ঞাপন করা হয়, তখন গানের কি অবস্থা হবে, যা বর্তমান যুগে সৃষ্টি হয়েছে।
¶ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৩৩।
ইবনে মনযর “আশরাফ” গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন-
قال قيس ابن عبادة كان اصحاب رسول الله ﷺ يكرهون رفع الصوت عند القتال وفى الجنازة وفى الذكر
অর্থাৎ সাহাবায়ে কিরাম জিহাদ, জানাযা ও যিকরের বেলায় উচ্চস্বর নাপছন্দ করতেন।
উপরোক্ত ফকীহ ইবারতসমূহ থেকে বোঝা গেল যে মইয়তের সাথে উচ্চস্বরে যিকর করা নিষেধ। বিশেষ করে সেই গান, যাকে আজকাল না’ত খানি বলা হয়, খুবই দূষণীয় (বিরোধিতাকারীদের এটাই হচ্ছে চরম আপত্তি)
ফকীহগণের উপরোক্ত ইবারতসমূহে কয়েক ধরনের বক্তব্য রয়েছে।
এ চারটি বিষয় চূড়ান্ত হলে, মাসআলা সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। আসলে, যে সব ফকীহ মইয়তের সাথে উচ্চস্বরে যিকরকে মাকরূহ বলেছেন, তাতে তারা মাকরূহ তনযীহকে বোঝাতে চেয়েছেন। যেমন,
আল্লামা শামীর উদ্ধৃত ইবারতের পরে বর্ণিত আছে-
قِيلَ تَحْرِيمًا، وَقِيلَ تَنْزِيهًا كَمَا فِي الْبَحْرِ عَنْ الْغَايَةِ. وَفِيهِ عَنْهَا: وَيَنْبَغِي لِمَنْ تَبِعَ الْجِنَازَةَ أَنْ يُطِيلَ الصَّمْتَ
-জানাযার সাথে উচ্চস্বরে যিকর করাটা কারো কারো পক্ষ থেকে মাকরূহ তাহরীমী বলা হয়েছে, আবার কারো কারো পক্ষ থেকে মাকরূহ তানযীহ বলা হয়েছে, যেমন বাহারুর রায়েকে গায়ত থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। সেই বাহারুর রায়েকে গায়তের বরাত দিয়ে বর্ণিত আছে-যে ব্যক্তি জানাযার সাথে যাবে, নিশ্চুপ থাকাটাই তার জন্য ভাল।
¶ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৩৩।
এতে বোঝা গেল নিশ্চুপ থাকাটাই ভাল এবং নিশ্চুপ না থাকা তথা উচ্চস্বরে যিকর করা ভাল নয় তবে জায়েয। অধিকন্তু মাকরূহ তানযীহ এবং মাকরূহ তাহরীমীর বিবরণ স্বয়ং আল্লামা শামী (رحمة الله) মাকরূহ সমূহের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বর্ণনা করেছেন।
শামীর প্রথম খণ্ড কিতাবুত তাহারতে মাকরূহের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন-
فَحِينَئِذٍ إذَا ذَكَرُوا مَكْرُوهًا فَلَا بُدَّ مِنْ النَّظَرِ فِي دَلِيلِهِ، فَإِنْ كَانَ نَهْيًا ظَنِّيًّا يُحْكَمُ بِكَرَاهَةِ التَّحْرِيمِ إلَّا لِصَارِفٍ لِلنَّهْيِ عَنْ التَّحْرِيمِ إلَى النَّدْبِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ الدَّلِيلُ نَهْيًا بَلْ كَانَ مُفِيدًا لِلتَّرْكِ الْغَيْرِ الْجَازِمِ فَهِيَ تَنْزِيهِيَّةٌ
-যখন ফকীহগণ কোন কিছুকে মাকরূহ বলেন, তখন মাকরূহের দলীলের প্রতি দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। যদি এর দলীল সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছাড়া অনুমান ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞার হয়, তাহলে মকরূহ তাহরীমী বলে ধরে নিতে হবে আর যদি নিষেধাজ্ঞার কোন দলীল না থাকে, কেবল নিষ্প্রয়োজন, ‘না করাটাই ভাল’ বলা হয়, তাহলে মাকরূহ তানযীহ মনে করতে হবে।
¶ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৩২।
এতে বোঝা গেল, যদি ফকীহগণ মাকরূহের প্রমাণ স্বরূপ-শরয়ী নিষেধাজ্ঞা পেশ করেন, তাহলে মাকরূহ তাহরীমী; অন্যথায় মাকরূহ তানযীহ। উল্লেখ যে, যে সব ফকীহ উচ্চস্বরে যিকর নিষেধ বলেছেন, তারা নিষেধাজ্ঞার কোন হাদীছ বা আয়াত পেশ করেন নি।
আল্লামা শামী কেবল এ দলীলটা উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমান-
إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
-আল্লাহ সীমা লঙ্ঘন কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
¶ সূরা বাক্বারা, আয়াত, ১৯০
এর ব্যাখ্যা করেছেন-
اى المجاهرين بالدعاء
-উচ্চস্বরে প্রার্থনাকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কোন সুস্পষ্ট হাদীছ পাওয়া যায়নি। সুতরাং, এটা মাকরূহ তানযীহ এবং মাকরূহ তানযীহ জায়েযই হয়ে থাকে।
অধিকন্তু, ইমাম শারানী عهود مشائخ নামক কিতাবে জানাযার সাথে যিকর করা প্রসঙ্গে বলেছেন -
وقد رجح النووى ان الكلام خلاف الاولى
ইমাম নববী (رضي الله عنه) জানাযার সাথে যাবার সময় কথা না বলাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন
شرح طريقه محمديه কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
وهو يكره على معنى انه تارك الاولى
-জানাযার সাথে উচ্চস্বরে যিকর করা মাকরূহ অর্থাৎ ভাল নয়।’’
যে কোন অবস্থায় মানতেই হবে, যে সব ফকীহ মাকরূহ বলছেন তারা মাকরূহ তানযীহ বোঝাতে চেয়েছেন।
ছৈয়্যদেনা হযরত আলী (رضي الله عنه) বলেন-
واذا حملت الى القبور جنازة. فاعلم بانك بعدها محمول
"যখন তুমি কবরস্থানে জানাযা নিয়ে যাও, তখন মনে করো, একদিন তোমাকেও এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।"
সেই অবস্থায় অন্য কোন কথা বলা যুক্তিসঙ্গত নয়। কেননা কথা বলার ফলে মন অন্যদিকে চলে যাবে। সুতরাং, ফকীহগণ তখন নিশ্চুপ থাকতে বলেছেন।
ইমাম নববী (رحمة الله) এর রচিত কিতাবুল আযকারের بابُ ما يقولُه الماشي مع الجَنَازة অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে -
والحكمة فيه ظاهرة، وهي أنه أسكنُ لخاطره، وأجمعُ لفكره فيما يتعلق بالجنازة، وهو المطلوبُ في هذا الحال
¶ ইমাম নববী, কিতাবুল আযকার, ১৬০ পৃ:
মিশকাত دفن الميت শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে সাহাবায়ে কিরাম বলেন-আমরা কবরস্থানে মইয়ত দাফন করতে গেলাম।
وَجَلَسْنَا حوله كَأَن على رؤوسنا الطَّيْرَ
কবর তৈরি হতে দেরি ছিল। তাই আমরা এমনভাবে নিশ্চুপ বসে রইলাম যেন আমাদের মাথার উপর পাখি বসেছে। (পাখি শিকারী যখন ফাঁদ পাতে, তখন একেবারে নিশ্চুপ বসে থাকে, যেন শব্দে পাখিটা উড়ে না যায়।)
¶ খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৫১২ পৃ: হা/১৬৩০, পরিচ্ছেদ: بَاب مَا يُقَال عِنْد من حَضَره الْمَوْت , ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ, ৩০/৪৯৯ পৃ:, হা/১৮৫৩৪, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।
কিন্তু বর্তমান যুগে জানাযার সাথে গমনকারীরা দুনিয়াবী কথাবার্তা, হাসিঠাট্টা ও মুসলমানদের গীবতে নিয়োজিত থাকে। যদি কবরস্থানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে পরস্পর খোশগল্পে মশগুল হয়ে যায়। তাই ওদেরকে খোদার যিকরে মশগুল করতে পারলে, এসব বেহুদা কথাবার্তা থেকে অনেক ভাল হয়। অতএব বর্তমান যুগের মইয়তের সাথে গমনকারীর উচ্চস্বরে কলেমা ইত্যাদি পড়া মুস্তাহাব। অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে হুকুমও পাল্টে যায়। যে মুফতী নিজের যুগের অবস্থা সম্পর্কে বেখবর, সে অজ্ঞ।
ইমাম শায়ারানী (رحمة الله) স্বীয় কিতাব عهود مشائخ এ বলেছেন-
وانما لم يكن الكلام والقرأة والذكر امام الجنازة فى عهد السلف لانهم كانوا اذا مات لهم ميت اشتركوا كلهم فى الحزن عليه حتى كان لا يعرف قرابة الميت الميت من غيره فكانوا لايقدرون على النطق الكثير لماهم عليه من ذكر الموت بل خرست السنتهم عن كل كلام فاذا وجدنا جماعة بهذه الصفة فلك يا اخى علينا ان لا تأمرهم بقرءة ولاذكر
-‘‘আগের যুগে জানাযার সাথে গমন করার সময় কথা বলা, কুরআন পাঠ ও যিকর এ জন্য ছিল না যে যখন কেউ মারা যেত, তখন সবাই শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জ্ঞাপন করতেন। এমন কি মইয়তের নিকট আত্মীয় ও অন্যান্যদের মধ্যে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হতো না। মৃত্যুর ধ্যানে সবাই এ রকম বিভোর হতো যে কথা বলার শক্তিও কারো থাকতো না। তাদের মুখ বাকহীন হয়ে যেত। যদি আজকাল আমরা সেই রকম লোক পাই তাহলে ওদেরকে কুরআন পাঠ ও যিকর করার নির্দেশ দেব না।’’
সুবহানাল্লাহ! কি সুন্দর রায় দিয়েছেন। বলুন, আজকাল কি মানুষের সেই মনমানসিকতা আছে?
হযরত শেখ উছমান বুহাইরী (رحمة الله) শরহে একনার হাশিয়া দ্বিতীয় খণ্ডে উল্লেখ করেছেন-
﴿قوله وكره لفظ فى الجنازة﴾ قوله لفظ اى رفع صوت ولو بقران او ذكر او صلوة على النبى ﷺ وهذا باعتبار ما كان فى الصدر الاول و الا فالان لابأس بذالك لانه شعارا الميت لانه تركه مزدرية به ولو قيل بوجوبه لم يبعد كما نقله المدابغى
-‘‘জানাযার সাথে যাওয়ার সময় শোরগোল করা মাকরূহ। এর শোরগোল কুরআনখানির ফলে হোক বা যিকরের দ্বারা বা দরূদ পাঠের ফলে হোক। এ হুক্মটা প্রথম যুগের মুসলমানদের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান যুগে এসব করলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা বর্তমান যুগে উচ্চস্বরে যিকর করা মইয়তের প্রতি সম্মানের লক্ষণ এবং না করাটা হচ্ছে মইয়তের প্রতি অবজ্ঞাপোষণ। সুতরাং, যদি একে জরুরীও বলা হয়, তা বাড়াবাড়ি বলা যাবে না, যেমন আল্লামা মুদাবেগী (رحمة الله) বলেছেন।’’
ইমাম শারানী (رحمة الله) তাঁর عهود مشائخ কিতাবে বলেছেন-
فمما احدثه المسلمون واستحسنوه قولهم امام الجنازة لا إله إلاَّ اللهُ محمَّدٌ رسولُ الله او وسيلتنا يوم العرض على الله لا إله إلاَّ اللهُ محمَّدٌ رسولُ الله نحو ذالك فمثل هذا لايجب انكاره فى هذا الزمان لانه ان لم يشتغلوا بذالك استغلوا بحديث الدنيا وذالك لانه قبلهم فارع من ذكر الموت بل رئيت بعضهم يضحك امام الجنازة ويمزح
অর্থাৎ মুসলমানগণ যে কাজটা ভাল মনে করে আবিষ্কার করেছেন, সেটা হচ্ছে জানাযার আগে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ বলা বা ‘কিয়ামতের দিন খোদার সামনে আমাদের উসীলা হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’ বা এ রকম অন্যান্য যিকর করা। এ যুগে এর থেকে বারণ করা অনুচিত। কেননা এ যুগের লোকেরা যদি সেই যিকরে নিয়োজিত না হয়, তাহলে দুনিয়াবী কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যাবে। কারণ তাদের মন মৃত্যু ভয় থেকে উদাসীন। বরং আমি কতেক লোককে জানাযার সাথে হাসিঠাট্টা করে যেতে দেখেছি।’’
ইমামে শায়ারানী (رحمة الله) তো তার যুগের কথা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আজকের যুগ তো এর থেকেও খারাপ। আমি নিজেই দেখেছি যে, কোন এক জানাযার কবর দিতে একটু দেরি হচ্ছিল। তখন উপস্থিত জনতা পৃথক পৃথক জটলা পাকিয়ে বসে এমনভাবে গল্প-গুজবে মশগুল হয়ে পড়ে, মনে হচ্ছিল যেন বাজার বসেছে। কতেক লোক মাটিতে আঁক টেনে পাথর দ্বারা খেলতে বসেছিল। এ অবস্থা দেখে আমি সবাইকে একত্রিত করে ওয়াজ করতে শুরু করলাম। লোকদেরকে কাফন-দাফনের আহকাম বর্ণনা করলাম। ওসব থেকে এটা নিশ্চয়ই উত্তম ছিল।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪৫) জানাযার আগে উচ্চস্বরে কলেমা বা না’ত পাঠ করার বিবরণ | (০৪৭) একটি সূক্ষ্ম মন্তব্য |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |