মদিনা শরীফ গমনকালে পথে তিনটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটলো। সাওর পর্বত থেকে বের হয়ে নবী করিম (দঃ) সকাল বেলা সাগরকুল ধরে রওনা দিলেন। পথিমধ্যে কোদাইদ্ নামক স্থানে উম্মে মা'বাদ আতিকা নামী জনেকা বেদুইন মহিলার বাড়ীতে পৌঁছে খাবারশপঃ) কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন। মহিলার বাড়ীতে দুধ বা গোস্ত বিক্রি হয় কিনা- তা জানতে চাইলেন। কিন্তু স্পিই পাওয়া গেলনা। নবী করিম (দঃ) তাঁবুতে একটি ক্ষীণকায় ছাগী দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন-এটা দুধ দেয় কিনা? মহিলা বললেন, না। নবী করিম (দঃ) উক্ত ছাগী দোহন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে মহিলা বললেন, চেষ্টা করে দেখতে পারেন। নবী করিম (দঃ) পাত্র নিয়ে ছাগীর দুধের বাঁটে পবিত্র হাত লাগানো মাত্র দুধের নহর বইতে শুরু করলো। উপস্থিত লোকজন তৃপ্তি সহকারে উক্ত দুধ পান করলো। অতঃপর নবী করিম (দঃ) ও হযরত আবু বকর (রাঃ) সহ পূর্ণ কাফেলা এ দুধ পান করে তৃপ্ত হলেন। নবী করিম (দঃ)-এর পবিত্র হাতের বরকতে পরবর্তীকালে উক্ত ছাগী সব সময় এভাবে দুধ দিতে থাকে। এভাবে আতিকা ও তার স্বামীর ঘরের অভাব দূর হয়ে গেলো। উক্ত ছাগী হযরত ওমর (রাঃ)-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত জীবিত ছিল এবং একইভাবে দুধ দিত। নবী করিম (দঃ) যার কাছ থেকেই কিছু চেয়ে খেতেন, তাঁর ঘরে বরকতের ঢল নেমে আসতো। প্রকৃতপক্ষে নবী করিম (দঃ) কারও ঘরে খেতে যান না- বরং দিতে যান এটাই' প্রকৃত সত্য ঘটনা।
পথিমধ্যে আর একজন রাখালের কাছে এমনিভাবে দুধ চাইলে সে বললো, আমার পালে বাচ্চাওয়ালা কোন ছাগী নেই। নবী করিম (দঃ) বাচ্চাবিহীন একটি ছাগী এনে দুধ দোহন করে নিজেরা পান করলেন এবং রাখালকেও দুধ পান করালেন। রাখাল এ মো'জেযা দেখে সাথে সাথে মুসলমান হয়ে গেল। সম্ভবতঃ উক্ত সাহাবী ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)। (বেদায়া-নেহায়া ৭ম খন্ড ১৫৩ পৃঃ)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫০) গৃহত্যাগ ও ছাওর পর্বত গুহায় আশ্রয় গ্রহণ | (০৫২) জমিন কর্তৃক সুরাকার ঘোড়ার পা গ্রাস |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |