বলখ দেশে একজন বিখ্যাত ধনী সৌদাগার ছিল। তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি দুই ছেলের মধ্যে সমানভাবে বন্টন হয়ে যায়। ত্যাজ্য সম্পত্তির মধ্যে হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর তিনটা পশম মোবারক ও ছিল। দুই ভাই একটা করে নিয়ে নিল। তৃতীয় পশম মোবারক এর ব্যাপারে বড় ভাই বলল এটিকে কেটে সমান ভাগে ভাগ করা হোক। ছোটভাই বলল খোদার কসম হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পশম মোবারক কাটা যাবে না। বড় ভাই বলল আচ্ছা আমাকে সমস্ত ধন সম্পদ দিয়ে তুমি এই তিনটে পশম মোবারক নিয়ে যাও। ছোট ভাই আনন্দ চিত্তে তা গ্রহণ করলো। সেগুলি সব সময় পকেটের মধ্যে রাখত এবং বারবার দেখতো ও দরুদ শরীফ পাঠ করতো।
কিছুদিনের মধ্যে বড় ভাইয়ের সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেল আর ছোট ভাই বড় সম্পদশালী হয়ে গেল। ছোট ভাই এর মৃত্যুর পর কোন ব্যক্তি হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর স্বপ্নে জিয়ারত লাভ করল। হুজুর আলাইহিস সালাম এরশাদ করিলেন, যে ব্যক্তির কোন জিনিসের প্রয়োজন দেখা দিবে সে যেন এই ব্যক্তির কবরে কাছে গিয়ে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে। এদিকে বড় ভাই যখন ফকির হয়ে গেল তখন একদিন স্বপ্নে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর জিয়ারত লাভ করে নিজের অভাব এর বিষয়ে অভিযোগ করলো। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন,
"ওরে হতভাগা তুমি আমার পশম এর প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করেছ আর তোমার ভাই এটি গ্রহণ করেছে, সে যখনই দেখে তখনই আমার উপর দরুদ পড়ে"
আর যে আল্লাহ পাক তাতেই তাকে দুনিয়াতে ও আখেরাতে সুখী করেছেন। যখন তার ঘুম ভাঙল তখন সে সেখানে এসে আসিয়া ছোট ভাইয়ের খাদেমদের মধ্যে শামিল হয়ে গেল।
(কওলুলবদী, আবু হাফস, সামারকান্দী, তাঁর রওনাকুল মাজালিস, নুজহাতুল মাজালিস, ফাজায়েলে দরুদ জাকারিয়া, গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪৯) জোরে জোরে দরুদ শরীফ | (০৫১) দুরুদ শরীফের বরকতে মৃত ব্যক্তির চেহেরা সুন্দর হয়ে গেল |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |