রাওয়াবি রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রত্যহ ৪০ হাজার বার দরুদ ও সালাম পাঠ করেছেন। তিনি বললেন আমার রুটিন অনুসারে খুব বেশি পরিমাণ দরুদ পাঠ কারী এর ফলশ্রুতিতে আলহামদুলিল্লাহ আমার জাগ্রত অবস্থায় সারকারে মাদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জিয়ারত হয়। হুযুর আলাইহিস সালামের বরকত ময় সঙ্গ নসীব হতো বা হয় । আমি রাসূলে কায়েনাত আলাইহিস সালামের পবিত্র দরবারে দ্বীন ই বিষয়াদি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম ও সে হাদিস সম্পর্কে জেনে নিতাম যেগুলিকে হাদিস বিশারদগণ দুর্বল বলে সাব্যস্ত করেছেন। অতঃপর হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আলিশান ফরমান অনুসারে আমল করতাম। আমি যদি বেশি বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ কারী না হতাম তবে আমার এমন সৌভাগ্যপূর্ণ অবস্থা নসিব হতো না।
(আফজালুস সালাওয়াত, ফায়জানে সুন্নাত)
হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে আমাকে স্বপ্নে দর্শণ করল সে শীঘ্রই আমাকে জাগ্রত অবস্থাতেও দর্শন করবে, শয়তান আমার আকার ধারণ করতে পারে না।
(বোখারী কিতাবুত তাবির, মুসলিম, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ বায়হাকী দালাইলুল নাবুয়াহ)
শহীদ তাজউদ্দীন ইবনে আত্তাউল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাই বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি শেখ আব্দুল আব্বাস মুরসিকে বললেন আপনি আপনার হাত দ্বারা আমাকে মুসাফার দ্বারা ধন্য করেন আপনি বহু শহরের বহু নেককার লোকের সাথে সাক্ষাত করেছেন। প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন খোদার কসম এই হাত এর দ্বারা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অপর কারো সহিত মুসাফাহ করিনি। তিনি আরো বলেন যদি চোখের পলক ফেলার মধ্যে যদি আমি তাঁর দর্শন করতে না পারি তাহলে নিজেকে মুসলমানদের মধ্যে গন্য করি না।
(লাতায়েফুল মানান, জাগ্রত অবস্থায় জিয়ারতেমুস্তফা)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪০) বেশি দরুদ ও সালাম পাঠকারীর একটি ঘটনা | (০৪২) জান্নাতের আশ্চর্য ফল |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |