হজরত শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন দরুদ ও সালাম পেশ কারীদের জন্য সৌভাগ্যের উপর সৌভাগ্যের বিষয় হলো এটা যে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের জবাব আতা ফরমান।
(জযবুল কুলুব,গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম)
ইবনে সোহাইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্নণা করেন - আমি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম কে স্বপ্নে জিয়ারত করি আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম হুজুর যারা আপনার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আপনার উপর সালাম করে থাকে আপনি কি উহা বুঝতে পারেন? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন হ্যাঁ বুঝে থাকি এবং তাদের সালামের উত্তর ও দিয়ে থাকি।
(ফাযায়েলে দরুদ, জাকারিয়া, আল্লাম সাখাবী কওলুল বদী)
মাজাহেরে হক ওয়ালা লিখেছেন – সালাম দূরে থেকে পড়া হোক বা নিকটে উভয় সুরতে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম উত্তর দিয়ে থাকেন।
(ফাযায়েলে দরুদ, জাকারিয়া)
ইবনে ওহাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি
আমার উপর দশবার সালাম পড়ে সে যেন একটা দাস আল্লাহর রাস্তায় মুক্তি করল।
(কাজী ইয়াজ,আশশিফা)
হযরত মাওলা আলী আলাইহিস সালাম বলেছেন যে, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যখন মক্কায় ছিলাম তখন একদিন তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে শহরের দিকে চলে গেলেন। তাঁর সম্মুখে যে কোন বৃক্ষ ঢিলা ও পাথর পড়তো সে তাকে আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ বলতো আমি শুনতাম।
(হাকিম সহি বলেছেন, তিরমিজি হাসান বলেছেন, বায়হাকী, আবু নাঈম, তিবরানী)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহ আমার কাছে ওহী প্রেরণ করলেন তখন আমি যে কোন পাথর ও বৃক্ষের কাছে এগিয়ে যেতাম সে আমাকে আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ বলত।
(বাযযার, আবু নঈম, সিভাত খাসায়েসুল কুবরা)
খুদা কা হুকুম সমাঝকার সালাম পাড়হতে হে
গোলামে সাকিয়ে কাউসার সালাম পাড়হতে হে
না পাড়হ সাকা এ আবু জেহেল কা মুক্কাদ্দার থা
নাবী কো দেখকার পাখার দরুদ পাড়হতে হে।।