রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন --হে লোকেরা! নিশ্চই কেয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরুদ শরীফ পাঠ করতে থাকে।
(আল ফিরদাউস বিমাসুরিল খাত্তাব)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে,যে ব্যক্তি একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহ পাকের মহান দরবারে পেশ হবার সময় আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, তবে তার উচিত আমার উপর বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ করা।
(ফিরদাউসুল আখবার, কাশফুল গুম্মাহ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে ব্যক্তি এটা চাই যে কেয়ামতের দিন তাকে সওয়াবের পাল্লা ভরপুর করে দেওয়া হোক, তার উচিত সে যেন আমার উপর বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করে।
(সা আদাতুদ্দা রাঈন,ফায়জানে সুন্নাত)
সরকারে মাদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন – ঐ ব্যক্তি কেয়ামতের দিনে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ানক অবস্তাদি থেকে নাজাত প্ৰাপ্ত হবে, যে দুনিয়াই আমার উপর সর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ কারী হবে।
(ফায়জানে সুন্নাত)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে হাওযে কাওসারের উপর আমি এমন এমন দল পাবো যাদের কে আমি বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে চিনবো ।
(কাশফুল গুম্মাহ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, কেয়ামতের দিনে আমার নিকটতম হবে ঐ লোকটি, যে দুনিয়াই আমার উপর যত বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পড়েছে ।
(তিরমিজি শরীফ, কানজুল উম্মাল, আল্লামা শাখাবীর -কওলুল বদী)
হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন -- যে ব্যক্তি আমার উপর ১০০বার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ পাক তার ওপর ১০০০ বার রহমত নাযিল করবেন।আর যে আমার প্রতি তার প্রেম ও ভালোবাসার কারণে পড়বে আমি কেয়ামতের দিনে তাকে শাফায়াত করব এবং তার জন্য সাক্ষী হব।
(কওলুল বদী)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৯) দরুদ পাঠ পুলসিরাত পারের কাজে লাগবে | (০৩১) দরুদ সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করে দেয় |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |