হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর সাথীরা, যারা শাহাদাত বরণ করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন, তাঁরা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেন এবং হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর অনুমতি প্রার্থনা করলেন । হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) তাঁদেরকে অনুমতি দিলেন । অনুমতি পেয়ে তারা বীর বিক্রমে যুদ্ধ ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন । তিন দিনের পিপাসাকাতর এবং ভুখা সঙ্গীরা সবর এবং ধৈর্যের চরম পরাকাষ্ঠা দেখালেন । ভুখা ও পিপাসার্ত হলে কি হবে, তারা ঈমানী বলে বলীয়ান ছিলেন । এদের একজন ওদের দশজনের থেকেও অধিক শক্তিশালী ছিলেন । প্রচন্ড যুদ্ধ করে অনেক ইয়াযীদী বাহিনীকে জাহান্নামে পাঠিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেরা এক এক করে শাহাদাত বরণ করেন । হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) নিজের চোখের সামনে তাঁর এই পঞ্চাশজন সাথীর শাহাদাত বরণ দেখলেন । এত কিছু দেখার পরও তিনি ধৈর্যচ্যুত হলেন না; তাঁর (রাঃ) সাথীদের বুকে তীর নিক্ষেপ অবলোকন করছেন আর বলছেন-
رضيت بقضائك ‘রদ্বীতু বিক্বদ্বায়িকা’ অর্থাৎ মাওলা! আমি আপনার ইচ্ছা এবং আপনার সিদ্ধান্তের উপর রাজী ।
পঞ্চাশজন সাথী শহীদ হওয়ার পর তাঁর (রাঃ) মুষ্ঠিমেয় কয়েকজন আপনজন ছাড়া আর কেউ রইলো না।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(১৩) ঐতিহাসিক ১০ই মুহররম | (১৫) হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর মর্মস্পর্শী ভাষণ এবং হুরের সপক্ষ ত্যাগ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |