শায়মা বলেন- 'আমি আমার কোরেশী ভাইকে নিয়ে মেষ চড়াতে গেলে দেখতে পেতাম' মরভূমির প্রখর রৌদ্রে একখণ্ড মেঘমালা তাঁকে ছায়া দিত এবং তাঁর সাথে সাথে ঘুরে বেড়াতো। যতদিন তিনি আমাদের প্রতিপালনে ছিলেন' ততদিনই এরূপ অবস্থা ছিল'।
বিবি হালিমা বলেন- 'শিশু অবস্থায় নবী করিম (দঃ) কাঁদতেন না। আমি একবার তাঁকে কাঁদাবার ইচ্ছায় এবং কান্নার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার বাসনায় তাঁর দু'হাত রশি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেই'। নবী করিম (দঃ) বলেন, 'আমার হাতের বাঁধন শক্ত হয়ে যাওয়ায় ব্যথায় আমি কান্না করতে যাবো- এমন সময় আকাশের চাঁদ আমাকে শান্তনা দিয়ে বললো' 'কাঁদবেন না'। চাঁদের একথা শুনে আমি হেসে ফেললাম'। মায়ের আশা আর পূরণ হলো না (যিকরে জামিল-মুফতী শফি ওকাড়ভী)
বিবি হালিমার ঘরে নবীজী তেইশ মাস ১৩ দিন দুধ পান করে দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। এভাবে পূর্ণ ২৪মাস বা দু'বছর দুধ পান করে তিনি দুধপান ছেড়ে দেন। ইহা কোরআনের বিধান। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী কোরআন নাযিলের বহু পূর্বেই কোরআনী বিধান বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি কোরআনী বিধানের মুখাপেক্ষী নন। তিনি মুখাপেক্ষী শুধু আল্লাহর।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৮) বিবি হালিমার কোলে | (০২০) বক্ষ বিদারণ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |