আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতী (র) তার প্রণীত আম্বারুল আযকিয়া বিহায়াতিল আম্বীয়া পুস্তকে লেখেছেন, আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-সহ অন্যান্য নবী-রাসূলগণ যে, কবরে মানবদেহরূপে জীবিত রয়েছেন, আমরা তা বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা অবগত হয়েছি। এ বিষয়টি প্রমাণাদির দ্বারা দ্বিধাহীনভাবে প্রমাণিত।
ইমাম বায়হাকীও এ বিষয়ে স্বতন্ত্র পুস্তক রচনা করে বলেছেন, নবী-রাসূলগণ নিজ নিজ কবরে জীবিত আছেন। যেসব বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণ করা হয়, তন্মধ্যে এ হাদীসটি অন্যতম যে,
হযরত আনাস (রা) বলেছেন, নবী করীম (সঃ)-কে যে রাতে উর্ধ্বমণ্ডলে (মেরাজে) নেয়া হয়েছে, সে রাতে তিনি হযরত মুসা (আ)-এর কবরের নিকট দিয়ে গমন করেছেন। তাঁকে তিনি কবরে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন।
-মুসলিম
মুহাদ্দিস হাফেজ আবু নাঈম (র) হিলইয়াতুল আওলিয়া কিতাবে হযরত ইবনে আব্বাস বর্ণিত এক হাদীস উল্লেখ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সঃ) হযরত মুসা (আ)-এর কবরের পাশ দিয়ে গমনকালে তাঁকে দণ্ডায়মান হয়ে নামায পড়তে দেখেছেন।
হাফেজ আবু ইয়ালা স্বীয় মুসনাদ গ্রন্থে এবং ইমাম বায়হাকী (রঃ) হায়াতুল আম্বীয়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, হযরত আনাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন: নবী রাসূলগণ স্ব স্ব কবরে মানবদেহ নিয়েই জীবিত আছেন। তাঁরা সেখানে নামায আদায় করেন। এ নামায আদায় করা তাঁদের প্রতি ফরয হিসেবে নয়। কেননা কবরের জীবনে কোন মানুষ শরীয়ত পালনে দায়িত্বশীল থাকে না। বরং এ নামায হচ্ছে তাঁদের আল্লাহ প্রেমের সুধা লাভ করার জন্য।
ইমাম আবু দাউদ ও বায়হাকী (র) হযরত আউস ইবনে আউস ছাকাফী (রা) থেকে এক হাদীস উল্লেখ করেছেন, নবী করীম (সঃ) বলেছেন: "তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমআ'র দিন। সুতরাং তোমরা ঐ দিন আমার প্রতি অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। তোমাদের দরূদ আমার কাছে প্রেরণ করা হয়।" সাহাবী (রা) গণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সালাত ও সালাম পাঠ আপনার কাছে কিভাবে প্রেরণ করা হবে? আপনি তো তখন অণুতে পরিণত হয়ে মাটির সাথে মিশে যাবেন! প্রত্যুত্তরে নবী করীম (সঃ) বললেন: "আল্লাহ তাআ'লা মাটির জন্য নবী-রাসূলদের দেহ মোবারক ভক্ষণ করা হারাম করেছেন।"
-আবু দাউদ, হাকেম।
ইমাম বায়হাকী (র) স্বীয় গ্রন্থে লেখেছেন, নবী-রাসূলগণ মৃত্যুর পর কবরে জীবিত থাকার বিষয়টি বহু বিশুদ্ধ দলিল দ্বারা প্রমাণিত। তার মধ্যে মেরাজ রাতে নবী করীম (সঃ)-এর সাথে অন্যান্য নবী-রাসূলদের সাক্ষাৎ হওয়ার বিষয়টি অন্যতম। সে রাতে একদল নবী-রাসূল শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং পরস্পরে কথাবার্তাও বলেছেন।
-বোখারী
এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে এক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সঃ) মেরাজের আলোচনায় বলেছেন: "আমি নিজকে একদল নবী রাসূলের সমাবেশের মধ্যে দেখতে পেলাম। আমি দেখলাম, হযরত মুসা (আ) দণ্ডায়মান হয়ে নামায পড়ছেন। তাঁর দেহ মোবারক হালকা ও ছিপছিপে এবং মাথার কেশরাজি কোকড়ানো। তাঁকে শানুয়াহ কবীলার লোক মনে হচ্ছিল। আমি হযরত ঈসা (আ)-কে দেখলাম, তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন। আর হযরত ইবরাহীম (আ)-কেও দাড়ান অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি। তাঁদের চেহারা আকৃতি অনেকটা তোমাদের সাথী মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাথে মেলে। এ সময় নামাযের ওয়াক্ত হলে আমি তাদের ইমাম হয়ে নামায আদায় করি।
-মুসলিম
বিশিষ্ট মুহাদ্দিস হাফেজ আবু নাঈম (র) তার দালায়েলুন নবুয়ত গ্রন্থে এবং যুবায়ের ইবনে বক্কার তার আখবারে মদীনা গ্রন্থে এবং ইবনে সায়াদ (র) তাবকাত গ্রন্থে, আর দারেমী স্বীয় মসনদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, ইয়াযীদের হুররাহ বাহিনী দ্বারা যখন মদীনা আক্রান্ত হয়, তখন সাঈদ ইবনে মুসায়্যেব (র) অনবরত মসজিদে নববীতেই অবস্থান করেন। তখন মসজিদের বাইরে প্রচণ্ড যুদ্ধ ও রক্তারক্তি চলছিল। তিনি তখন মসজিদে নববী হতে আদৌ বের হলেন না। তিন দিন পর্যন্ত মসজিদে নববীতে আযান এবং ইকামত হয়নি। সাইয়্যেদ ইবনে মুসায়্যেব (র) বলেন, নামাযের সময় হলেই আমি নবী করীম (সঃ)-এর রওজা মোবারকের দিক থেকে এক প্রকার বিশেষ আওয়াজ শুনতে পেতাম। যা দ্বারা আমি বুঝতাম যে, নামাযের সময় হয়েছে। এ দিনগুলোতে হযরত সাইয়্যেদ ইবনে মুসাইয়্যেব (র) ছাড়া কোন লোকই মসজিদে নববীতে ছিল না।
-মেশকাত, দারেমী।
উপরোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ হয় যে, সমস্ত নবী-রাসূলই নিজ নিজ কবরে মানবদেহ রূপেই জীবিত আছেন। পবিত্র কোরআন মজীদে আল্লাহ তাআ'লা শহীদগণ সম্পর্কে বলেছেন:
لَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاء عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
"যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছেন, তাঁদেরকে তোমরা মৃত মনে করে বরং তাঁরা জীবিত। তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাঁদেরকে জীবিকা করা হয়।"
শহীদগণ প্রসঙ্গেই যখন বলা হয়েছে যে, তোমরা তাঁদেরকে মৃত মনে করো না; বরং তাঁরা জীবিত এবং তাঁদের প্রতিপালকের নিকট হতে জীবিকা লাভ করেন, তখন নবী-রাসূলদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য হবে না কেন?
তাঁরা তো শহীদগণের তুলনায় অনেক অনেক গুণ সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী। মোটকথা নবী-রাসূলগণ কবরে মানবদেহরূপে জীবিত থাকা সম্পর্কে কোন সন্দেহ পোষণ করা উচিত নয়। সুতরাং বলা যায় যে, এ আয়াতের সাধারণ বক্তব্যের মধ্যে নবী-রাসূলগণও শামিল।
বোখারী শরীফে হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সঃ) মৃত্যুজনিত পীড়াকালে বলেছেন: “আমি খায়বার অবস্থানকালে যে বিষমিশ্রিত খাদ্য আহার করেছিলাম, তার ক্রিয়া আমি প্রায়ই অনুভাব করি। সে সময় বিষক্রিয়ায় আমার হৃৎপিণ্ড সংশ্লিষ্ট শিরাটি কেটে নিয়েছে।”
ইমাম বায়হাকী (র) কিতাবুল ইতেকাদ গ্রন্থে লেখেছেন যে, নবী রাসূলগণের রূহ কবজ করার পর তা পুণরায় কবরে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সুতরাং তাঁরা শহীদগণের মত তাঁদের প্রতিপালকের কাছে জীবিত আছেন।
আল্লামা কুরতুবী (র) স্বীয় কিতাবুত তাযকিরা গ্রন্থে লেখেছেন, মৃত্যু নিছক সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার নাম নয়, বরং এক অবস্থা হতে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন একে বলা হয়। এর দ্বারাই বুঝা যায় যে, শহীদগণ নিহত হওয়ার পর হওয়াকে কবরে জীবিত থাকেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে জীবিকাও লাভ করেন, আর খুব আনন্দ চিত্তে সময় অতিবাহিত করেন। তাঁদের বৈশিষ্ট্য জীবিতদের মতই হয়ে থাকে। শহীদগণের অবস্থাই যখন এই, তখন নবী রাসূলগণের জীবিত থাকা আরো শত গুণে যুক্তি যুক্ত। বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত যে, মাটি কখনো নবী-রাসূলগণের দেহ মোবারক ভক্ষণ করে না। আর নবী করীম (সঃ) যে, মেরাজ রাতে বায়তুল মোকাদ্দাসে অন্যান্য নবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তা-ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। আর নভমণ্ডলে ভ্রমণকালেও নবী করীম (সঃ)-এর সাথে অন্যান্য কয়েকজন নবী-রাসূলের সাক্ষাৎ ও কথোপকথন হয়েছিল। তিনি হযরত মুসা (আ)-কে কবরে নামায পড়তে দেখেছেন। তিনি একথাও বলেছেন, তার প্রতি কেউ সালাত ও সালাম প্রেরণ করলে তিনি তার জবাব প্রদান করেন।
এছাড়া আরো অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যার সারাংশ থেকে নিশ্চিতরূপে জানা যায় যে, নবী-রাসূলগণের মৃত্যুর অর্থ হচ্ছে, তাঁদেরকে আমাদের থেকে গোপন করে রাখা, যাতে আমরা তাঁদের জীবিত থাকাটা অনুভব করতে না পারি। যদিও তাঁরা কবরে জীবিতই অবস্থান করছেন। তাঁদের অবস্থা হচ্ছে ফেরেশতাদের ন্যায়, তাঁরা সর্বদা জীবিত, কিন্তু আমরা তাঁদেরকে দেখতে পাচ্ছি না।
-আম্বরাউল আযিকিয়া।
এখানে আমরা আল্লামা জালালুদ্দিন সুযুতী (র)-এর আম্বারুল আম্বিয়া গ্রন্থ থেকে বিষয়টি সংক্ষেপ করে উল্লেখ করলাম। সে গ্রন্থে অনেক বিশুদ্ধ হাদীস উল্লেখ করে কবরে নবী-রাসূলগণের জীবিত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করা হয়েছে। মূলতঃ আলমে বরযখ বা কবরের জীবন হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র জগৎ। তার বিষয়গুলো পার্থিব জগতে অবস্থান করে বুঝা যায় না। আমাদের শুধু এটুকুই বুঝতে হবে যে, এ জগতে শক্তি ও দুর্বলতার দিক দিয়ে জীবনের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। অনুরূপভাবে সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন স্তর। সবচেয়ে শক্তিশালী জীবন হচ্ছে, নবী-রাসূলগণের জীবন। আর তারপর হচ্ছে শহীদগণের জীবন। এরপর অন্যান্য মৃতদের জীবন।
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মেরাজ রাতে হযরত মুসা (আ)-এর কবরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁকে কবরে নামায পড়তে দেখলেন। তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে পৌঁছে নবী-রাসূলগণকে দেখতে পেলেন। তাঁদেরকে সাথে নিয়ে নামাযের ইমামতী করলেন। অতঃপর তিনি নভমণ্ডলে পৌঁছলে সেখানেও কয়েকজন নবী-রাসূলের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি হযরত মুসা (আ)-কে ইতিপূর্বে কবরে নামায পড়তে-দেখেছিলেন। অতঃপর তাঁর সাথে ষষ্ঠ আকাশে সাক্ষাৎ ঘটে। তাঁরই পরামর্শ অনুযায়ী নবী করীম (সঃ) বারবার আল্লাহ তাআ'লার দরবারে গিয়ে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাযের স্থলে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে আনেন। নভমণ্ডলে যেসব নবী-রাসূলদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল, তাদের মধ্যে হযরত ঈসা (আ)ও ছিলেন। যেহেতু হযরত ইসা (আ) এখন পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করেননি, কেয়ামতের "নিকটবর্তী সময়ে এ দুনিয়াতে পুনরায় আগমন করবেন এবং কাফের দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এ কারণেই তাঁকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাহাবাদের মধ্যে গণ্য করা হয়।
-আল ইসাবা ফি তামীযেস সাহাবা।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও ঈসা (আ) ইহজাগতিক রূপেই জীবিত ছিলেন। পরস্পর সাহাবী হওয়ার জন্য যা একান্ত অপরিহার্য। অন্যান্য নবী-রাসূলুগণ এ সময় আলমে বরযখ তথা কবরে জীবিত ছিলেন, যাদের সাথে মেরাজ রজনীতে হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়েছিল।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, আমি এক সময় মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী এক স্থানে নবী করীম (সঃ)-এর সাথে সফর করেছিলাম। এ সময় তিনি একটি উপত্যকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন: এ কোন উপত্যকা? উপস্থিত লোকেরা বলল, এ হচ্ছে আরয়াক উপত্যকা। তখন তিনি বললেন: "আমি যেন হযরত মুসা (আ)-কে দেখছি।" একথা বলার পর তিনি হযরত মূসা (আঃ)-এর দেহের রং ও চুলের কিছু বর্ণনা দিলেন, আর বললেন: "আমি যেন তাকে দেখছি, তাঁর উভয় হাতের আঙ্গুলিসমূহ কানে দিয়ে আছেন, আর স্বীয় প্রতিপালকের নামে তালবীয়া পাঠ করতে করতে এ উপত্যকা অতিক্রম করছেন।"
হযরত আব্বাস (রা) বলেন, এরপর আমরা সম্মুখে চলতে চলতে অন্য এক উপত্যকায় গিয়ে পৌঁছলাম। এ উপত্যকা সম্পর্কে তিনি জিজ্ঞেস করলেন: "এ কোন্ উপত্যকা?" উপস্থিত লোকগণ বললেন, এ হচ্ছে হারশী উপত্যকা। তখন তিনি বললেন: "আমি যেন হযরত ইউনুস (আ)-কে দেখছি, তিনি একটি লাল বর্ণের উটের পিঠে আরোহণ করে আছেন। তাঁর দেহে রয়েছে সুতার তৈরি জুব্বা আর উটের লাগামটি গাছের বাকল দ্বারা তৈরি। তিনি তালবীয়া পাঠ করতে করতে এ উপত্যকা অতিক্রম করছেন।"
এ হাদীস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, নবী করীম (সঃ) তাঁদেরকে জাগ্রত অবস্থাতেই তালবীয়াহ পাঠ করতে দেখেছেন। বুঝা গেল নবী-রাসূলগণের কবরের জীবন এত শক্তিশালী, পূর্ণাঙ্গ ও উন্নত যে, তাঁরা এ দুনিয়াতেও (মৃত্যুর পরও) স্বশরীরে আগমন করতে পারেন এবং হজ্বের বিধানসমূহও সম্পাদন করতে পারেন। আর মানব চোখে তাঁদেরকে অবলোকন করাও সম্ভব। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল হক দেহলবী (র) মেশকাতের শরাহ 'আশরাতুল লুমাত' গ্রন্থে লেখেছেন: "নবী-রাসূলগণ কবরে জীবিত থাকার বিষয়টি সব বিশেষজ্ঞদের একটি ঐকমত্য বিষয়, এতে কারোই দ্বিমত নেই। তাঁদের এ জীবন পার্থিব জীবনের ন্যায় দৈহিকভাবে জীবন্ত জীবন। তাঁদের জীবনকে আধ্যাত্মিক ও মরমী জীবন ভাবা উচিত নয়।
আলমে বরযখ তথা কবরের জীবন হচ্ছে এ পার্থিব জীবন হতে ভিন্নতর জীবন এবং বিস্ময়করও বটে। সেখানকার অবস্থা পার্থিব অবস্থা দ্বারা কেয়াস বা অনুমান করা যায় না।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |