আমরা নবীজীর উম্মত। তাঁকে সম্মান করা ওয়াজিব। তিনি হায়াতুন্নবী। রওযা মোবারকে অক্ষত দেহ মোবারক নিয়েই তিনি শায়িত। হযরত আবু দারদা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেছেনঃ
(اِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الأنبياء (طَبَرَانِي
অর্থাৎ “আল্লাহ তায়ালা আম্বিয়ায়ে কেরামের দেহ মোবারককে মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন” ।
অর্থাৎ মাটি তাঁদের দেহ মোবারক ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিনষ্ট করতে পারবে না । সুতরাং রওযা মোবারকে আমাদের প্রিয় নবী (দঃ) দুনিয়ার দেহ মোবারক নিয়েই অক্ষত অবস্থায় জীবিত আছেন। বোখারী শরীফের শরাহ ফয়জুল বারীতে বলা হয়েছেঃ
[আরবী]
অর্থাৎ “সমস্ত উলামা এ ব্যাপারে একমত যে, আম্বিায়ায়ে কেরাম নিজ নিজ রওযা মোবারকে স্বশরীরে জীবিত আছেন”।
তাই নবীগণের হায়াত মউতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । সুতরাং সর্বদা তাঁদের তাজীম করা ওয়াজিব ।
আল্লাহর ৭০ হাজার ফেরেস্তা সর্বদা হুজুরের রওজা মোবারক দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে নুরের পাখা রওজা মোবারকে সামিয়ানার মত বিস্তার করে দুরূদ ও সালাম পেশ করে থাকেন । অথচ আমরা ফেরেস্তাদের অনুকরনে ৫/১০ মিনিট দাড়িয়ে দুরূদ ও সালাম পেশ করলে বেদআত হয়ে যায় - বলে এক শ্রেনীর আলেম ও নাম ধারীরা ফতোয়া দিয় বসে । ফেরেস্তারাও কি তাহলে বেদআতে লিপ্ত ? হাদিস খানা নিম্নরূপ ।
হযরত নোবাইহাতা ইবনে ওহাব (রহ ) তাবেয়ী হতে বর্নিত ; একদিন হযরত কা'ব আহবার ( তাবেয়ী ) হযরত আয়েশা (রাঃ) -এর খেদমতে উপস্থিত হলেন । অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম তথা নবীয়ে করিম ( দঃ)-এর শানে-মানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে লাগলেন । হযরত কা'ব বললেন : এমন কোন দিন উদয় হয়না- যে দিনে ৭০ হাজার ফেরেস্তা নাজিল হয়ে রাসুলুল্লাহ (দাঃ) -এর রওজা মোবারাক বেষ্টন করে তাঁদের নুরের পাখা বিস্তার করে সন্ধা পর্যন্ত নবী করিম ( দ ) -এর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠ না করেন । অতঃপর যখন সন্ধা হয়ে আসে তখন তাঁরা আকাশে আরোহন করেন এবং তাদের অনুরূপ সংখ্যায় (৭০ হাজার ) ফেরেস্তা দ্বারা অবতরন করে তাদের মতই দুরুদ ও সালাম পাঠ করতে থাকেন । আবার কেয়ামতের দিন যখন জমিন (রওজা মোবারক) বিদীর্ন হয়ে যাবে , তখন তিনি ৭০ হাজার ফেরেস্তা দ্বারা বেস্টিত হয়ে প্রেমাস্পদের রুপ ধারন করে আসল প্রেমিকের সাথে শীঘ্র মিলিত হবেন ।
— দারমী ও মিশকাত, বাবুল কারামত হাশিয়াহ
উল্লেখিত হাদিসে নিম্নোক্ত বিষয়ঘুলো খুবই গুরুত্বপুর্ণ ও প্রণিধানযোগ্য
ইমামে আহলে সুন্নত মাওলানা আহমেদ রেজা (রহঃ) লিখেছেনঃ
আমরা মিলাদুন্নবীর মাহফিল জীবন ভর করে যাবো । হে নজদীগন ( আব্দুল ওয়াহাব নজদীর অনুসারীগন ) ! তোমরা জ্বলতে থাক । জ্বলে মরাই তোমাদের কাজ ।
— আলা হযরত
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৯) অন্যান্য প্রামাণ্য দলীল | (১১) আনুষ্ঠানিক মিলদুন্নবীর ইতিহাসঃ ইজমার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |