হযরত আবু উমামা (রা) বলেন , রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, মরনের পরে মুমিন যেসব কাজের পুণ্য লাভ করে, তাঁর মধ্যে
প্রথম হচ্ছে এলমে দ্বীন- পার্থিব জীবনে সে যা প্রচার ও প্রসার করেছে ।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে পুণ্যবান সন্তান সন্ততি রেখে আসা ।
তৃতীয়টি হচ্ছে কোরআন মজিদ- যা সে উত্তরাধিকারীদের কাছে রেখে এসেছে ।
চতুর্থ হচ্ছে যদি সে মসজিদ নির্মাণ করে এসে থাকে ।
পঞ্ছম হচ্ছে যদি সে পথিক ও মুসাফির দের জন্য সরাইখানা স্থাপন করে আসে । স্বচ্ছ পানির অভাব দূর করার জন্য যদি সে নদী নালা খাল বিল পুকুর বা নল কুপের সু ব্যাবস্থা করে থাকে । আর জীবনের সুস্থ অবস্থায় যদি সে কোন ধন সম্পদ দান করে থাকে ।এসবের পুণ্য মরনের পরেও সে লাভ করতে থাকে ।
— ইবনে মাজা , বায়হাকি
হযরত আবু হোরায় রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,
আল্লাহ্ তায়ালা জান্নাতে নেককারদের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন । তখন সে আরজ করবে , হে আল্লাহ্ ! এ মহান সম্মান ও মান মর্যাদা আমি কিভাবে পেলাম? আল্লাহ্ তায়ালা বলবেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানদের ক্ষমা প্রার্থনার ফলে তোমাকে এ মান মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে ।
— আহমদ , মেশকাত
আর এক হাদিসে আছে,
কেয়ামতের দিন কিছু কিছু লোক পাহাড় সমান পুণ্য লাভ করবে । তা দেখে তারা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করবে, এতো বিপুল পরিমান পুণ্য আমি কিভাবে পেলাম ? তখন তাঁকে বলা হবে, তোমার সন্তানগণ তোমার জন্য মাগফেরাত কামনা করার ফলে তোমাকে এ সম্মান দান করা হয়েছে ।
— শরহে সুদূর
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,
কবরে মৃত ব্যাক্তি এমনভাবে ওপরের মুখাপেক্ষী হয়, যেমন পানিতে ডুবতে থাকা ব্যাক্তি হয়ে থাকে। তারা পিতা-মাতা, ভাই ও অন্যান্য লোকদের দোয়া লাভের জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনে । তাদের কাছে যখন এদের কারো কোন দোয়া পৌঁছে, তখন সমস্ত দুনিয়া ও এতে যা কিছু আছে তাঁর তুলনায় সে দোয়া হয় তাদের কাছে বেশি প্রিয় । নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবীর মানুষের দোয়া দ্বারা কবর বাসীদের কে পাহাড় সমান পুণ্য দান করেন । মৃতদের জন্য জীবিতদের উপঢৌকন হচ্ছে তাদের জন্য এস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা ।
— বায়হাকি , মেশকাত
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১০) মুমিনের মৃত্যুতে আকাশ ও পৃথিবীর ক্রন্দন | (০১২) মুমিন ব্যক্তিকে মালাকুল মাউত এর সালাম |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |