رِجَالٌ لا تُلْهِيْهِمْ بِحَارَةٌ وَلاَبَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ - وَإِقَامِ الصَّلَوةِ وَ أَيْتَاءِ
(৩৬) তাদের ব্যবসা বেচা কেনার কাজ কাম আল্লাহর জিকির থেকে বিরত রাখতে পারে না বরং নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে। (ছুরা নূর)
الَّذِيْنَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِي خَلْقِ السَّمَوَاةِ وَالْأَرْضِ -
(১৯১) যারা দাড়ান, বসা, শোয়া, সকল অবস্থায় আল্লাহর জিকর করে এবং আছমান সকল ও জমিনের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীর চিন্তা ফেকের করে .....।
(আল ইমরান)
যারা চলা-ফেরা, কাজ-কাম, জাগ্রত ও ঘুমে সর্বাবস্থায় সমস্ত শরীর দিয়ে আল্লাহর জিকিরে নিমগ্ন থাকে, কেবলমাত্র তাদেরকেই আহলে জিকর বলা হয়। এরা সব সময় আল্লাহর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকে এবং রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এর পুরাপুরি অনুকরণ অনুসরণের চেষ্টা করে। আহলে জিকরের কাছ থেকে বিকল ও মরিচা ধরা ক্বলবকে সচল ও পরিস্কার করার পদ্ধতি জেনে নিয়ে ক্বলব জেকের শুরু করলে ছুরা আন ফালের দ্বিতীয় আয়াত ও ছুরা হজের ৩৫ আয়াত অনুযায়ী ক্বলব আল্লাহর ভয়ে (ঘড়ির কাটার মতো) কাপতে থাকবে, কোরআনের আয়াত পড়লে ঈমান বৃদ্ধি পাবে ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল হবে। ৪০দিন ক্বলবে জেকেরকারী নামাজী নামাজের সময় ক্বলব দিয়ে নামাজের ছুরা কেরাত ও পড়তে পারবে। তখন শয়তান ক্বলব থেকে পালাতে থাকবে, ফলে নামাজের মধ্যের এদিক সেদিক খেয়াল করা শতকরা ৫০/৬০ ভাগ কমে গেছে তা বাস্তবে বুঝতে পারবে। অল্পদিনের মধ্যে সমস্ত শরীর দিয়ে নামাজের কেরাত পড়া বুঝতে পারবে। সমস্ত শরীর দিয়ে নামাজ পড়ার কারণে আল্লাহ তাআ'লার রহমতের নূর তার সমস্ত শরীরে পড়তে থাকবে। ফলে শয়তান শরীর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম না হয়ে ইসলাম কবুল করতে বাধ্য হবে। তখন সে আর কোন অছঅছা দিবে না। নামাজী একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ পড়া নিজেই উপলদ্ধি করতে পারবে।