কোন কারনবশত যদি রমযানের সব রোযা বা কতেক রোযা রাখিতে না পারে, রমযানের পর যত শীঘ্র সম্ভব হয় ঐ সব রোযা ক্বাযা রাখিতে হইবে, দেরী করিবে না(হায়াত মউতের বিশ্বাস নাই,) বিনা কারনে ক্বাযা রোযা রাখিতে দেরি করিলে গোনাহ্গার হইবে।
ক্বাযা রোযা রাখিবার সময় দিন তারিখ নির্দিষ্ট করিবে যে, অমুক দিনের অমুক রোযার ক্বাযা করিতেছি। অবশ্য এরুপ নিয়াত করা জরুরী নহে। শুধু যে কয়টি রোযা ক্বাযা হইয়াছে, সে কয়টি রাখিলেই যথেষ্ট হইবে অবশ্য যদি ঘটনাক্রমে দুই রমযানের ক্বাযা রোযা একত্রে হইয়া যায়, তবে এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করিয়া নিয়্যত করিতে হইবে যে। “আজ অমুক বৎসরের রমযানের রোযা আদায় করিতেছি।”
ক্বাযা রোযা র জন্য রাত্রেই নিয়্যত করা যরুরী(শর্ত)। ছোব্হে ছাদেকের পরে ক্বাযা রোযার নিয়্যত করিলে ক্বাযা ছহীহ্ হইবে না, রোযা রাখিলে সে রোযা নফল হইবে। ক্বাযা রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে।
কাফ্ফারার রোযারও একই হুকুম; যদি ছোব্হে ছাদেকের পূর্বে রাত্রেই কাফ্ফারা বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়া নিয়্যত না করে, তবে কাফ্ফারার রোযা ছহীহ্ হইবে না;(সেই রোযা নফল হইয়া যাইবে, কাফ্ফারার রোযা পুনরায় রাখিতে হইবে।)
যে কয়টি রোযা ছুটিয়া গিয়াছে, তাহা সব একাধারে বা বিভিন্ন সময়ে রাখাও দুরুস্ত আছে। (একাধারে রাখা মোস্তাহাব।)
গত রমযানে কিছু রোযা ক্বাযা ছিল, তাহা ক্বাযা না করিতেই পুনরায় রমযান আসিয়া গেল, এখন রমযানের রোযাই রাখিতে হইবে, ক্বাযা রোযা পরে রাখিব । এরুপ দেরী করা ভাল নয় ।
রমযান শরীফের সময় দিনের বেলায় কেহ যদি বেহুশ হইয়া পড়ে এবং কয়েক দিন যাবত বেহুঁশই থাকে, তবে যদি কোন ঔষধ হল্কুমের নীচে না যাইয়া থাকে, তবে বেহুশীর প্রথম দিনের রোযার নিয়্যত পাওয়া গিয়াছে, কাজেই প্রথম দিনের রোযা ছহীহ্ হইয়া যাইবে, পরে যে কয়দিন বেহুঁশ রহিয়াছে, সে কয়দিনের নিয়্যত পাওয়া যায় নাই বলিয়ায় কিছু পানাহার না হওয়া স্বত্বেও সে কয়দিনের রোযা হইবে না, সে কয়দিনের রোযা ক্বাযা করিতে হইবে।
এইরুপে যদি রাত্রে বেহুঁশ হয়, তবুও প্রথম দিনের রোযা ক্বাযা করা লাগিবে না। বেহুশীর অন্যান্য দিনের ক্বাযা ওয়াজিব হইবে। অবশ্য পরদিন রোযা রাখার নিয়্যত না করিয়া থাকে অথবা কোন ঔষধাদি সকাল বেলায় হল্কুমের নীচে যাইয়া থাকে, তবে ঐ দিনেরও ক্বাযা করিতে হইবে।
যদি কেহ সমগ্র রমযান মাস ব্যাপিয়া বেহুঁশ অবস্থায় থাকে, তবে সুস্থ হওয়ার পর সমস্ত রমযান মাসের রোযা ক্বাযা করিতে হইবে । ইহা মনে করিবে না যে, বেহুঁশ থাকার কারনে রোযা একেবারে মাফ হইয়া গিয়াছে। অবশ্য যদি কেহ সমগ্র রমযান মাস ব্যাপিয়া পাগল থাকে, মাত্রই ভাল না হয়, তবে তাহার রমযানের রোযার ক্বাযা করা লাগিবে না; কিন্তু যদি রমযানের মধ্যে ভাল হয়, তবে যে দিন হইতে ভাল হইয়াছে সে দিন হইতে রীতিমত রোযা রাখিবে।