কাপড়ে নাপাকী লাগলে যদি তা দেখা যায় এবং শক্ত জাতীয় হয় তবে প্রথমে তা তুলে ফেলুন।
যদি দূর্গন্ধযুক্ত হয় তবে মাটি বা সাবান দিয়ে পরিস্কার করুন।
তারপর তিন বার ধুয়ে ফেলুন এবং তিন বারই নিংড়ান। মূল কথা দূর্গন্ধ দূর করার প্রতি লক্ষ্য রাখু ন। যদি তিনবার সাবান দিয়ে ধুয়েও দূর্গন্ধ দূর না হয় তবে মাজুর হিসেবে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
পানি ও বরফ দিয়ে ধুয়ে নিন, তৈল বা ঐ জাতীয় তরল পদার্থ দিয়ে ধুবেন না। ধুলে পাক হবে না।
তরল জাতীয় বস্তু যেমন পেশাব ইত্যাদী কাপড়ে লাগলে যদি ভিজা থাকে তবে প্রথমে ভিজা টুকু ধুয়ে ফেলুন এবং নিংড়ান।
এরপর দ্বিতীয় বার পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ান।
আবার তৃতীয় বার পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ান। নিংড়ানোর সময় কাপড়ে পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
যদি নাপাকী কাপড়ে লাগে এবং তা দেখা না যায় তবে সমস্ত কাপড় ধুয়ে ফেলুন। তিনবার ধুয়ে তিনবারই নিংড়ান।
যদি এক দেরহামের কম নাপাকী লাগে এবং তা দেখা না যায় এবং অন্য কোন কাপড় না থাকে তবে তা ধুয়ে উক্ত কাপড়ে নামাজ পড়ুন।
৭
যদি কোন কাপড়ের অর্ধেক বা তার বেশী পরিমান অংশে নাপাকী লাগে এবং অন্য কোন কাপড় না থাকে অথবা ধুয়ে উক্ত ভিজা কাপড় পরলে শীতে কিংবা জ্বরের কারণে কষ্ট পেতে পারে তবে উক্ত কাপড় পরেই নামাজ পড়ুন। যদি অন্য কোন কাপড় থাকে তবে ঐ কাপড় পরে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।
যদি এমন কোন কাপড় বা বস্ত্র হয় যা নিংড়ান যায় না তবে তা ধুয়ে নেড়ে দিন।
পানি ঝরে গেলে অর্থাৎ পানি ফোটা ফোটা পড়া বন্ধ হলে পুনরায় ধুয়ে নেড়ে দিন।
তারপর পানির ফোটা বন্ধ হলে তৃতীয়বার ধুয়ে নেড়ে দিন।
পরিধেয় কাপড় হালাল টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করুন। যদি কাপড়ের দশ ভাগের এক ভাগও হারাম টাকা দিয়ে কেনা হয় তবে উক্ত কাপড় পরে নামাজ পড়লে বা কোন ইবাদাত করলে হাদীছ অনুযায়ী তা কখনও আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
কাপড়ে নাজাছাতে খফীফা লাগলে এবং তা কাপড়ের চার ভাগের এক ভাগের কম হলে উক্ত কাপড়ে নামাজ পড়া জায়েজ আছে।