ইমাম আযম আবু হানীফা (র.) ও ইমাম মুহাম্মদ (র.)-এর পাঁচটির কম উটের মধ্যে যাকাত ওয়াজিব হয় না। কোন ব্যক্তি যদি পাঁচটি উটের মালিক হয় এবং তা এক বছর কাল তার মালিকানায় থাকে তাহলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে এবং যা এক বছর পূরা হয়ে দ্বিতীয় বছরে পদার্পন করেছে এমন একটি বক্সী যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। এরপর হতে প্রতি পাঁচে একটি বক্সী ওয়াজিব হবে। এ হিসেবে বিশ পর্যন্ত চারটি বক্সী ওয়াজিব হবে এবং চব্বিশ পর্যন্ত এ চারটির হুকুমই বলবৎ থাকবে। পঁচিশটি হলে একটি বিনতে মাখায দ্বিতীয় বছরে পদার্পন করেছে এমন একটি শাবক যাকাত হিসেবে আদায় করতে হবে। এ হুকুম পঁয়ত্রিশটি উট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ছয়ত্রিশ থেকে পয়তাল্লিশটি পর্যন্ত উটের যাকাত হিসেবে একটি বিনতে লাবুন তৃতীয় বছরে পদার্পন করেছে এমন একটি উট শাবক আদায় করতে হবে। ছয়চল্লিশ থেকে ষাট পর্যন্ত উটের যাকাত হিসেবে একটি হিক্কা চতুর্থ বছরে পদার্পন করেছে এমন একটি উট শাবক আদায় করতে হবে। একশট্টি থেকে পঁচাত্তরটি উটের যাকাত হিসেবে একটি জাযআ পঞ্চম বছরে পদার্পন করেছে এমন একটি উট আদায় করতে হবে। ছিয়াত্তর থেকে নব্বইটি উটের যাকাত হিসেবে দুইটি বিনতে লাবুন আদায় করতে হবে। একানব্বই থেকে একশ' কুড়িটির উটের যাকাত হিসেবে দুইটি হিক্কা আদায় করতে হবে। একশ' কুড়ির পর হতে প্রতি পাঁচে একটি বকরী ওয়াজিব হবে এবং এ হুকুম একশ' চুয়াল্লিশ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ একশ' চুয়াল্লিশে দুইটি হিক্কা ও চারটি বকরী ওয়াজিব হবে। একশ' পঁয়তাল্লিশ থেকে উনপঞ্চাশ পর্যন্ত দুই হিক্কা ও একটি বিনতে মাখায ওয়াজিব হবে। একশ' পঞ্চাশটির পর প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি করে বকরী ওয়াজিব হবে। এ হুকুম একশ' চুয়াত্তর পর্যন্ত বলবৎ থাকেব। একশ' পঁচাত্তর হতে একশ' চুরাশি পর্যন্ত তিন হিক্কা ও একটি বিনতে মাখায ওয়াজিব হবে। একশ' ছিয়াশী হতে একশ' পঁচানব্বই পর্যন্ত তিন হিক্কা ও একটি বিনতে লাবুন ওয়াজিব হবে। একশ' ছিয়ানব্বই থেকে দুইশ পর্যন্ত চার হিক্কা ওয়াজিব হবে। ইমাম আবূ হানীফা (র.) -এর মতে দু'শর পর সর্বদা যাকাতের হিসাব একশ' পঞ্চাশ এর পর থেকে দুইশ' পর্যন্ত যে নিয়ম বর্ণিত হয়েছে সে নিয়মানুসারে যাকাত আদায় করবে। এভাবে হিসাব করে সংখ্যা নির্ণয় করে উটের যাকাত আদায় করতে হবে (হিদায়া, ১ম খণ্ড ও আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(১০৪) গরু ও মহিষের যাকাত | (১০৬) ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার যাকাত |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |