কানস্ (كنز): যে সম্পদ মানুষ মাটির নীচে পুঁতে রাখে তাকে 'কানয' বলে।
মা'আদিন্ (معدن): যে সম্পদ আল্লাহ্ তা'আলা ভূগর্ভে সৃষ্টি করে রেখেছেন তাকে মা'আদিন বা খনিজ দ্রব্য বলা হয়।
রিকায (رکاز): রিকায বলতে উপরোক্ত উভয় প্রকার সম্পদকেই বুঝায় (হিদায়া, ১ম খণ্ড)।
মা'আদিন-খনিজ দ্রব্য সাধারণত তিন প্রকার। যথা:
১. গলনযোগ্য, ২. তরল ও ৩. যা গলনযোগ্যও নয় এবং তরলও নয়।
গলনযোগ্য দ্রব্য: যেমন স্বর্ণ, রৌপ্য, লৌহ, তাম্র, শীশা, পীতল, পারদ ইত্যাদিতে খুমুস -এক পঞ্চামাংশ আদায় করা ওয়াজিব হবে। অবশিষ্ট চার অংশ যে পাবে সেই তার মালিক হবে।
তরল দ্রব্য: যেমন আলকাতরা, তৈল ইত্যাদি এবং যে সব খনিজ দ্রব্য তরল ও নয় আর গলনযোগ্যও নয়। চুনা, কয়লা, পাথর, বিট, লবণ, ইয়াকৃত, হিরা ইত্যাদি এসব দ্রব্যে কিছুই ওয়াজিব নয়। বরং এগুলো যে পাবে সেই তার মালিক হবে।
কেউ যদি দারুল ইসলামে মালিকানা বিহীন ভূমিতে প্রোথিত সম্পদ পায় এবং তাতে যদি ইসলামী কোন নিদর্শন থাকে যেমন কালেমা লিখিত থাকা তাহলে এ সম্পদ লুক্তা অর্থাৎ হারানো প্রাপ্তি জিনিসের হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তাতে জাহিলি যুগের কোন নিদর্শন থাকে যেমন মূর্তি ও ক্রশ চিহ্ন খচিত মুদ্রা তবে তাতে খুমুস ওয়াজিব হবে। বাকী চার অংশ যে পাবে সেই তার মালিক হবে। আর যদি এতে আদৌ কোন নিদর্শন না পাওয়া যায় তাহলে একে জাহিলী যুগের বস্তু ধরে নিতে হবে। এবং তার উপর খুমুস ওয়াজিব হবে। সমুদ্র হতে প্রাপ্ত সম্পদ যেমন- মুক্তা, আম্বর মাছ ইত্যাদিতে কিছুই ওয়াজিব হবে না। পাহাড়ে প্রাপ্ত ফিরোজা ইত্যাদি পাথরেও খুমুস ওয়াজিব হবে না (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।