দ্বিতীয় হিজরী সনে যাকাত ফরয হয়েছে। কুরআন হাদীস ও ইজমার দ্বারা যাকাতের ফরযিয়াত প্রমাণিত। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
وَ أَقِيمُوا الصَّلوةَ وَأَتُوا الزَّكُوةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ
তোমরা নামায কায়িম কর ও যাকাত আদায় করে দাও, আর যারা রুক্' করে তাদের সাথে রুকু' কর (২:৪৩)।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে:
خُذَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةٌ تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَ صَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلُوتَكَ سَكَن لَّهُمْ وَ اللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা গ্রহণ করুন। এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করুন। আপনি তাদের জন্য দু'আ করুন। আপনার দু'আ তাদের জন্য চিত্ত প্রশান্তি-কর, আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ (৯:১০৩)।
আরো ইরশাদ হয়েছে:
وَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِلسَّائِلِ وَ الْمَحْرُومِ
এবং তাদের ধনীদের ধন সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক (৫১: ১৯)।
আরো ইরশাদ হয়েছে:
وَ الَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَ لَا يُنْفِقُوْنَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
আর যারা সোনা রূপা পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না অর্থাৎ যাকাত দেয় না তাদেরকে মর্মন্তুদ শান্তির সংবাদ দিন (৯:৩৪)।
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন:
بُنِيَ الإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَة أن لا إله إلا الله و أن محمد رسول الله وإقام الصلوة وإيتاء الزكوة و صوم رَمَضَان وحج البيتِ مَن استطاع إليه سبِيلا
ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিষের উপর:
অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
اعبُدُوا رَبَّكُم وَ صَلُّوا خَمْسَكُم و صوموا شهركم و حَبُّوا بَيْت رَبِّكُم و أدوا زكاة أموالكم طيبة بِهَا أَنفُسِكُمْ تَدْخُلُوا جَنَّةِ رَبِّكُم
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করবে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে, রামাযান মাসে রোযা রাখবে, বায়তুল্লাহ্ শরীফের হজ্জ আদায় করবে। এবং সন্তুষ্ট চিত্তে তোমাদের সম্পদের যাকাত আদায় করবে। তাহলে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ করবে (তিরমিযী)।
যাকাত ফরয হওয়ার ব্যাপারে উম্মাতের ইজ্যা সংগঠিত হয়েছে (হিদায়া, ১মখণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৮৮) যাকাতের সংজ্ঞা ও পরিভাষা | (০৯০) যাকাত ফরয হওয়ার হিত ও উপকারিতা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |