হযরত আনাস (রা) বলেছেন, জনৈক ব্যাক্তিকে নবী (স) এর লেখক নিযুক্ত করা হয়েছিলো । সে ইসলাম ত্যাগ করে কাফের মুশ রেক দের দলে যোগ দিয়েছিল । নবী করীম (স) তার জন্য বদদোয়া করলেন যে , মাটি তাঁকে গ্রহন করবে না । অতঃপর তার মৃত্যু হলে হযরত তালহা (রা) তার কবরের কাছে গেলেন । তিনি দেখতে পেলেন , সেই ব্যক্তির লাশ বাইরে পড়ে আছে । এই দৃশ্য দেখে তিনি সেখানকার লকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেন এই লাশ বাইরে কেন ? লোকেরা বলল , এই লাশ আমরা কয়েকবার দাফন করেছি, কিন্তু কবর তা গ্রহন করেনা । প্রত্যেকবারই মাটি তাঁকে বাইরে ফেলে দেয় । তাই আমরাও লাশটি কবরের বাইরে রেখে দিয়েছি ।
— বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ
গ্রন্থকার বলেন, আমি এক ওস্তাদের জবানীতে শুনেছি যে, মদিনা শরিফের জনৈক আলেমের কবর বিশেষ প্রয়োজনে পুনরায় খনন করা হয় । খনন শেষে দেখা গেলো, উক্ত কবরে এক যুবতী নারীর লাশ রয়েছে । কেউ কেউ এই যুবতী মহিলা কে চিনত । তাঁদের জানা ছিল , এ যুবতী অমুক শহরের এক খ্রিস্টানের কন্যা । সুতরাং তাঁরা তার পিতা মাতার কাছে গিয়ে ঘটনার রহস্য জানতে চাইল । এবং এর কবর কোথায় তাও জিজ্ঞাসা করল । তাঁরা তার কবর দেখিয়ে বলল সে আন্তরিক ভাবে মুসলমান ছিল । সে মনে মনে মদিনা শরিফে সমাহিত হবার আশা পোষণ করত । অতঃপর তার কবর খনন করে দেখা গেলো, তার কবরে মদিনা শরিফের সেই আলেমের লাশ রয়েছে, যার কবরে এই যুবতীর লাশ পাওয়া গেছে । অতঃপর আলেমের স্ত্রীর কাছে আলেমের আমল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হল । সে বলল আমার স্বামী ছিল খুব নেক কার ও পরহেজগার ব্যাক্তি । এতদসত্ত্বেও তিনি মাঝে মাঝে বলতেন, খ্রিস্টান ধর্মে স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করার কোন বিধান নেই । এটা খুবই সহজতর নিয়ম । তখন লোকেরা মনে করল, খ্রিস্টান ধর্মের এই নীতি পছন্দ করার কারনেই তার লাশ খ্রিস্টান মহিলার কবরে পৌঁছেছে । আর আন্তরিক ভাবে মুসলমানি আদর্শ পছন্দ করার কারনে ওই যুবতীর লাশ মদিনার ওই আলেমের কবরে এসেছে ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৭) মুজাহিদ, সীমান্ত প্রহরী ও শহীদ গনের মর্যাদা | (০২৯) কবরে সকাল–সন্ধ্যায় জান্নাত ও জাহান্নাম দেখান হয় |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |