মহিলাদের ইহরাম পরুষের ইহরামের মতই। শুধু পার্থক্য এই যে, মহিলাগণ ইহরামের অবস্থায় মাথা ঢেকে রাখবে মুখমণ্ডল অনাবৃত রাখবে তালবিয়া অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে। যেহেতু মহিলাদের জন্য বেগানা পুরুষের সামনে বেপর্দা হওয়া জায়িয নেই। তাই তারা চেহারার সাথে লাগতে না পারে এমন কিছু কপালের উপর বেঁধে এর উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিবে। মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় সেলাইযুক্ত কাপড় যেমন- জামা, কামীস, উড়না, মোজা, হাতমোজা ইত্যাদি পরিধান করা জায়িয। ইহরামের অবস্থায় মহিলাদের জন্য যাফরানী ও কুসুম রঙের
কাপড় ব্যবহার করা জায়িয নেই। এ জাতীয় কাপড় ব্যবহার করলে তা এমনভাবে ধৌত করে নিতে হবে যেন কোন ঘ্রাণ অবশিষ্ট না থাকে। মহিলাগণ ইহরাম বাঁধার সময় ঋতুমতী থাকলে গোসল করে যথানিয়মে ইহরাম বাঁধবে। তবে ইহরামের নামায আদায় করবে না। নিয়্যত করে শুধু তালবিয়া পাঠ করবে।
মহিলাগণ তাওয়াফের সময় ইযতিবা ও রমল করবে না এবং সায়ী করার সময় সবুজ বাতি দু'টির মধ্যবর্তীস্থানে দৌড়িয়ে চলবেনা। বরং স্বাভাবিক গতিতে চলবে। তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে আরোহন করবে না। অবশ্য ভীড় না থাকলে আরোহন করা জায়িয আছে।
এভাবে পুরুষের ভীড়ের সময় তারা হজরে আসওয়াদে চুম্বন করতে যাবে না। এমন কি হাত দ্বারা স্পর্শও করবে না। মহিলাদের জন্য ইব্রামের অবস্থায় রেশমের পোশাক এবং অলংকার ব্যবহার করা জায়িয।
মহিলাদের জন্য মাথা মুণ্ডন করা জায়িয নয়। তারা ইহরাম খোলার পর সমস্ত চুলের ঝুটি ধরে এর অগ্রভাগ হতে আঙ্গুলের এক কড়া পরিমাণ চুল নিজের হাতেই কেটে ফেলবে অথবা কোন মাহরাম ব্যক্তির দ্বারা কাটিয়ে নিবে। কোন বেগানা পুরুষকে দিয়ে কাটানো জায়িয নেই। মহিলাদের জন্য হায়িয নিফাসের অবস্থায়ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা জায়িয। শুধু তাওয়াফ নিষিদ্ধ। যদি ইহরামের পূর্বে হায়িয দেখা দেয় তাহলে গোসল করে ইহরাম বাঁধবে এবং হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করবে। কিন্তু সায়ী এবং তাওয়াফ করবেনা। যদি হায়িয জনিত কারণে যথাসময় তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করতে বিলম্ব হয় তবে এতে দম ওয়াজিব হবে না। কিন্তু পবিত্র হওয়ার পর বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করে বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করাই উত্তম (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২১৫) অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও পাগলের ইহরাম | (২১৭) নপংশুকদের ইহরাম |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |