هذا الامر বলার সময় যে বিষয়ে ইস্তিখারা করা হচ্ছে মনে মনে তার খিয়াল করতে হবে। মন যেদিকে বুঝবে একে উত্তম মনে করে কাজ এভাবেই আঞ্জাম দিবে। এক বারে কোন কিছু বুঝা না গেলে সাতবার পর্যন্ত করবে। ইস্তিখারার মূল বিষয়টি হল, মনের সন্দেহ দূর করা। এ ব্যাপারে কোন কিছু স্বপ্নে দেখা অপরিহার্য নয়।
৪. খালিস নিয়্যতে তাওবা করা। যুলুম করে কারো মাল আত্মসাৎ করে থাকলে তা মালিকের নিকট ফেরৎ দিয়ে দিবেন এবং তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। কারো প্রতি অন্যায় করে থাকলে তার থেকেও ক্ষমা চেয়ে নিবেন। ইবাদতের মধ্যে ত্রুটি করে থাকলে তা পূর্ণ করে নিবেন। এর জন্য অনুতপ্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে কখনো এরূপ করবে না বলে দৃঢ় সংকল্প করবেন।
৫. রিয়া অহংকার ত্যাগ করবেন।
৬. হালাল উপার্জন দ্বারা হজ্জ করান। হারাম মালের হজ্জ আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। হজ্জে গমেনেচ্ছুক কারো হালাল মালে সন্দেহ হলে টাকা ঋণ নিয়ে এর দ্বারা হজ্জ সম্পন্ন করবে এবং পরে নিজের টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন।
৭. নেক্কার আলেম সফর সঙ্গী তালাশ করে তাদের সাথে হজ্জ করবে। যাতে কোন আমল ভুলে গেলে তারা তা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে; অস্থির হলে সান্ত্বনা দিতে পারেন এবং অক্ষম হলে সাহায্য করতে পারেন। আত্মীয় সফর সঙ্গীর চেয়ে অনাত্মীয় সফর সঙ্গী উত্তম। এতে অনাভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভব হলে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৮. পরিবারের যাবতীয় খরচের টাকা পয়সা দিয়ে যাবেন।
৯. পাক-পবিত্র অবস্থায় হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবেন।
১০. তাওয়া ও পরহেযগারী অবলম্বন করবেন।
১১. আল্লাহর যিকর বেশীবেশী করবে এবং ক্রোধ ত্যাগ করবেন।
১২. অযথা কথাবার্তা পরিহার করে শান্তভাবে থাকবেন।
১৩. হজ্জের সফরে ব্যবসা বাণিজ্য না করা উত্তম। যদি কেউ করে তবে তাতে সাওয়াব কম হবে না।
১৪. সফরের সামান খরীদ করার সময় বেশী দর কষাকষি করবেন না।
১৫. পথ খরচের মধ্যে কেউ কারো সাথে শরীক হবেন না। প্রত্যেকেই নিজের খরচ নিজে বহন করবেন। একত্রে খরচ করলে হিসাব পরিষ্কার রাখবেন। একত্রে খানা খেলে এক একজন এক একদিন করে খানা খাওয়ানো উত্তম।
১৬. বৃহষ্পতিবার বাড়ী হতে রওয়ানা করা মুস্তাহাব। তা না হলে মাসের প্রথম সোমবার দিনের অগ্রভাগে রওয়ানা করবেন।
১৭. সফরের পূর্বে পরিবারে লোকজন এবং ভাই বন্ধুদের থেকে বিদায় নিবেন। তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন এবং তাদেরকে দু'আ করতে বলবেন। এতদুদ্দেশ্যে তাদের নিকট গিয়ে এ কাজ সমাধা করবেন। হজ্জের সফর শেষে বাড়ী ফেরার পর লোকজন হাজীর নিকট আসবে এবং দু'আ চাইবেন। দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণের ন্যায় এ সফরে লোকদের থেকে বিদায় নিবেন।
১৮. বাড়ী থেকে বের হওয়ার আগে দু'রাকা'আত নামায আদায় করে নিবেন। অনুরূপভাবে বাড়ীতে ফেরার পরও দুই রাক'আত নামায আদায় করবেন। নামাযান্তে বের হওয়ার সময় এ দু'আটি পড়বেন:
২১. হাজীদের জন্য উত্তম হল, প্রথমে হজ্জের কাজ সমাধা করে পরে মদীনা শরীফ গমন করা। ফরয হজ্জ না হলে প্রথমে যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবেন। ফরয হজ্জের ক্ষেত্রে প্রথমে মদীনা শরীফ যাওয়াও জায়িয আছে।
সুন্নাত এবং মুস্তাহাব ছুটে গেলে এতে কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। কিন্তু গুনাহ হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।